শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে সবাই

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দিল্লি সফরে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় এই সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হবে। ওই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। এ মুহূর্তে আসামের এনআরসি, তিস্তার পানি, বাণিজ্যে স্বেচ্ছাচারিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ, ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে শিক্ষা দেয়া এবং এনআরসি ইস্যুতে অহেতুক ‘বাংলাদেশের নাম’ টেনে আনায় পরিস্থিতি কিছুটা হলেও জটিল হয়ে গেছে।

আবার কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান এখন মুখোমুখি তখন দিল্লি সফরের আগের দিন শেখ হাসিনাকে ফোন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু’র ‘শাহজ কমেন্টস, উত্তর প্রদেশ ডেভেলপমেন্টস কাস্ট এ শ্যাডো অন হাসিনাজ ভিজিট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র ‘বাংলাদেশি নাগরিক, অনুপ্রবেশকারী ও বিদেশি অভিবাসীকে তাড়িয়ে দেয়া’র ঘোষণা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের ওপর ‘ছায়া’ ফেলেছে। শেখ হাসিনার ভারত সফর উপলক্ষে গত ১ অক্টোবর দিল্লিতে কর্মরত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি জানান, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হবে ৫ অক্টোবর। যোগাযোগ, সংস্কৃতি বিনিময়, কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যুব ও ক্রীড়া, আকাশ সেবা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। তিনি তিস্তা, রোহিঙ্গা ও আসামের নাগরিক পুঞ্জি ইস্যু নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোনো ধারণা পোষণ করতে পারছি না’। গতকাল ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন ১০ থেকে ১২টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। তার মতে যুব ও ক্রীড়া, সংস্কৃতি, নৌ-পরিবহন, অর্থনীতি, সমুদ্র গবেষণা, পণ্যের মান নির্ধারণ, বাণিজ্য, শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাখাতে সমঝোতা সই হতে পারে। এছাড়াও সীমান্ত হত্যা প্রতিরোধ, উন্নয়ন-জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হতে পারে’। ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর কোনোটিতে ১২টি, কোনোটিতে ১৬টি এবং কেউ লিখেছে ১৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফর উপলক্ষে ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ’ ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যখন ‘হতে পারে,’ ‘সম্ভাবনা রয়েছে’ এবং ‘ধারণা পোষণ’ ইত্যাদি শব্দমালা ব্যবহার করা হয়; তখন ভারতের পক্ষ থেকে অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দেয়া হয়েছে। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাকগ্রাউন্ড তুলে ধরে ঢাকাস্থ ভারতের হাইকমিশন গত ২৪ সেপ্টেম্বর এক দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দুই দেশের বন্ধুত্ব, সম্পর্কের দৃঢ়তা, দুই দেশ কীভাবে কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একে অন্যের অভিন্ন হৃদয় সুহৃদ হয়ে উঠা তুলে ধরা হয়। বলা হয় নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও লগ্নি, বিদ্যুৎ-শক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার স্বরূপ, যোগাযোগের বহর বিস্তার, বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ শিবির, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং ভিসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো সবিস্তারে আলোচনা হবে।

দীর্ঘ ৬ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে তিস্তা, রোহিঙ্গা এবং আসামের এনআরসি প্রসঙ্গ নেই। দিল্লিতে বসবাসরত প্রখ্যাত সাংবাদিক সৌম্য বন্দোপাধ্যায় বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন ‘শেখ হাসিনার দিল্লি সফর সম্পর্কে ঢাকাস্থ ভারতের হাইকমিশন প্রকাশিত ৬ পৃষ্ঠার ব্যাকগ্রাউন্ড পেপারে তিস্তা অনুপস্থিত এবং দুই দেশের অভিন্ন নদীর বিষয়ে মাত্র ৯০টি শব্দ খরচ করা হয়েছে’।

জাতিসংঘের অধিবেশনে সাইড লাইনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর নিউইয়র্ক থেকে পাঠানো বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বরাত দিয়ে খবর দেয় ‘এনআরসি নিয়ে শেখ হাসিনা উদ্বেগ জানালে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এনআরসি ও পানিবণ্টনের মতো ইস্যুগুলোকে আমরা সহজভাবে নিতে পারি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।’ কিন্তু মজার বিষয় হলো নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা-মোদি বৈঠক নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৭ সেপ্টেম্বর যে বিবৃতি প্রচার করে, তাতে এনআরসি নিয়ে শেখ হাসিনার উদ্বেগ ও তিস্তার পানিবণ্টন-সংক্রান্ত হতাশা-প্রত্যাশা নিয়ে একটি শব্দও নেই। এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কার ঢাকা সফরে এসে বলেন, ‘এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের উদ্বিগ হওয়ার কিছু নেই’। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, ‘আসামের এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিয়ষ। এ নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয়’।

প্রশ্ন হচ্ছে সত্যিই কী আসামের এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়? বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই? আসামের এনআরসি যখন প্রণয়ন করা হয় তখন থেকে সে দেশে বসবাসরত মুসলমানদের তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। আসামে যে ১৯ লাখ নাগরিক এনআরসি বাইরে তাদের বাংলাদেশি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বাইরেও ভারতের পাশ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান, নেপাল, চীন, ভুটান, মিয়ানমার, শ্রীলংকা রয়েছে। পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভারতের সাপে নেউলে সম্পর্ক। অথচ বিজেপির কোনো নেতা আসামের ১৯ লাখ অনিবন্ধিত নাগরিক পাকিস্তান, নেপাল বা চীনের বলে উল্লেখ করছেন না। তারা প্রতিনিয়ত দাবি করছেন ওই নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে গেছে। আর মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিতারিতের পথ ধরেই আসামের ১৯ লাখ মুসলমানকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার হুংকার দিচ্ছেন। শুধু কী তাই! কলকাতায় এসে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে বক্তব্য দিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন না হয়ে থাকার উপায় কি আছে? বিজেপি সরকারের এই মুসলিম বিদ্বেষী অপকান্ডে ভারতের অনেক বুদ্ধিজীবী উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তাদের আশঙ্কা হিন্দুস্থানে রামরাজত্ব কায়েম করতেই মোদি মুসলিমদের ভারত ছাড়া করতে চাচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই?

দাবি করা হয় বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু ভারত। দুই দেশের সম্পর্ক বর্তমানে সর্বোচ্চ উচ্চতায়। কিন্তু তিস্তার পানি, বাণিজ্য স্বেচ্ছাচারিতা-ভারসাম্য, সীমান্ত হত্যা, অভিন্ন ৫২ নদীর পানি, ফারাক্কা এগুলো দীর্ঘদিনের ইস্যু। বাংলাদেশ পেঁয়াজের ঘাটতি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ। হঠাৎ করে দিল্লি সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ। আগাম বার্তা না দিয়েই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের ভোক্তাদের দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে পেঁয়াজ খেতে হচ্ছে। প্রকৃত বন্ধু হলে ভারত এক মাস আগে জানিয়ে দিতে পারত যে, সঙ্কট দেখা দিলে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়া হবে। তখন বাংলাদেশ অন্য দেশ তথা চীন, মিশর, মিয়ানমারসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করতে পারত। বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের কোনো সঙ্কট নেই। বাংলাদেশ ভাটিতে হওয়ায় প্রতিবছর বন্যা হয়। বৈরি আবহাওয়ায় বন্যায় দেশের নদ-নদীর পানি বেড়েছে এবং বিস্তীর্ণ সমতল প্লাবিত। এ সময়ে কোনো আগাম বার্তা না দিয়ে ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো দরজা খুলে দেয়ায় হাজার হাজার ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেল। হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙনে বিপন্ন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। ভারত আগাম বার্তা দিতে পারত এবং এ মুহূর্তে ফারাক্কার পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দিত না। গরিব মানুষকে বিপদে পড়তে হতো না। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ফোন করার পর প্রতিবেশি দেশ হিসেবে কাশ্মীরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনার ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

বিজেপি নেতারা অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে ছলচাতুরি করছেন। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজী না হওয়ায় ২০১০ সাল থেকে তিস্তা চুক্তির ‘মুলা’ ঝুলে রাখা হয়েছে। মোদি কাউকে না জানিয়েই কাশ্মীরের জনগণের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা কেড়ে নিয়ে একটা পূর্ণ রাজ্যকে দু’ভাগ করেছেন। এগুলো সমসাময়িক ইস্যু। বন্ধুত্বের নামে গত কয়েক বছরে দিল্লি যা চেয়েছে তাই পেয়েছে। বাংলাদেশ কি পেয়েছে? বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ তো কিছু প্রত্যাশা করে। ভারত অনেক নিয়েছে; সেভেন সিস্টার্স খ্যাত ৭ রাজ্যে সন্ত্রাস দমনে ভারতকে প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা খরচ করতে হত। বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করে সেই সন্ত্রাসের মূলোৎপাটন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ তো এই দীর্ঘ সময়ে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যকর ছাড়া কিছুই পায়নি।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অমিত শাহ’র বক্তব্যে ঢাকা দেখতে পাচ্ছে মুসলিম বাঙালিদেরকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে ১৯ লাখই বাংলাদেশি। এ নিয়ে বাংলাদেশের কী কিছুই করণীয় নেই? কারণ বিজেপি নেতারা মুসলমানদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার টার্গেট নিয়েই বক্তব্য দিচ্ছেন। এটা ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বক্তব্য দিয়ে আমাদের ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নেই। আবার প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে যেসব চুক্তির কথা বলা হচ্ছে সেগুলো বাংলাদেশের জন্য কতটুকু উপকারী তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে তিস্তার পানি, আসামের নাগরিক পুঞ্জি, রোহিঙ্গা সমস্যা, সারাবছর বন্ধ রেখে বন্যার সময় ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে পানিতে ডুবিয়ে দেয়া ইত্যাদি ইস্যুগুলো বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সুযোগ্য নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান এখন অন্যন্য উচ্চতায়। তিনি সফল নেতৃত্ব দিয়ে দেশ-বিদেশে খ্যাতির চূড়ায়। তিনি মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে’ অংশগ্রহণ করবেন। দেশে তিনি দুর্নীতি-অনিয়ম-ক্যাসিনো-জুয়া বন্ধে দলের ভেতরে ‘শুদ্ধি অভিযান’ শুরু করে প্রশংসিত হচ্ছেন। তাঁর প্রতি মানুষের অগাধ আস্থা রয়েছে। ১৬ কোটি মানুষ প্রত্যাশা করে এবারের দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর জন্য কিছু না কিছু সুখবর নিয়ে আসবেন। সে জন্যই মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Khokon Ibrahim ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
রোহিঙ্গা নিয়ে ভারতের কি করার থাকতে পারে, যদি না চীন এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দেয়!
Total Reply(0)
Kamrul Hasan ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
হয়তোবা আমার জীবনে আরো অনেক কিছু দেখতে হবে,তারপর আমিও থাকবনা,আমার পরে যারা আসবে তারাও অনেক কিছু দেখবে তারাও চলে যাবে,,জীবনটা এই ভাবেই চলে যাবে খেয়ে না খেয়ে,কেও চিরোদিন থাকবেনা, কিন্তু আমার কর্মফল গুলো আমার পরিবার বহন করে চলবে সেটা ভালো হক বা খারাপ হক
Total Reply(0)
Akter Hossain ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
ভারত সরকার একটা বর্বর জাতির সর্বোত্তম নিদর্শন। এরা মনুষত্বের সর্বনিম্ম পর্যায় আরও অনেক আগেই অতিক্রম করেছে।
Total Reply(0)
Ishfaq Rossi ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
দাসত্ব আর বন্ধুত্ব সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। সীমান্তে হত্যার পরেও নীরবতাকে দাসত্ব বলে,আর ইলিশ উপহার পেয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ এবং ফারাক্কার ১০৯ গেট খুলে দাসদের ডুবিয়ে দেওয়াকে প্রভুত্ব বলে। এখানে বন্ধুত্ব শব্দ উচ্চারণ করাটাই সর্বশ্রেষ্ঠ মিথ্যা..
Total Reply(0)
Sufian Farabee ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
আচ্ছা, প্রধানমন্ত্রীর কোন সফরে কি তিস্তা আলোচনা বাদ ছিলো? বারবার চেষ্টা করার পরও কোন সমাধান আনতে পারছেন না তিনি। কারণ জানতে ইচ্ছে করে। আর কোন ব্যর্থতা স্বীকার না করলেও অন্তত এই ব্যর্থতা নিজেদের ঘাড়ে নেয়া দরকার।
Total Reply(0)
Rk Tanvir Hossain ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
উনার আগমনের আগেই ১০৯ টা গেইট খুলে আমন্ত্রন জানাচ্ছে
Total Reply(1)
Yourchoice51 ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:২৪ এএম says : 4
ছোটবেলায় পড়েছিলাম "পানির অপর নাম জীবন"। তবে এটাও পড়েছিলাম, "নৌকা চালাতে পানির দরকার; কিন্তু নৌকা পানিতে ভরে গেলে বিপদ"। ভারতের ........রা বোধ প্রথম বাক্যটি পড়েছে; দ্বিতীয়টি পড়েনি। তাই ওই ......দের সাথে আলোচনা করে ওতে আমাদের কোনো লাভ হবেনা।
Sobuj Ahamed ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
রোহিঙ্গা নিয়ে তো আমাদের বাংলাদেশকে ভারত ভোট দেন নাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর নিয়ে ভারত কে ভোট দিয়েছে কি আর বলবো আমরা ভাবি বন্ধু আর ভারত আমাদের দেয় বাস এ বন্ধুত্ব খেলা বন্ধ করতে হবে ভারত আমাদের বন্ধু না
Total Reply(0)
Md Harun Rashid ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
তিস্তা নিয়ে তো আলোচনা সে আদি কাল থেকেই হচ্ছে। এই আলোচনা চলমান। এইটা চলতেই থাকবে। আর জনগন বোকার মতো চেয়ে চেয়ে দেখবে।
Total Reply(0)
Kabir Azgar ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্কের মজবুত কোন বৃত্তি নেই সম্পর্কটা শুধুই আওয়ামীলীগের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নই
Total Reply(0)
মোঃ নুরুল আলম ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫৩ পিএম says : 0
এনআরসি মোটেই ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয় নয় । যারা এটাকে ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয় বলে প্রচার চালাচ্ছেন তারা ভাওতাবাজি করছেন । আর বাংলাদেশের যারা এটাকে তুচ্ছ জ্ঞান করছেন তারা কী বুঝে করছেন তা বিশ্লেষণ করার সময় এবং পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে । চরম মৌলবাদী এবং মুসলিম বিদ্বেষী বর্তমান ভারত সরকার কেন এনআরসি নামের এই উদ্ভট শুমারীতে হাত দিলেন- এ প্রশ্নটা দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে মনে ভিতরই গুরপাক খাচ্ছে । সংবাদপত্রের বদৌলতে দেখেছি ভারতের অনেক রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশকে নিয়ে এবং তাদের দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুসলমানদের নিয়ে অনেক কুরুচিপূর্ন কটুক্তি করে চলেছেন যেটা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য নি:সন্দেহে উদ্বেগের । পার্শবর্তী দেশের প্রতি অমার্জনীয় বৈষম্যমূলক আচরণ যেমন এদেশের স্বাধীনতাকে অসম্মান করা হচ্ছে তেমনি এদেশের জনগণকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে । সমগ্র ভারতজুড়ে বাংলাদেশীয় পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও তার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভারত প্রায় একতরফা বাণিজ্য করে যাচ্ছে । আকাশচুম্বী বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে এদেশের ক্ষমতাসীনদের কোন মাথা ব্যাথা নেই । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মাস কয়েক আগে বলেছিলেন ভারতকে তিনি যাহা দিয়েছেন তারা তা চিরকাল মনে রাখবেন । কী কী দেয়া হয়েছে আমরা তা জানি না । তারপরও তারা আরও অনেক কিছু চায় । শোনা যাচ্ছে অচিরেই তারা বাংলাদেশের দুটি প্রধান সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন । এর আগে পেয়েছেন আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর । তাহলে আমরা কী পেলাম ? আন্তর্জাতিক নদী আইন ভঙ্গ করে আন্তর্জাতিক নদীগুলোর উজানে বাঁধ দিয়ে আমাদের কৃষি এবং পরিবেশকে নি:স্ব করে ফেলা, পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য ধ্বংসকারী ড্রাগস এদেশে পাচার করে দেয়া, দেশের আর্তসামাজিক অবস্থাকে বিষিয়ে তোলা সহ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নির্লজ্জ্ব পক্ষপাতিত্ব করে এদেশের রাজনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে মানুষের মধ্যে হানাহানি, মারামারি ইত্যাদিতে ইন্দন যোগানো সহ যাবতীয় ঋণাত্বক কর্মকান্ডে তাতের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অংশগ্রহণ কোনভাবেই আমরা মেনে নিতে পারিনা । এদেশের একজন সাধারণ নগারিক হিসেবে নিজেকে প্রশ্ন করি, যদি অন্য কোন উদ্দেশ্য না থাকে তাহলে ভারত কেন শুধু শুধু এনআরসি করে কতগুলো মানুষকে ধরে বন্দী শিবির বানিয়ে তাদের বসিয়ে বসিয়ে অন্ন দেবেন ? ঐ মানুষগুলোতে সেখানে স্থায়ীভাবেই বসবাস করছিল এবং যারা নিজেদের পেশাতেই জীবিকা নির্বাহ করছে দীর্ঘকাল । বিনে কারণে মোদী এসব করছেন ? না, মোটেই না । অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে অমিত বাবুরা এদেশকে মানতেই নারাজ । এদেশের ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বাধীনতা এবং আত্মসম্মানবোধকে ভুলুণ্ঠিত করে শুধু ক্ষমতা লাভ এবং একে অপরকে নিষপেষিত করার উদ্দেশ্যে নম্বর ওয়ান সরিষা তেল নিয়ে তাদের ধারস্থ হন । তারাও সে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ছাড়েন । এদেশের সরকার যদি নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবত তাহলে ভারতকে একতরফা বন্দরসহ যাবতীয় সুবিধা না দিয়ে বাংলাদেশী পণ্য শুধু সেভেন সিস্টারে রপ্তানির সুযোগ আদায় করতে পারত তাহলে এদেশ রাতারাতি ব্যাপক অর্থনৈতিক সমবৃদ্ধি অর্জন করত । ভরা মৌসুমে আমাদের তিস্তায় পানি নেই, আমাদের পদ্মায় পানি নেই আর বর্ষায় গেট খুলে আমাদের শস্য ভান্ডার সমগ্র উত্তর বঙ্গকে ভাসিয়ে পুরো দেশটাকে খাদ্যে নি:স্ব করে ফেলার যে চক্রান্ত তা কী ক্ষমতালোভীদের স্পর্শ করে না ? কিন্তু দেশের মানুষ তা ভালোভাবেই বোঝেন ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন