উজানের ভারতের ঢলে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পদ্মা নদীর পানি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পেয়েন্টে আরও একি সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কে. এম জহরুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন । পাবনায় বাঁধের বাইরে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। হু হু করে গ্রামে পানি ঢুকছে। ঈশ্বরদী উপজেলায় সাহাপুর, পাকশী সাঁড়া , লক্ষীকুন্ডা চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় ১০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ। পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন, চরকোমরপুর, ঘোষপুর চরের আংশিক, হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। বেড়া ত্রিমোহনী এলাকা ঢালার চর, নাকালিয়ায় যমুনা ও পদ্মা নদী প্রবেশ করেছে। প্রায় ১৫টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। সুজানগর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় প্রায় ১০০টি গ্রাম এখন বন্যা কবলে।
বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠেছে। দূরবর্তী উচুঁ স্থানের টিউবওয়েল থেকে পানি এনে জীবন ধারণ করছেন বন্যা কবলিত মানুষজন। মাঠের ঘাস ডুবে যাওয়ায় গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে
ভাড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন । এদিকে, পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তার সম্মেলন কক্ষে জরুরী সভা করেছেন। তিনি বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন