বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেশে বিদেশে সম্পদের পাহাড় সেই মিজানের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৪৬ এএম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান। মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, জমি দখল, টেন্ডারবাজির মাস্টার হিসেবে বেশ সুপরিচিত তিনি। নিজের কোনও ব্যবসা নেই, তবুও দেশে-বিদেশে রয়েছে তার কোটি কেটি টাকার সম্পত্তি। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মিজানের আলিশান দুটি বাড়ি ও দামি গাড়ি থাকার সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

দুর্নীতিগ্রস্ত এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোরে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে তার এক বান্ধবীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে ঢাকায় নিয়ে এসে প্রথমে লালমাটিয়ায় তার কাউন্সিলর কার্যালয়ে এবং পরে মোহাম্মদপুরে আওরঙ্গজেব রোডে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। কার্যালয়ে অবৈধ কিছু না পেলেও বাসা থেকে ছয় কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক ও এক কোটি টাকার এফডিআর উদ্ধার করে র‌্যাব।

প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে র‌্যাব জানায়, কাউন্সিলর মিজানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনাকারীদের সঙ্গে মিজানের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেফতার এড়াতে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন মিজান। এর জন্য গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) তিনি ঢাকা ছেড়ে শ্রীমঙ্গলে চলে যান। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার মিজান ব্যাংক থেকে ৬৮ লাখ টাকা তুলেছিলেন। তবে সেই টাকা কোথায় রেখেছেন সেটি স্বীকার করেননি। কাউন্সিলর মিজানের বিরুদ্ধে সিলেটের শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অস্ত্র মামলা এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মানিলন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম জানান, ‘কাউন্সিলর মিজানের বাসায় অভিযান চালিয়ে ছয় কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের ৮টি চেক পাওয়া যায়। এছাড়াও ৩টি এফডিআর মিলে মোট ১ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, বিভিন্ন ডেভেলপার্স কোম্পানির জমি দখলে সহায়তার জন্য এসব চেক তাকে দেওয়া হয়েছিল।’

সারোয়ার আলম আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে মিজানের নিজস্ব কোনও ব্যবসা নেই। কাউন্সিলর হিসেবে যে সম্মানী (৩৬ হাজার টাকা) পান সেটিই তার একমাত্র আয়ের উৎস। তবে উদ্ধার হওয়া কোটি টাকা ও বিদেশে বাড়ি-গাড়ি কীভাবে হয়েছে মিজানের? আমরা ধারণা করছি, এসব সম্পত্তি সে অবৈধ অর্থ দিয়ে গড়েছেন।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন