মানসিক রোগের মধ্যে সচরাচর বেশি পরিলক্ষিত হয় বিষন্নতা এবং উদ্বেগজনিত রোগ। যা কর্মস্থলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে উদ্ভূত। এরফলে কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতার ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। এমনকি কর্মক্ষেত্রের মানসিক চাপ থেকে কর্মী হয়ে পারেন আত্মহত্যা প্রবন। পড়তে পারেন হার্ট আটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপী ৩০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ বিষন্নতায় ভোগে, যা কর্ম প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ। ২৬০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উদ্বেগজনিত রোগে ভুগছেন। অনেকেই আবার বিষন্নতা এবং উদ্বেগ দুটির সঙ্গেই বসবাস করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত এক গবেষণায় প্রতি বছর বিষন্নতা এবং উদ্বেগরোগ বিশ্ব অর্থনীতিতে ১ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলারের মতো উৎপাদন হ্রাস করছে। তাছাড়া কোনো ব্যক্তি যদি মানসিক চাপে থাকে তা হলে তার মানসিক রোগের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে অথবা নতুন করে মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। গবেষণায় আরও জানা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ মনোযোগে সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, স্মরণশক্তি হ্রাস ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি করে। এছাড়া মানসিক সমস্যার পাশাপাশি কিছু গুরুতর শারীরিক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উন্নত মানসিক স্বাস্থ্যের সমর্থনে প্রচলিত প্রচেষ্টার সামগ্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়।
কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট ফওজিয়া শারমীন বলেন, এবারের মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য আত্মহত্যা প্রবণতা কমানো। শারীরিক স্বাস্থ্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। এর যে কোনো একটিতে সমস্যা দেখা দিলে কেউ সুস্থ থাকতে পারেনা। তাই সুস্থ থাকার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। এই মনোচিকিৎসক বলেন, অনেক সময় আমরা মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেই না। এর ফলে একসময় শারীরিক সুস্থতাও ব্যাহত হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন