শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

বাউফলে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র

নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী (মাসুম), বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

পটুয়াখালীর বাউফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অধিনে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে কেশবপুর ইউনিয়নের তালতলি ভড়িপাশা ইসমাইলিয়া দাখিল মাদরাসা ও ঘূর্ণিঝড় বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভবনের তিনতলায় উঠার জন্য র‌্যাম সিঁড়ি নির্মাণ করতে কয়েকটি আরসিসি কলাম কেটে রড বের করা হয়েছে। অথচ ওই আরসিসি কলাম ঢালাইর আগেই র‌্যাম সিঁড়ির রড বাধার কথা ছিল। এর ফলে ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর আল আমিন সিকদার নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই ভবনের নির্মাণ কাজ করছেন। গত বছর নভেম্বর মাসে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে। ওই সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ আনা হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআই) রাজিব বিশ্বাস তা আমলে না নিয়ে কাজ চলমান রাখে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের চাপে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ৯ মাস কাজ বন্ধ রাখে। এরপর চলতি বছর সেপ্টেম্বও মাসে পুনরায় ওই ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে।

ওই মাদরার সুপার আলতাফ হোসেন অভিযোগ করেন, তিনতলা বিশিষ্ট এই ভবনের র‌্যাম সিঁড়ি নির্মাণ করতে কয়েকটি আরসিসি কলামের মাঝ বরাবর কেটে রড বেড় করা হয়েছে। যার ফলে ওই কলামগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। এর মধ্যে জোড়াতালি দিয়ে র‌্যাম সিঁড়ি নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ চলাকালিন সময় সংশ্লিষ্ট দফতরের কোন লোকজন না থাকাতে ঠিকাদার তার ইচ্ছামতো কাজ করছে। জাকির হোসেন নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিযুক্ত একজন ম্যানেজার কাজটি দেখাশুনা করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে টাকা দিয়ে এই অনিয়মকেও হালাল করে ফেলবে ঠিকাদার।

স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মকর্তাদের যথাযথ তদারকি না থাকার কারনেই এমন ঘটনা ঘটেছে যার ফলে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের একজন প্রকৌশলী জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনভিজ্ঞতার কারণেই এমনটি হয়েছে। নিয়মানুযায়ি অরসিসি কলাম ঢালাই করার সময়ই র‌্যাম সিঁড়ির রড বাঁধা উচিৎ ছিল। এখন কলাম কেটে র‌্যাম সিঁড়ির রড বাঁধা সমুচিন হবে না। উচিৎ হবে পুরো কলাম দুইটি ভেঙে আবার নতুন করে করা। তা না হলে পুরো ভবনটিই ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পরবে।

এ ব্যাপারে ওই মাদরাসার সভাপতি ফেরদৌউস ভুট্টো বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ করে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ কোন কর্ণপাত করেননি। পরে নিরুপায় হয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন