বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

গণগ্রেফতারের স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটনে নিরাপত্তা নিয়ে বসছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এসব গ্রেফতার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব সংলাপে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হবে।
অংশীদারিত্ব সংলাপ সম্পর্কে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আমেরিকান সেন্টারে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মত বাংলাদেশেরও পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী কিভাবে কাজ করবে তার বিধিবদ্ধ নিয়ম রয়েছে। আমাদের মতে, এসব অভিযানের সময়ে ঘটা হত্যাকা-গুলোর তদন্ত সম্পর্কে নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিবেদন দেয়া উচিত। তদন্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো বিচ্যুতি পাওয়া গেলে তা সংশোধনের জন্য কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রে আমরা এই নিয়ম অনুসরণ করে থাকি।
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ ও ২৪ জুন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুই দেশের সার্বিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যানন। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালসহ দুই দেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেবেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠেয় এ সংলাপে আলোচনার শীর্ষে থাকছে নিরাপত্তা সহায়তা। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার আগে বার্নিকাট বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, যেকোনো সরকারের জন্য নিরাপত্তা এক নম্বর কাজ, আসন্ন অংশীদারত্ব সংলাপেও এটা শীর্ষ আলোচ্য বিষয় থাকবে। তিনি বলেন, ভুলক্রমে নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তা নয়, এটা এমনিতেই দাবি করে।
বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সংলাপে তুলবে কিনা জানতে চাইলে বার্নিকাট বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী যতটা সম্ভব শক্তিশালী দেখতে চান তাঁরা, যেখানে আইন অনুযায়ী স্থানীয় প্রহরীরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন না।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দুর্দান্ত পেশাদারি নিরাপত্তা দিচ্ছে মার্কিন কূটনীতিকদের। বাংলাদেশের কিছু বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পক্ষে দূতাবাস।
ঢাকায় অন্যান্য কূটনৈতিক মিশন এবং হাজার স্থাপনার মতো মার্কিন দূতাবাসও নিরাপত্তার জন্য বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল। পঞ্চম অংশীদারত্ব সংলাপে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র উত্থাপন করবে।
ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বার্নিকাট বলেন, আমরা স্বচ্ছ তদন্ত দেখতে চাই এবং হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি দেখতে চাই।
সংলাপে মানবাধিকার, সুশাসন, বহুজাতিক অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো তুলবে যুক্তরাষ্ট্র এবং এসব চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে কাজ করবে দুই দেশ। এ ছাড়া অর্থপাচার, জঙ্গি অর্থায়ন, অভিবাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামর্থ্য উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পরিবেশ, শিক্ষা নিয়ে অংশীদারত্ব চুক্তি আলোচনা করা হবে। অর্থনীতির জন্য ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় উভয় দেশই এটাকে নিরাপদ দেখতে চায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন