মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির কাছে বকেয়া পাওনা আদায়ে সরকার সময় অতিবাহিত করছে বলে অভিযোগ করেছে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। শনিবার (১২ অক্টোবর) সংগঠনটির সভাপতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী গ্রামীণফোন ও রবি’র কাছে পাওনা যথাক্রমে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ও ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা আদায়ের লক্ষ্যে বিটিআরসির সাথে আপোষ-মীমাংসা করে বলেছিলেন, “তিন সপ্তাহের মধ্যে ‘উইন উইন সিচুয়েশনে’ থেকে বকেয়া পাওনা আদায় করা হবে। যাতে করে কারোরই হার-জিত না হয়।” তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর ‘উইন উইন সিচুয়েশন’র সময় অতিবাহিত হয়েছে কোন অগ্রগতি ছাড়াই। অথচ জিপি ও রবি গত ৭ অক্টোবর বিটিআরসির পাঠানো লাইসেন্স বাতিলের নোটিশের জবাবে বলেছে বিটিআরসির অডিট আপত্তি ভিত্তিহীন। অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল জিপি ও রবির মামলা প্রত্যাহার করবে এবং বিটিআরসির তাদের নোটিশও প্রত্যাহার করবে। কিন্তু কোন পক্ষই এই নির্দেশনা মান্য করেনি। বরং উল্টো বিটিআরসির পাওনাকে ভিত্তিহীন বলে জনগণের টাকায় অডিট নিষ্পত্তির ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিটিআরসি যদি প্রমাণ করতে না পারে যে অপারেটরদের বক্তব্য সঠিক নয় তাহলে বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়ভার নিয়ে সরে দাঁড়ানো উচিত। দেশের সকল গ্রাহক দ্রুত সময়ের মধ্যে এই পাওনা আদায় ও মীমাংসা চায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন