বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী ফাহাদকে যে রুমে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয় সে রুমে নিয়মিত মদের আসর বসত। সরজমিনে পদক্ষীন করে এ সংক্রান্ত আলামত দেখতে পায় এ প্রতিবেদক।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নিজ কক্ষ ২০১১ থেকে ডেকে ২০১১ তে নিয়ে মারধর করা হয় ফুয়াদকে। এতে নিহত হয় ও শিক্ষার্থী। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রবিবার রাত আটটার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারধরের সময় ওই কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু। তিনি বলেন, আবরারকে শিবির সন্দেহে রাত আটটার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়। সেখানে আমরা তার মোবাইলে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার চেক করি। ফেসবুকে বিতর্কিত কিছু পেইজে তার লাইক দেয়ার প্রমাণ পাই।
সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই। এক পর্যায়ে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। এরপর হয়তো তাকে মারধর করে থাকতে পারে। পরে রাত তিনটার দিকে শুনি আবরার মারা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন