তীব্র স্রোতে টানা এক সপ্তাহ ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার পর রোববার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রুটে সকল ফেরি চলতে না পারলেও ১০/১১টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহ নদীতে তীব্র স্রোত থাকার কারণে ফেরি চলাচল চরম ব্যাহত হয়। এ পরিস্থিতিতে শনিবার বেলা ২টার দিকে মাত্র ৩টা ফেরি দিয়ে শুধু যাত্রী পারাপার করা হয়। রুটে চলাচলকারী অন্য ফেরি গুলো স্রোতের বিপরীতে চলতে না পারায় বন্ধ রাখা হয়। রোববার পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে স্রোতের তীব্রতাও কিছুটা কমে আসে। এতেকরে রুটে চলাচলকারী ১৬টি ফেরির মধ্যে কখনো ১০টি আবার কখনো ১১টি ফেরি যানবাহন পারাপার করে। তবে স্রোতের তীব্রতা এখনো থাকার কারণে ফেরিগুলোকে প্রতি ট্রিপে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগছে।
সরেজমিন দেখা যায়, রোববারও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে নদী পারাপার হতে আসা যানবাহন দৌলতদিয়া ঘাটে এসে সিরিয়ালে আটকা পড়ছে। দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ক্যানেল ঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার যাত্রীবাহি বাসের সাড়ি রয়েছে। এদিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ৯ কিলোমিটার দুরে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় পন্যবাহি ট্রাক সিরিয়ালে আটক রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিরিয়াল থেকে ওই সকল ট্রাক দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছাড়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যাবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, দৌলতদিয়া ঘাট পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। স্রোতের তীব্রতা আরো কমে এলে রুটের সকল ফেরি স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারবে। এতে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে যানবাহন পারাপার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন