শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

টাকায় মিলছে সার্টিফিকেট

প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাসান সোহেল : কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মতোই দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বাড়ছে! বর্তমানে সারাদেশে মোট বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৬৮টি। এই সরকারের সময়ই মোট ২৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয়া হয়। বিপুলসংখ্যক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয়া হলেও এসব পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষক, শিক্ষা উপকরণ ও যন্ত্রপাতি নেই সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের। আর একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে অদক্ষ জনবল দিয়ে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি শিক্ষক ও চিকিৎসক দিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি কলেজের শিক্ষকেরাও কাজ করেন খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে। এসব মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন সব মহলেই। ভর্তি প্রক্রিয়া, ক্লাস-পরীক্ষা, বাস্তব জ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা নিয়েও যথেষ্ট সন্দিহান সকলেই। এমনকি শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শেখানোর জন্য কয়টি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় শয্যা সংখ্যা ও রোগী রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কোনো ধরণের নিয়মনীতি না মেনেই অনুমোদন পেয়েছে দেশের অধিকাংশ বেসরকারী মেডিকেল কলেজ বলে অভিযোগ রয়েছে। আর তাই যোগ্যতা না থাকা স্বত্তেও শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে চিকিৎসক বনে যাচ্ছেন। মেডিকেল কলেজ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এসব মেডিকেল কলেজসমূহ ন্যূনতম কারিগরী ও একাডেমিক সুবিধা নিয়েই মেডিকেল শিক্ষা নিয়ে রীতিমত বাণিজ্য করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নীতিমালা থাকলেও অধিকাংশ মেডিকেল কলেজ তা মানছে না। ফলে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে মেডিকেল শিক্ষা কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রভাবশালীরা রাজনৈতিক বিবেচনায় কলেজগুলোর অনুমোদন পাওয়ায়, স্বেচ্ছাচারিতা করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে কোন আইন না থাকায় মানহীন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু মেডিকেল কলেজ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় সরকারের আমলেই চিকিৎসা শিক্ষাকে ক্রমেই বাজারিকরণ ও দুর্বৃত্তায়িত করে ফেলা হচ্ছে। সামাজিক স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থে এ অনুমোদন দেয়ার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া স্বাস্থ্য খাতের জন্য অশনি সংকেত উল্লেখ করে ভবিষ্যতে দেশের জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়ার আশংকা তৈরি হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবছর ভর্তির সময় হলে মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ বছরও ইতোমধ্যে ৫টি মেডিকেল কলেজ আসন বৃদ্ধির আবেদন করেছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা বলছেন, বিনিয়োগের বড় অংশটিই তোলা হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবদ। এমনকি গত বছর কোনো কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি ফি ছিল ২৫-৩০ লাখ টাকা। অথচ এসব মেডিকেল কলেজের অনুমোদন নেয়ার সময় কোন ধরণের ব্যবসায়িক মনোভাব থাকবে না বলে উল্লেখ করা হয়। অনুমোদন পেয়েই প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে চলে যায়।
অবশ্য মানসম্পন্ন চিকিৎসা শিক্ষা ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি আগামী ৩ মাসের মধ্যে দেশের ৬৮টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আবারো পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানসম্পন্ন শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরণের ছাড় নয়। কারণ দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যেই সরকারী খাতের পাশপাশি বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে মেডিকেল কলেজগুলো করা হয়েছিল। এসব মেডিকেল কলেজগুলোর মান বজায় না থাকলে সুচিকিৎসক পাওয়া যাবে না। শুধু সার্টিফিকেট বিতরণের জন্য কলেজের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেওয়া যায় না। কলেজের কার্যক্রমের মান সুরক্ষায় সরকার কঠোরভাবে তদারকি করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নীতিমালা ভঙ্গ করায় সম্প্রতি রংপুরের নর্দান মেডিকেল কলেজ, গাজীপুরের সিটি মেডিকেল কলেজ ও আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে নীতিমালা না মানায় চট্টগ্রামের সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের আসন্ন ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত এবং একই জেলার বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা ১২৫ থেকে কমিয়ে ৭৫ করেছেন। এর আগে নীতিমালা না মানায় মিরপুরে অবিস্থত মার্কস ডেন্টাল কলেজকেও ইউনিটে নামিয়ে আনা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ল্যাব, ক্লাস রুমসহ অন্যান্য এখনো সংকট বিদ্যমান রয়েছে।  
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. রশীদ-ই মাহবুব বলেন, অবকাঠামো অন্যান্য শর্ত পূরণ করার পর মেডিকেল কলেজগুলো অনুমোদন দেয়া দরকার। আমাদের দেশে অনুমোদন নিয়েই ভর্তি বাণিজ্য শুরু কর দেয়। পরে অন্য বিষয়গুলো করে। যা ঠিক নয়। দেশে চিকিৎসা শিক্ষার গুণগত মান কতটুকু তা যাচাই করা খুবই প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানহীন আরও কিছু মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা দরকার। রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, কারণ আমাদের অদম্য ইচ্ছা চিকিৎসক হওয়ার। আর সেই সুযোগটাই নিচ্ছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো। তবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাতে বাণিজ্য করতে না পারে এবং সার্টিফিকেটসর্বস্ব চিকিৎসা শিক্ষা যাতে না হয় সরকারকে সে বিষয়ে অধিক সচেষ্ট হওয়া দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি।  
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেই শিক্ষকসংকট প্রকট। তারপর আবার বেসরকারী মেডিকেল কলেজ। দু-একটি বাদ দিলে দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি মেডিকেল কলেজেই শিক্ষকসংকট খুবই প্রকট। এমনকি মাত্র ১০ জন শিক্ষক দিয়েও মেডিকেল কলেজ চালানো হচ্ছে। এছাড়া অনেক মেডিকেলেরই নেই একাডেমিক ভবন। ভাড়া বাড়িতেই পরিচালনা করছেন তাদের কার্যক্রম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সরকারিভাবে সাতক্ষীরা, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, নোয়াখালী, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ, গাজীপুরসহ বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয়া হয়। এদের মধ্যে বেশক’টি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে পূর্ণাঙ্গ অধ্যাপককেও নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নেই, অথচ নতুন নতুন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এমনকি একসঙ্গে ১১টি মেডিকেল কলেজেরও অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১-তে (সংশোধিত) অনেক নতুন বিষয় সংযুক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত সংশোধিত বসরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ স্থাপনা নীতিমালা অনুসারে যে কোনো নতুন মেডিকেল কলেজ একাডেমিক কার্যক্রম চালুর অন্তত ২ বছর আগে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু করতে হবে। এক্ষেত্রে ৫০ আসনের মেডিকেল কলেজের ক্ষেত্রে কমপক্ষে আড়াইশ’ বেডের হাসপাতাল, কলেজ একাডেমিক ভবন ও হাসপাতাল ভবন আলাদা রাখতে হবে। তবে কোনো মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালই ভাড়া বাড়িতে পরিচালনা করা যাবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বনিম্ন ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর আসনবিশিষ্ট বেসরকারী মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য কমপক্ষে কলেজের নামে ২ একর জমিতে অথবা নিজস্ব জমিতে কলেজের একাডেমিক ভবনের জন্য ১ লাখ বর্গফুট এবং হাসপাতাল ভবনের জন্য ১ লাখ বর্গফুট ফ্লোর স্পেস থাকতে হবে। আর মহানগরীর বাইরে ৪ একর নির্মাণযোগ্য জমিতে অথবা নিজস্ব জমিতে ১ লাখ বর্গফুট ফ্লোর স্পেস থাকতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেকটি বিষয়ে প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক রাখার বিধান আছে। তবে শুরুতে একাডেমিক ও হাসপাতাল মিলে সর্বনিম্ন মোট ১ লাখ ২৫ হাজার বর্গফুট প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ ফ্লোর স্পেস থাকলে মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেয়া যাবে। পরবর্তী ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ২ লাখ বর্গফুট ফ্লোরস্পেসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে হবে। আর বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শুধুমাত্র নির্ধারিত প্লট/জমিতেই স্থাপন করতে হবে। জানা যায়, বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল ৪১টি। বর্তমানে ৬৮টি মেডিকেল কলেজ। এছাড়া দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে ৩১টি।
সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করে দেখা যায়, অধিকাংশেরই নেই আবসিক সুবিধা। মূল ভবনেই চলছে চিকিৎসা শিক্ষার প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম। তার সঙ্গেই চিকিৎসা সেবা। অথচ বেসরকারি মেডিকেল স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১-এর ২.৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, একই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসহ আলাদা একাডেমিক ভবন ও হাসপাতাল ভবন থাকতে হবে।
মেডিকেল কলেজগুলোর দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত একজন পরিদর্শক জানান, বর্তমান সরকারের আমলে রাজধানীতে যেকটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই নীতিমালা অনুসরণ করেনি। এগুলোকে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পূর্বে অনুমোদন পাওয়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বেশির ভাগই শর্ত মানে না। অস্থায়ী অনুমোদন পেয়েই তারা বেপরোয়া বাণিজ্য শুরু করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দক্ষ চিকিৎসক তৈরির প্রত্যয় এবং বাণিজ্য না করার কথা বলে মেডিকেল কলেজের অনুমতি নিলেও শতভাগ বাণিজ্যিক হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, একটি স্বনামধন্য মেডিকেল কলেজে ১৪২ মার্কস পেয়েও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। অথচ ওখানে ১৭০ পাওয়া শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়নি। তিনি জানান, ভর্তির ক্ষেত্রে নির্দেশ থাকে প্রথমে মেধা তালিকা থেকে, এরপর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নেয়ার। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটা না মেনে অধিক অর্থের বিনিময়ে কম মার্কস পাওয়া শিক্ষার্থীকে সুযোগ দেয়া হয় শুধুমাত্র বাণিজ্য করার জন্য। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সরাসরি টাকার বিনময়ে সার্টিফিকেট না মিললেও ভর্তিসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় পাসের ক্ষেত্রেও নেয়া হয় বড় অঙ্কের উৎকোচ। আর এভাবেই এক সময়ে সার্টিফিকেট পেয়ে চিকিৎসক বনে যান।
এদিকে বর্তমানে স্থগিত থাকা খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ, রংপুরের কছির উদ্দিন মেডিকেল কলেজ, রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ এবং ইউএস ডেন্টাল কলেজের অনুমোদন নিয়েও জোড় তদবির চলছে। এছাড়াও অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে শেরপুরের জিনোম মেডিকেল কলেজ, ধামরাইয়ের রাবেয়া মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুরের সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের নাম। যদিও নোয়াখালীতে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল তা বাদ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখায় পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবদুর রশীদ ইনকিলাবকে বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মানসম্মত চিকিৎসা শিক্ষা ফিরিয়ে আনতে সরকার বদ্ধ পরিকর। নীতিমালা না মানায় ৩টিকে বন্ধ করা হয়েছে। ২টির আসন সংখ্যা কমানো হয়েছে। তিনি বলেন, নি¤œমানের শিক্ষাব্যবস্থা বিরাজ করায় এসব মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হয়েছে। এরকম আরও ৮/১০টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে যাদের অবস্থাও খুবই খারাপ। চিকিৎসক তৈরিতে যে সব যোগ্যতা থাকা দরকার তার কিছুই নেই। মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে না পারলেও তাদের বিরুদ্ধেও শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) নাসির আরিফ মাহমুদ অবশ্য বলেছেন, নতুন করে আর কোন মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। এমনকি গত সভায় ৫টি মেডিকেল আসন বৃদ্ধির আবেদন করেছিল। আমরা তা আপাতত স্থগিত রেখেছি। এছাড়া মেডিকেল শিক্ষাকে আধুনিকায়নের চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, গত বছর বিদেশী কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তিতে অধিক টাকার বিনিময়ে নি¤œমানের দেশীয় শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
































































 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন