শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ড্রয়ে সমাপ্তি দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের লড়াই

জার্মানি-আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:১৫ এএম

প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধের অসাধারন নৈপুণ্যে ড্র জার্মানির বিপক্ষে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা। ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে বুধবার রাতে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মধ্যে প্রীতি ম্যাচে ২-২ ড্র করে জয়ের সমতূল্য এক ড্রয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় জিনাব্রিই আর্জেন্টিনার বুকে প্রথম আঘাত হানেন। দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন এই মিডফিল্ডার। এর আগের মিনিটেই অবশ্য এগিয়ে যেতে পারতো তারা। দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন ইউলিয়ান ব্রান্ডট। তবে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন এই মিডফিল্ডার।
কিছুক্ষণ পরেই দলকে আনন্দে ভাসান জিনাব্রি। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে ডিফেন্ডারদের ঘিরে থাকা অবস্থায় এক টোকায় সামনে বাড়িয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে জিনাব্রির এটি দশম গোল।
২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। মাঝমাঠে মার্কোস রোহোর ভুলে বল ধরে লুকাস ক্লোসতামান অনেকখানি ছুটে ডান দিকে জিনাব্রিকে পাস দেন। আর তিনি বাড়ান ছোট ডি-বক্সের মুখে কাই হাভার্টসকে। অনায়াসে বাকিটা সারেন তরুণ এই মিডফিল্ডার। জাতীয় দলের হয়ে এটা তার প্রথম গোল।
৩১তম মিনিটে ভাগ্যের জোরে তৃতীয় গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। ২৫ গজ দূর থেকে লাইপজিগের লেফট-ব্যাক মার্সেলের দারুণ ফ্রি-কিক ক্রসবারে বাধা পায়। দুই মিনিট পর অবশ্য পোস্টে বল লাগার হতাশায় ডোবে অতিথিরা। প্রায় ২৪ গজ দূর থেকে মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পলের অতর্কিত জোরালো শট দূরের পোস্টে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে আবারও প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় জার্মানি। তবে এবার গোলরক্ষককে একা পেয়ে দুর্বল শটে সুযোগ হারান এমরে কান। ৬৬তম মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে লড়াইয়ে ফেরে জার্মানি। বাঁ দিক থেকে মার্কোস আকুনার ক্রস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান বায়ার লেভারকুসেনের ফরোয়ার্ড লুকাস আলারিও।
চার মিনিট পর লেয়ান্দ্রো পারেদেসের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান জার্মানির গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ব্যবধান ধরে রাখতে পারেননি বার্সেলোনার এই গোলরক্ষক। ৮৫তম মিনিটে দারুণ গোছানো আক্রমণে সমতা টানে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ডি-বক্সে আলারিওর ছোট করে বাড়ানো বল পেয়ে জায়গা বানিয়ে কোনাকুনি শট নেন সেভিয়া মিডফিল্ডার ওকামপোস। বল এমরে কানের শরীর ছুঁয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন