মানুষ মাত্রই একটু সৌন্দর্য সচেতন। আর এ সৌন্দর্য্যরে জন্য মানুষ কত কিছুই না ত্বকে প্রয়োগ করে। গবেষকরা বলেছেন, লেবু ও কমলায় সাইট্রিক এসিড, আপেলে ম্যালিক এসিড, দুধে ল্যাকট্রিক এসিড ও আঙুরে টাইটারিক এসিড রয়েছে। এগুলো সবচেয়ে সক্রিয় উপাদান, যা ত্বকের জন্য উপকারী। এসব লাগানোর পদ্ধতি ও মাত্রা বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম মাত্রায় ব্যবহার কোনো উপকার করে না আবার বেশি মাত্রার ব্যবহার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ত্বকের পরিচর্যায় আমাদের দেশে অনেক মহিলা বিভিন্ন ফলমূল, খাদ্যশস্য ত্বকে ব্যবহার করেন। এগুলো স্বাভাবিক পদ্ধতি, এতে কদাচিৎ উপকার পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। তা এসবের সঠিক প্রয়োগবিধি মেনে উপকার পেতে হলে কেমিক্যাল পিলিং করতে হবে। ১৯৪০ সাল থেকে ব্যবহৃত, বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগবিধি কেমিক্যাল পিলিং নামে পরিচিত।
কেমিক্যাল পিলিংয়ের মূল কথা
* এটা শরীরের পুরনো ও অসুস্থ ত্বককে ফেলে দেয়। * প্রায় ব্যথাযুক্ত হালকা জ্বালা-পোড়া করতে পারে সর্বোচ্চ ২ মিনিট পর্যন্ত। * এতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহৃত হয়। * প্রাচীন পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক সংস্করণ, যা ৭০ বছর ধরে সারা পৃথিবীতে এবং ১৫ বছর ধরে আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। * এটা ত্বকের রঙ ফর্সাকারী হিসেবে ব্রণ, মেছতা, তিল, দাগ ও বলিরেখা দূরীকরণের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। সঠিক বৈজ্ঞানিক মাত্রায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। * ভালো ফলের জন্য সূর্য্যরে আলো থেকে দূরে থাকতে হবে। * মনে রাখতে হবে, এটা জাদু নয়, তবে নিয়মিত চিকিৎসায় নিশ্চিত ফল পাওয়া যাবে।
সহকারী অধ্যাপক (চর্ম-যৌন-এলার্জি)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
কামাল স্কিন সেন্টার, ০১৭১১৪৪০৫৫৮।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন