ঢাকার সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) সমস্যা দীর্ঘদিনের হলেও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ট্যানারীর সলিড বা কঠিন বর্জ্য সামাল দিতে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কঠিন বর্জ্যকে পণ্যে রূপান্তরিত করা শুরু হলে ৯০ ভাগ সমস্যা কমে আসবে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে যারা আগ্রহী তাদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।
মঙ্গলবার হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকার চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্প পরিদর্শন ও প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখানে জায়গা দেয়া হবে। ফলে তারা ৯০% বর্জ্য নিয়ে নেবে। বাকি ১০% বর্জ্য সামাল দিতে সহজ হবে।
তিনি আরও জানান, হাজারীবাগে সলিট বর্জ্য নিয়ে কোন সমস্যা ছিলো না। যারা সলিট বর্জ্য দিয়ে পণ্য তৈরি করে আসছিলো তাদের জন্য কোন জায়গা না থাকার ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন ২০ টন সলিট বর্জ্য নিয়ে যায়।
সালমান এফ রহমান আরো বলেন, ডিসেম্বরের মাসে লেভেল ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডাব্লিউজি) সাভারের চামড়া শিল্প নগরী পরিদর্শন ও অডিটের জন্য আসবে। তারা সন্তুষ্ট হলে রপ্তানিতে এখন যে সমস্যা হচ্ছে তা সমাধান হয়ে যাবে।
পাইপ লাইনে নদীতে সরাসরি বর্জ্য যাওয়ার বিষয়ে বুয়েটের দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোরবানীর পর চামড়ার অতিরিক্ত চাপ থাকায় সিইটিপির পাইপ লাইনে ময়লা গিয়ে বাঁধার সৃষ্টি করছে, ফলে কিছু পানি উপচে উঠে পরিশোধন ছাড়াই ড্রেনের মাধ্যমে নদীতে গিয়ে পড়ছে। নিয়মিত পাইপ লাইন পরিস্কার রাখা হলে এবং সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশন হলে ডিসেম্বরের মধ্যে এই সমস্যা আর থাকবে না।
এসময় শিল্প মন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ ছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত,গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২৩টি ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করেছে। ১৩০টি ট্যানারীতে স্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে, ১১৪টি ট্যানারীতে পানির সংযোগ দেয়া হয়েছে, ট্যানারীর নিজস্ব ডিপ টিউবঅয়েলের মধ্যে ৫৭টিতে মিটার সংযোগ দেয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন