পঞ্জিকার হিসাবমতে আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। তবে মেঘরাজি, বর্ষা-বাদলের বাহক দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুমালা বাংলাদেশের ওপর বিরাজমান থাকে পঞ্জিকার ‘বর্ষাকালে’র অনেকদিন পরও। সচরাচর যা ভাদ্র ও আশি^ন (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) মাস অবধি কমবেশি সক্রিয় থাকে। এরফলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে।
তবে এবার বর্ষার মৌসুমী বায়ুর বিদায়ের পালা শুরু হয়ে গেছে। সেই সাথে শুরু হয়েছে দেশের আবহাওয়ায় স্বাভাবিক পালাবদল। গতকাল (রোববার) আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ তথা দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে।
দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে মৌসুমী বায়ুর বিদায়ের আবহ তৈরি হয়ে আছে। তাছাড়া বাংলাদেশের উপকূলভাগ সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে আশি^ন মাস বিদায়লগ্নে। নবান্নের হেমন্ত দুয়ারে কড়া নাড়ছে। আবহাওয়ার পালাবদলে এখন দেশের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রার পারদ নিচের দিকে রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সিলেটে ৩৪.৫ ডিগ্রি সে.।
দেশের অধিকাংশ স্থানে দিনের বেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ছিল ৩১ থেকে ৩৩ ডিগ্রি এবং রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রি সে.। গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৩.৫ এবং সর্বনিম্ন ২৪.২ ডিগ্রি সে.।
আজ (সোমবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। চট্টগ্রাম বাদে দেশের প্রায় সর্বত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের আরও কিছু অঞ্চল থেকে বিদায় নিতে পারে। এরপরের ৫ দিনে মৌসুমী বায়ু অবশিষ্ট এলাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে।
কুয়াশার পূর্বাভাস না থাকলেও উত্তরাঞ্চল, পার্বত্যাঞ্চল ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভোরবেলা হালকা কুয়াশা পড়ছে। আছে হালকা শীতের আমেজ।