শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইন্দোনেশিয়ায় চলছে বৃহত্তম ছাত্র আন্দোলন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ইন্দোনেশিয়ায় দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে বিয়ের আগেই যৌন স¤পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন। একে বলা হচ্ছে ১৯৯৮ সালের পর ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসের সব থেকে বড় ছাত্র আন্দোলন। এর আগে দেশটির পার্লামেন্ট এ নিয়ে একটি গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। কিন্তু সোমবার আন্দোলনের মুখে গণভোটের সময় পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্লামেন্ট। ইন্দোনেশিয়ার নতুন পার্লামেন্ট শপথ গ্রহণ করবে মঙ্গলবার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইডোডো নতুন পার্লামেন্টকে ওই আইনকে পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় প্রস্তাবিত ওই আইনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা, অসন্তোষ ও সর্বশেষ দুই সপ্তাহ আগে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়েছে। তবে অনেক আইনপ্রণেতাই দাবি করছেন, তারা তাদের ক্ষমতা থাকা অবস্থায়ই আইনটি সংশোধন করতে পারবেন। আইনপ্রণেতারা তাদের শেষ দিনগুলো বেশকিছু বিল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যদিয়ে পার করছেন। সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোকে ক্ষমতা থেকে নামানোর ঐতিহাসিক দিনগুলোতে ইন্দোনেশিয়া যেমন উত্তপ্ত হয়ে ছিল তারপর এটিই দেশটির সব থেকে বড় আন্দোলন। সোমবার, কয়েক হাজার ছাত্র, অধিকারকর্মী ও রাজনৈতিক নেতারা রাজধানী জাকার্তায় অবস্থিত পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়। সেখান থেকে স্লোগান দেয়া হয়, আমরা আবারো আওয়াজ তুলছি। কারণ আমাদের পার্লামেন্ট বধির। আন্দোলন থামাতে রাজধানীতে ২০ হাজারেরও বেশি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জাকার্তা ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার বড় শহরগুলোতেও ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে। ইয়োগিকার্তা ও জাভা দ্বীপে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট উইডোডো আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি ওই আইন বাতিলের চেষ্টা করবেন। একইসঙ্গে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সংযত হওয়ার নির্দেশ দেন। এখন পর্যন্ত আন্দোলনে দুই ছাত্রের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেশটির ছাত্ররা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যতদিন এই আইন স¤প‚র্ণ বাতিল না হচ্ছে ততদিন রাস্তায় থাকবেন তারা। একজন অধিকারকর্মী রয়টার্সকে বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে। আমাদের হয়তো গণতন্ত্র আছে কিন্তু আমরা সেই স্বৈরাচারী শাসনের দিকেই ফিরে যাচ্ছি। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন