শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজশাহী ও সালথায় সংঘর্ষে আহত ২২

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

রাজশাহীতে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে সংঘর্ষে আহত হয় ৭ জন। ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত হয় ১৫ জন। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে গতকাল বিকেলে সাধারণ সম্পাদক পদের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছে। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল সকাল ৮টায় রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টার দিকে ভোটকেন্দ্রের সামনে নির্বাচনকে ঘিরে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। দায়িত্বরত পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়।

রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্স সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর সাতজনই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রের চারপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ এবং র‌্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটগ্রহণের সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত হলেও যারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে গেছেন তাদের ভোট নির্ধারিত সময় পরেও গ্রহণ করা হচ্ছিল। তবে নতুন করে আর কোনো শ্রমিককে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীরা অবস্থান করছেন। নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ২১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১১১ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদের চার প্রার্থী হলেন কামাল হোসেন রবি, জাহাঙ্গীর আলম, রজব আলী ও রফিকুল ইসলাম রফিক। আর সাধারণ সম্পাদক পদের তিন প্রার্থী হলেন মমিনুল ইসলাম মমিন, মাহাতাব হোসেন চৌধুরী ও সাইরুল ইসলাম।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যাডভোকেট রবিউল হক কাকর। অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার হলেন অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার ও সিরাজী শওকত সালেহীন এলেন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৪২০ জন। ভোট গ্রহণের পর গণনা শেষ হলেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এর আগে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটির মেয়াদ শেষ হলে ২০১৭ সালের ২৪ মে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সেদিন ভোট গণনা শেষ হলেই ভোটকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়। মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনারদেরও। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এরপর ২১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছিল মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। অবশেষে গত ২২ জুন রাজশাহী এসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তিনি নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে দায়িত্ব দিয়ে যান। গঠন করা হয় নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটিও। তিন মাসের মাথায় সেই কমিটি নির্বাচনের আয়োজন করলো।

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন যাবত খারদিয়া গ্রামে আলমগীর মিয়ার সমর্থক ও তার প্রতিপক্ষ টুলু মিয়া-রফিক মোল্যার সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য গ্রাম্যদলপক্ষ নিয়ে উত্তেজনা চলছিলো। এরই জেরধরে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে টুলু মিয়া-রফিক মোল্যার সমর্থকরা আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের সাথে দেশিয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে হোসেন শেখ (৪৫), জিয়া শেখ(২০), সামচু মোল্যা(৩০), মমিন বিশ^াস(৩২), সামচেল বিশ^াস(৩৫)কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও দুলাল শেখ (৩৮) কে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন