শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কম্পিউটার নেটওয়ার্কে রুশ সাইবার হানা

প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ন্যাশনাল কমিটির কম্পিউটার নেটওয়ার্কে হানা দিয়েছে রাশিয়ার সরকারি হ্যাকাররা। একইসঙ্গে তারা রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে প্রস্তুতকৃত ডেমোক্র্যাটদের যাবতীয় গবেষণাপত্রও হাতিয়ে নিয়েছে। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) কর্মকর্তা ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন, রুশ হ্যাকাররা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির কম্পিউটার সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করে। তারা কমিটির ডাটাবেজে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়। ফলে সেখানে সংরক্ষিত সব ই-মেইল এবং চ্যাটিংও পড়তে সক্ষম হয় হ্যাকাররা। এই সাইবার আক্রমণের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যক্ষ কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে তাকে নিয়ে প্রতিপক্ষ হিলারি শিবিরের প্রস্তুতকৃত অনুসন্ধান, গবেষণা ডেমোক্র্যাটদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় সেটা ট্রাম্পের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ডিএনসিকে অবশ্য এর আগেও একাধিকবার এ ধরনের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার চেষ্টা হয়েছিল। রুশ হ্যাকাররা ব্যক্তিগতভাবে হিলারি ক্লিনটন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডাটাবেজও হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করেছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনার ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। ডিএনসি জানিয়েছে, বছরখানেক আগেই তাদের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ করে কিছু হ্যাকার। তখন সেটা মোকাবিলা করা হলেও গত সপ্তাহে তারা বড় ধরনের সাইবার হামলার চালায়। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে প্রস্তুতকৃত ডেমোক্র্যাটদের যাবতীয় অনুসন্ধান, গবেষণা হাতিয়ে নিলেও ডেমোক্র্যাটদের শিবিরের পুরো ডাটাবেজের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি হ্যাকাররা। কোনো আর্থিক তথ্য, ব্যক্তিগত বা ডোনারদের সম্পর্কিত কোনো তথ্যভা-ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এটা অপরাধমূলক তৎপরতায় জড়িত হ্যাকারদের কাজ ছিল না, বরং এটা ছিল এক ধরনের গুপ্তচরবৃত্তি।
ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির সাইবার কর্মকা- দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে ক্রাউড স্ট্রাইক নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট শাওন হেনরি বলেন, প্রতিটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাজই হচ্ছে তাদের প্রতিপক্ষের তথ্য সংগ্রহ করা। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের আভাস দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এজন্য আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সঙ্কট নিরসনের ওপর জোর দেন তিনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়াকে নিয়ে কোনো প্রশ্নহীন নেতিবাচক অবস্থান নিতে নারাজ তিনি। এদিকে বহুদিন ধরেই রুশপন্থী সংবাদমাধ্যমগুলো ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় রিপাবলিকান ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতিকে শ্রেয়তর বলে আসছে। শুধু তাই নয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনও ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বার্ষিক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্পকে উজ্জ্বল ও মেধাবী নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন। তাই গুঞ্জন ওঠা অমূলক নয় যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ট্রাম্প হতে পারেন একজন রুশবন্ধু। গত এপ্রিলে ওয়াশিংটনের এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিজের পরিকল্পিত পররাষ্ট্রনীতির বিস্তারিত তুলে ধরেন ট্রাম্প। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকা ফার্স্ট পররাষ্ট্রনীতি প্রতিষ্ঠা করবেন।  ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি, আল-জাজিরা, পলিটিক্যাল ইনসাইডার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন