খুলনায় দুর্গাপূজায় অতিরিক্ত মদপানে নারীসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার ও গত মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ৫ জন।
মৃতরা হলেন, অমিত শীল (২২), ইন্দ্রানী (৩০) ও দ্বিপ্ত বিশ্বাস (১৮), নগরীর গ্যালাক্সোর মোড়ের সুজন শীল (২৬), গল্লামারীর প্রসেনজিৎ দাস (২৯), তার আপন ভাই তাপস দাস (৩৫), ভৈরব টাওয়ারের রাজু বিশ্বাস (২৫) ও রূপসা রাজাপুর এলাকার পরিমল। ।
রূপসার আইচগাতী ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই ইব্রাহীম জানান, অষ্টমী পূজার দিনে রাজাপুর গ্রামের সমীর বিশ্বাসের স্ত্রী ইন্দ্রানী বিশ্বাস (২৫), নির্মল দাসের ছেলে দিপ্ত দাস (২২) এবং সত্য রঞ্জন দাসের ছেলে পরিমল দাসসহ (২৫) কয়েকজন মদপান করে। তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিমল দাসকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইদ্রানী ও দিপ্ত দাসকে খুলনা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার দুপুরে পরিমল দাস এবং গতকাল বিকেলে দিপ্ত এবং ইন্দ্রানী মারা যান।
খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আলমগীর ও ডা. ওমর ফারুক জানান, হতাহতরা দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীতে আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে মদ পান করেছিলেন। অতিরিক্ত মদ্যপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আবদুর রাজ্জাক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা খুমেক হাসপাতালে ছুটে যান। তারা মৃতদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন খোঁজখবর ও তথ্য নেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান জানান, যারা মারা গেছেন তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা বিদেশি মদ পান করেছিলেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে যে, তারা অতিরিক্ত মদ পান করে ছিল কিনা বা মদের মধ্যে বিষাক্ত কিছু ছিল কিনা। মদের উৎস সন্ধান এবং বিক্রেতাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন