শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুর্নীতি বিরোধী অভিযান জোরদার করতে হবে

রাসূল (সা.) অবমাননার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে -ওলামা লীগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫০ পিএম

হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আহলে বাইত শরীফের শানে মানহানীকর বক্তব্য, লেখা, প্রকাশনা, টিভি প্রোগ্রাম, রেডিও প্রোগ্রাম, ইন্টারনেটে স্ট্যাটাসসহ যে কোন বিষয় প্রচার, প্রকাশ ও প্রদানকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার দাবি করেছেন বাংলাদেশ ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরো কঠিন এবং দীর্ঘস্থায়ী করারও দাবি করেছেন। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওলামা লীগের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এ দাবি করেছেন।

মানবন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, ওলামালীগের সভাপতি- পীরজাদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী। বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক- হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ চেয়ারম্যান- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা সত্ত্বেও পবিত্র দ্বীন ইসলামের শিক্ষাদাতা রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার বংশধর (আহলে বাইত) সম্পর্কে তথাকথিত বুদ্ধিজীবি, প্রগতিশীল ও মুক্তমনার ছদ্মাবরণে নাস্তিকরা মানহানীকর অবমাননায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
বক্তারা বলেন, ধর্মীয় বিষয়ে কুটুক্তি সংবিধানে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও আহলে বাইত সম্পর্কে মানহানীকর বক্তব্য এবং বিন্দুতম অবমাননা প্রকাশ, প্রচার করলে অভিযুক্তদের মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আহলে বাইতগণের জীবনী সকল শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান। বর্তমান আদর্শহীন বিধ্বস্ত সমাজকে বাঁচানোর জন্যই উনাদের জীবনি সব শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

বাংলাদেশের মুসলমানরা ধর্ম সহিষ্ণু। ইসলাম ধর্মে অন্য কোন ধর্মের উপর আঘাতহানা বা অবমাননা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই এদেশের মুসলমানরা মুর্তি ভাঙ্গার মতো কাজ করতে পারে না। উগ্রবাদী কিছু হিন্দু নিজেরাই মূর্তি ভেঙে মুসলমান ও সরকারের প্রতি অপবাদ দিয়ে সরকারের নিকট থেকে আর্থিক অনুদান পাওয়ার চক্রান্ত করে থাকে।
নেতৃবৃন্দ চলমান সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যেভাবে জির টলারেন্স দেখাচ্ছেন তা অব্যাহত রেখে এ অভিযান আরো জোরদার এবং দীর্ঘস্থায়ী করার আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে বলা হয়, ভারতে উগ্রবাদী হিন্দুরা গো-রক্ষার নামে গত ২/৩ বছরে হাজারো মুসলমানকে পিটিয়ে, পুড়িয়ে এবং নানাভাবে হত্যা করেছে। কাশ্মীরে শত শত মা-বোনের সম্ভ্রমহরণ করা হয়েছে। তারাই বাংলাদেশে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। রানা দাশ, প্রিয়া সাহা, গোবিন্দ প্রমানিক, গোবিন্দ ঘোষ গংরা দেশে বিদেশে মুসলমান ও বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। অবিলম্বে এসব উগ্রবাদী, মৌলবাদী হিন্দুদের প্রতিহত করতে হবে। সরকারকে এদের বিরুদ্ধে দেশ ও ধর্মের স্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন