পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সরকারকে সরাতে ইসলামাবাদে অবরোধের ডাক দিয়েছে দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। আগামী ২৭ অক্টোবর ‘আজাদী মার্চ’ নামে ওই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। দলটির প্রেসিডেন্ট মাওলানা ফজলুর রহমানের এমন পদক্ষেপে খানিকটা দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছেন ইমরান খান।
আবার পাকিস্তানে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। দেশটির সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়া ‘১১১ ব্রিগেডে’র ছুটি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতা হারাতে চলেছেন বলে খবর রটেছে।
কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম এ খবর ফলাও করে প্রকাশ করেছে। জি ২৬ ঘণ্টা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপ (৩৭০ প্রত্যাহার) যেভাবে সামলেছেন, তাতে ইমরানের ব্যাপারে খুশি নন সেনা প্রধান বাজওয়া। এ কারণে সেনাদের ছুটি বাতিল করে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ শিল্পপতিদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি।
ইমরান গদি হারাতে পারেন এ খবর বেশ জলদি চাউর হয়েছে ১১১ ব্রিগেডের ছুটি বাতিল ঘোষণার কারণেই। কেননা, এর আগে তিনবার ১১১ ব্রিগেড ব্যবহার করে নির্বাচিত সরকার ফেলে দিয়েছে পাকিস্তান আর্মি।
প্রতিবারই রাওয়ালপিন্ডিতে ১১১ ব্রিগেড মোতায়েন করা হয়েছিল। এবারও সেখানেই এই ব্রিগেড মোতায়েন করা হবে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম জি ২৬ ঘণ্টা।
এদিকে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন ও জিয়ো নিউজ উর্দূর খবর থেকে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, সব বিরোধী দল এ বিষয়ে একমত যে বর্তমান সরকার একটি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। ২০১৮ সালের ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনকে সবাই প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। এ ভুয়া সরকারকে দেশের জনগণ আর চায় না।
এই আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী দলগুলোও। পিপলস পার্টি ও মুসলিম লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিতে যাচ্ছে। আগামী ২৭ অক্টোবর কাশ্মীরিদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ ও ইমরান খান হটাও আন্দোলনে তারাও শরিক হতে পারে। এবং সারাদেশ থেকে জনগণ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ইসলামাবাদ অভিমুখে মার্চ করবে বলে জানিয়েছে ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন