শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাশ্মীরে ঢুকতে বাধা, মোদি সরকারের সমালোচনায় মার্কিন সিনেটর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:০১ পিএম

কাশ্মীরে ঢুকতে না পেরে এ বার নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন। গত দু’মাস ধরে উপত্যকাকে কার্যত অবরুদ্ধ এবং বহির্বিশ্বের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার কথায়, ‘কিছু লুকনোর না থাকলে, সেখানে ঢুকতে দিতে ভয় পাওয়ার কথা নয়।’

সম্প্রতি দু’দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন। গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দিল্লিতে একাধিক আমলা এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখাও করেন। তার এক সপ্তাহ আগে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়ে কাশ্মীরে ঢোকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। তার কারণেই মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘নিজের চোখে কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে চেয়েছিলাম। সেই মতো এক সপ্তাহ আগে থেকে আবেদন জানিয়ে রেখেছিলাম। তা সত্ত্বেও অনুমতি দেয়া হয়নি। কাশ্মীরে যাওয়ার পক্ষে এখন সময় অনুকূল নয় বলে জানিয়ে দেয়া হয় আমাদের।’

ক্রিস ভ্যান হলেনের বাবা ক্রিস্টোফার ভ্যান হলেন সিনিয়র একসময় পাকিস্তান ও ভারতে মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। পাকিস্তানের করাচিতে জন্মেছেন ক্রিস। কোদাইকানালের একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তাই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তিনি। ক্রিস বলেন, ‘কাশ্মীরে গিয়ে নিজের চোখে পরিস্থিতি কেমন দেখতে চেয়েছিলাম। ভারত সরকারের আপত্তিতে তা হয়ে ওঠেনি। কোনও কিছু লুকনোর না থাকলে, সেখানে পা রাখা নিয়ে ভয় থাকার কথা নয়। আমার মতে, কাশ্মীরের যা ঘটছে, ভারত সরকার তা কাউকে দেখতে দিতে চায় না।’ এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে সরকারি সূত্রে খবর, নিরাপত্তার কারণেই অন্য দেশ থেকে আসা বিশিষ্ট মানুষদের কাশ্মীরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

ভারতীয় ও পাকিস্তান বংশোদ্ভূত মুসলিম অধ্যুষিত মেরিল্যান্ডের সিনেটর ক্রিস আগেও একাধিক বার জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন। তার উদ্যোগেই গত সপ্তাহে হাউজ অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস্ কমিটিতে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একটি বিশেষ বিল গৃহীত হয়। তাতে উপত্যকার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, অবিলম্বে কাশ্মীরের সর্বত্র কারফিউ তুলে নিতে হবে। মুক্তি দিতে হবে সমস্ত বন্দিদের। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করে চালু করে দিতে হবে ইন্টারনেট পরিষেবাও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন