বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নীলার দাপটে প্রশাসনও অসহায়

‘নীলা মার্কেট’ নিয়ে ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশে তোলপাড়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও এক সময়ের ব্র্যাক কর্মি ফেরদৌসি আলম নীলাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দৈনিক ইনকিলাবে স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে ‘নীলা মার্কেট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল মঙ্গলবার তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ক্ষমতার নাগাল পেয়ে এরই মধ্যে অবৈধ উপায়ে শ’ শ’ কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে গেছেন নীলা।
পূর্বাচলে ৭০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে। এখন ঐ এলাকার নাম শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম এলাকা হিসেবেই চেনে মানুষ। কিন্তু রাষ্ট্রিয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর নামে দেয়া এ নাম বদলে দিয়ে এলাকার নাম বারবার ‘নীলা মার্কেট’ নামে প্রচার করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আলম নীলা। তার এহেন দৃষ্টতায় অবাক এলাকাবাসি। কয়েক বছরে ব্র্যাক কর্মি থেকে সরকারি দলের ছোঁয়ায় অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে তিনি এখন ধরাকে সরাজ্ঞান করছেন।

এ সব ব্যপারে দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় এলাকাবাসি, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও সুশিল সমাজের মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন ইনকিলাব কর্তৃপক্ষকে। সে সাথে তারা ফেরদৌসি আলম নীলার অঢেল সম্পদের উৎস বের করার দাবি জানিয়েছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা। পত্রিকা বিক্রেতা জাহিদ হোসেন বলেন, উপজেলার ভুলতা, গোলাকান্দাইল, মুড়াপাড়া, পাড়াগাঁও, রূপগঞ্জ, ইছাপুড়া, ইছাখালী, বাগবেড়, ৩০০ ফুট ভোলানাথপুর, দাউদপুর, কাঞ্চন, হাটাব, বেলদি, ভোলাব, তারাবসহ বিভিন্ন এলাকায় ইনকিলাব পত্রিকার চাহিদা রয়েছে। তবে, ইনকিলাবে ‘নীলা মার্কেট’ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ওইসব এলাকায় পত্রিকার চাহিদা আরো বেড়ে যায়। কোন কোন এলাকায় পত্রিকা বিক্রেতারা ফটোকপিও বিক্রি করেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে তার নামের স্টেডিয়াম এলাকা বদলে দিচ্ছেন স্থানীয় এই নেত্রী নীলা। স্থানীয় লোকজন বলছেন তার কত দুঃসাহস! দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার, বৈধ অবৈধ জমির মালিকানা, রাধানীতে বহু দোকান, ফ্ল্যাট, গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন অবৈধ পথ ধরে। এখন তোয়াক্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রীকেও। শুধু তাই নয়, পুর্বাচল উপশহরে প্লট বানিজ্য, টেন্ডারবাজি, বালুর কমিশন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি প্রদান, আবাসন প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ, দখলবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে ফেরদৌসি আলম নীলা ও তার স্বামী শাহআলম ফটিকের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েক জন সচিবের নাম ভাঙ্গিয়ে নীলা বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। নীলার দাপটে প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও টু-শব্দ করার সাহস পায়না।

অভিযোগ রয়েছে, ইছাপুড়া এলাকার বিলাশ বহুল বাড়িটি জোরপূর্বক প্রশাসনের নাকের ডগায় এক বিঘা সরকারি জমিতে নির্মাণ করেছেন। সরকারি জমিতে বাড়ি নির্মাণে বাঁধা দিলে বেশ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ে থাকা সচিবকে ব্যবহার করে স্থানীয় প্রশাসনকে থামিয়ে দেন। নীলার দাপটে ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিদের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, যদি সরকারি জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ সঠিক থাকে, তাহলে বাড়ি ভেঙ্গে সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হবে। এছাড়া যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নামে স্টেডিয়াম সেখানে অন্য কারো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করবে তা কোনোভাবে সহ্য করা হবেনা। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
নজরুল ইসলাম ৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০৬ এএম says : 0
এখন তাদের হাতে পুরো দেশ জিম্মি
Total Reply(0)
খুরশিদ শাহ ৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০৭ এএম says : 0
দৈনিক ইনকিলাবকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Total Reply(0)
জহির ৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০৮ এএম says : 0
দাপট তো তাদেরই থাকবে। কারণ তাদের দল ক্ষমতায়
Total Reply(0)
দীনমজুর কহে ৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:১৫ এএম says : 0
সীমা লংঙনকারীকেআল্লাহও সহ্য করেননা, বয়াবহ পরিনতি অপেখ্খমান। পত্রিকার খবর যদি সঠিক হয়,তা হলে বয়াবহ পরিনতি তার জন্য অপেখ্খা করছে ইহাই সত্য।ইনকিলাব দেশ ও মানুষের জন্য।সত্য ও ন্যায়ের পখ্খে ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন