শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ রোধের বিরুদ্ধে কাশ্মীরি সাংবাদিকদের প্রতিবাদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ’ করার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের ভেতর কালো ব্যাজ পরে ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সাংবদিকরা নিরব প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, কাশ্মীর ভ্যালিতে এখনো বেশিরভাগ জায়গায় মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ থাকায় গত প্রায় দুই মাস ধরে তারা নিজেদের কাজ করতে পারছেন না। গত ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যটিকে কেন্দ্রশাসিত দুইটি আলাদা অঞ্চলে ভাগ করার ঘোষণা দেয় ভারত সরকার। ঘোষণার পরপর নিরাপত্তার অজুহাতে সেখানে টেলিফোন লাইন এবং মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়; জারি করা হয় কারফিউ। ধীরে ধীরে নানা নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ শীথিল হতে শুরু করলেও এখনো সেখানে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়নি। বৃহস্পতিবার শতাধিক কাশ্মীরি সাংবাদিক কালো ব্যাজ পরে এবং প্ল্যাকার্ড হাতে কাশ্মীর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে জড় হন এবং সেখানে নিরবে বসে প্রতিবাদ জানান। কাশ্মীরে এখনো সড়কে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। সাংবাদিকদের হাতে ধরে থাকা প্ল্যাকার্ডে ‘গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ বন্ধ করুন’, ‘সাংবাদিকদের অপরাধী বানানো থামান’ ‘সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়’ লেখা ছিল। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ভারত সরকার কাশ্মীরের সাংবাদিকদের জন্য একটি মিডিয়া সেন্টার বানিয়ে সেখান থেকে সাংবাদিকদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিচ্ছেন। কিন্তু সাংবাদিকদের দাবি, ওই ব্যবস্থা তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। একই সঙ্গে সেখানে তাদের গোপনীয়তাও অরক্ষিত। কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইশফাক তন্তরাই বলেন, “সেখানে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বলতে কিছু নেই। প্রতিদিন প্রায় তিনশ সাংবাদিক সেখানে কাজ করেন, তাই সব সময় ভিড় লেগে থাকে। এছাড়া সেখানে আমাদের কাজ পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং আমরা সব সময় গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকি।” এ বিষয়ে জানতে কাশ্মীরের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এক দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ফারজানা মুমতাজ বলেন, ‘আমি জেলাগুলো থেকে কোনও সংবাদ পাচ্ছি না। আমার কাছে ইন্টারনেট বা ফোন নেই যার মাধ্যমে আমি প্রতিবেদকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবো। যেকোনও সংবাদ পেতে আমার দুইদিন সময় লেগে যাচ্ছে।’ এনডিটিভি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন