শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সিলেবাসের হিন্দুত্ববাদ নাস্তিক্যবাদ এখন প্রমাণিত সত্য শিক্ষানীতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সঠিক বলেননি- বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ

প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রণীত প্রায় সকল শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে হিন্দুত্বাবাদ ও নাস্তিক্যবাদ এখন প্রমাণিত সত্য। সম্প্রতি এক ইফতার মাহফিলে তিনি শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে অসত্য কথা বলেছেন। আর হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদের প্রমাণিত পাঠ্যসূচি সম্পর্কে একটি কথাও বলেননি। শিক্ষামন্ত্রীর এরূপ পাশকাঠা বক্তব্য জনগণ বুঝে। তিনি বাম-ঘরানার লোক তাই ইসলামী জনতার সেন্টিমেন্ট বুঝছেন না। রক্তের বিনিময়ে হলেও ইসলামী জনতা ধর্ম রক্ষা, দেশ রক্ষা ও তাদের সম্পদ রক্ষায় শিক্ষানীতি সিলেবাস ও শিক্ষা আইন বাতিলের দাবি আদায় করবেই।
ইসলামী গবেষণা পরিষদ
শিক্ষানীতি-২০১০ শুধু ইসলামবিরোধীই নয় বরং সুশিক্ষিত হওয়ারও অন্তরায়। এই শিক্ষা নীতির কারণে একদিকে যেমন ইসলাম ধর্ম শূন্য নাস্তিক্যবাদী জাতি তৈরি করা হচ্ছে তদ্রƒপ এই শিক্ষানীতির কারণে শিক্ষার মান তলানিতে ঠেকেছে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়ার হার বেড়েছে। নারীটিজিং, ধর্ষণ বেড়েছে। ‘শিক্ষানীতি ধর্মবিরোধী নয়’ শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ আবদুল সাত্তার।
তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষানীতির প্রাথমিক স্তরে সাধারণ ও মাদরাসা শিক্ষা উভয় ধারাতেই ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হলেও জাতিকে ইসলাম শূন্য করতে মাধ্যমিক স্তরের সাধারণ শিক্ষাধারার মানবিক শাখা ও ভোকেশনাল শিক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার পাঠ্যক্রম থেকে ইসলামী শিক্ষা পুরোপুরি বাদ দেয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মের সাথে আলাদাভাবে নৈতিক শিক্ষা ঢুকানো হয়েছে, এ দ্বারা বুঝানো হয়েছে ইসলামে ধর্মে নৈতিক শিক্ষা নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, মাদরাসা শিক্ষার পাঠ্যসূচি থেকে কুরআন-হাদিস আর ইসলামী শিক্ষা ব্যাপকভাবে কাটছাট করা হয়েছে। প্রকাশ্যে যৌন শিক্ষা চালু করা হয়েছে। হিন্দুদের ব্রতচারী শিক্ষা, নাচ, গান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই কুফরী শিক্ষানীতির আলোকে মুসলমানদের অধিকারকে চরমভাবে অবজ্ঞা করে সম্পূর্ণরুপে ইসলামবিরোধী নীতি অনুসরণে সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সিলেবাস, পাঠ্যপুস্তক সবকিছুতেই অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করানো হয়েছে হিন্দুত্ববাদ, নাস্তিক্যবাদ। হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে হিন্দুদের বসানো হয়েছে, যা কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিক্ষানীতি ধর্মবিরোধী নয়’ এ ধরনের আবোল-তাবোল বক্তব্য দিয়ে ধর্মপ্রাণদের বিভ্রান্ত করা যাবে না। শিক্ষানীতির কথা বললেও সিলেবাসে ঢুকানো হিন্দুত্ববাদ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী একটি কথাও বলেননি কেন? কারণ এগুলো তিনি অস্বীকার করতে পারবেন না। তাই অবিলম্বে হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি ও সিলেবাস বাতিল করতে হবে।
ইসলামী বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক শাহ্ সূফি সৈয়দ আবদুল হান্নান আল হাদী শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষানীতিতে ইসলামবিরোধী কিছু নেই বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ করে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ভাষায় শিক্ষানীতি যদি এতটাই সফেদ হয়ে থাকে তাহলে বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে ইসলামের পক্ষের লিখাসমূহসহ মুসলিম লেখকদের লিখা বিভিন্ন গল্প কবিতা প্রবন্ধ কেন বাদ দেয়া হলো। আবার হিন্দু ও নাতিস্তক্য লেখকদের ইসলামবিরোধী বিষয়গুলো কীভাবে সংযুক্ত হলো। আর এ সবের তালিকা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছে। এরপরও শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষানীতিতে ইসলামবিরোধী কিছু নেই বলে যে বক্তব্য ছাড়লেন তা জনগণ বিশ্বাস করবে, তা তিনি কীভাবে ভাবলেন। শিক্ষামন্ত্রী বাম-ঘরানার হওয়ায় তিনি এদেশের মুসলমানদের সেন্টিমেন্ট বুঝতে পারছেন না। মুসলমানরা পাঠ্যসূচিতে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদের বিষয়সমূহ বাদ দেয়ার দাবি থেকে পিছু হটবে না। ইসলামী জনতা রাজপথে নেমেছে রক্তের বিনিমেয় হলেও তারা দাবি আদায় করে নিবে। তিনি বলেন, ইসলামী জনতা এটা ভালো করেই বুঝেছে পাঠ্যসূচির মাধ্যমে প্রথমে তাদেরকে ধর্মহারা করার পর দেশ ও সম্পদ হারা করা হবে। মধ্যপ্রাচ্যে যেভাবে করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Kowaj Ali khan ৩ জুন, ২০১৯, ৫:১০ পিএম says : 0
শিক্ষা মন্ত্রী কে এই....? ইসলাম বুজিবে কি ভাবে? আমাদের দেশটাকে যেন পাইছে শয়তানির আড্ডাখানা। চি এই কুশিক্ষা খবিচ। ... ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন