ইনকিলাব ডেস্ক : আর পাঁচটি পণ্যের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় খুব সহজেই কেনা যায় অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। মোটরসাইকেল কেনার মতোই সহজ এখানে আগ্নেয়াস্ত্র কেনা। গত শনিবার অরল্যান্ডোর নাইট ক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে ৪৯ জনের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি নীতি নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠলো। গত শনিবার রাতে পালস নাইটক্লাবে ৪৯ জনকে হত্যা করে আইএস থেকে অনুপ্রাণিত মার্কিন নাগরিক ওমর মতিন। পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যার পর তার কাছে পাওয়া গেছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র। এরমধ্যে ছিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এসল্ট রাইফেলও। কীভাবে নাইটক্লাবে এই অস্ত্রসম্ভার নিয়ে ওই ঘাতক ঢুকে পড়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই অস্ত্র সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে এসল্ট রাইফেলসহ যে কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ব্যাপারে বিশেষ কোনো বিধিনিষেধ নেই। বন্দুকের লাইসেন্স থাকলেই কিনে ফেলা যায় পছন্দসই অস্ত্র। এই বিষয়ে ফ্লোরিডা সরকারের নিয়মাবলী হচ্ছে প্রথমত, সরকার অনুমোদিত বিক্রেতার থেকে এসাল্ট রাইফেল কিনতে গেলে তার লাইসেন্স থাকলেও খতিয়ে দেখা হয় ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি বিষয়। দ্বিতীয়ত, রাইফেল কেনার ক্ষেত্রে দীর্ঘ অপেক্ষার দরকার পড়ে না। পিস্তল জাতীয় হ্যান্ডগানের জন্য মাত্র তিন দিন অপেক্ষা করতে হয়। ক্রেতার বয়স এক্ষেত্রে ন্যূনতম ২১ বছর হওয়া আবশ্যক। তৃতীয়ত, গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করা হয় না। ঘরোয়া ঝামেলায় দুই বা তার চেয়ে বেশি বার অভিযুক্তদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এপি, সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন