মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শেখ হাসিনার পরিবর্তে খালেদা জিয়ার নাম ঘোষণা করে জনরোষে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ

সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:৫৪ পিএম

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবর্তে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাম ঘোষণা করে জনরোষের শিকার হয়েছেন গুমানতলী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মুহিত। এ সময় অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করে রেহাই পেয়েছেন তিনি।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে নির্মিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এরই অংশ হিসেবে গুমানতলী ফাজিল মাদ্রাসায়ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য একে ফজলুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মুহিত শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবর্তে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত সাধারণ জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার ও সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য একে ফজলুল হক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মুহিতকে অনুষ্ঠান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এ সময় পালিয়ে রক্ষা পান তিনি।

পরে অনুষ্ঠানের সভাপতি একে ফজলুল হক এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার অধ্যক্ষকে উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস প্রদান করলে উপস্থিত জনতা শান্ত হয়।

স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
হারুন ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:১১ পিএম says : 0
ভাগ্য ভালো , মনে হয় সভায় ছাত্রলীগ ছিলনা।
Total Reply(0)
এ এইচ ভূইয়া ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:৪১ পিএম says : 0
উপরে না ভিতর এর কথা বেরিয়ে এসেছে।
Total Reply(0)
VroMor ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:০৩ পিএম says : 0
Rajakar takay k dawat dicay ?
Total Reply(0)
ইব্রাহিম ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:০৭ পিএম says : 0
সারা জীবন আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের ইঁদুর থেকে শুরু করে কেঁদ্রীয় সভাপতি পর্যন্ত সবাই সারা বাংলাদেশের মুসলিমদের রাজাকার বলে গালি দিছে, নির্যাতন করেছে এবং হত্যা করেছে.
Total Reply(0)
খন্দকার ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:১২ এএম says : 0
সবাইকে রাজাকার বলা উচিত নয় তবে না বুঝে শুনে যদি এমন কোন কথা বা অভিব্যক্তি প্রকাশ পায় যা আমাদের স্বাধীনতার চেতনার সংগে মিল না থাকে এবং আওয়ামী লীগ করেন বা না করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অকৃত্রিম ভালো বাসা বা শ্রদ্ধা ও নেতৃত্বে সাথে অন্য কাউকে জরয়ে দিলে তিনি রাজাকার হবেনই
Total Reply(0)
Ripon ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৫:৩৮ পিএম says : 0
Tar khoma chawa uchit.
Total Reply(0)
Shakil ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:২০ পিএম says : 0
ভিতরে যা ছিল মুখ ফসকে বেড়িয়ে আসছে । আল্লাহ্ মালুম তার কপালে কি আছে
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন