বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, দেশে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের লেবাসে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে, পাড়া মহল্লায়, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অপারাধীরা নির্বিঘেœ পার পেয়ে যায়। বাংলাদেশ ক্রমে ক্রমে সে জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে আপন সন্তানকে যদি মেরে ফেলা হয় বাবা প্রতিবাদ করতে ভয় পাই। আমি আগামী প্রজন্মকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাহস নিয়ে দাঁড়াতে বলছি।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম বলেন, ‘নতজানু নীতির সমালোচনা করতে গিয়ে আবরার খুন হয়েছে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে সমস্ত জাতি তাকিয়ে থাকে যে এখান থেকে জাতির ভবিষ্যত মাথারা বের হবেন, সে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যখন এমন নৃশংস খুন হয় তখন আমাদের আর বুঝতে বাকি থাকেনা বাংলাদেশ কী অবস্থায় রয়েছে।’
প্রতœতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কাব্য কৃত্তিকা বলেন, ‘একজন মানুষকে তার আদর্শিক পরিচয়ের কারণে মেরে ফেলা যায় না। সে যদি শিবির করে আর শিবির করা যদি ঘৃণ্য হয় তাহলে দেশে আইন আছে। আইন তার বিচার করবে। একজন মানুষ সে যেকোন আদর্শেরই হোক না কেন নাস্তিক বা শিবির বলে তাকে হত্যা করা জায়েজ হতে পারে না।’
উল্লেখ্য, রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন