বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুদক চেয়ারম্যান পদ থেকে ইকবাল মাহমুদের সরে যাওয়া উচিত

ব্যারিস্টার তাপস বললেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবশ্যই সরে যাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি। গতকাল সোমবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংস্থাটির চয়ারম্যানের অবশ্যই পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেয়া হয়নি। এটি দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের ব্যর্থতা কি না-জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অবশ্যই। আমি এ কারণে গতকাল একটি সভায় বলেছি, দুদক চেয়ারম্যান যদি বলে থাকেন বা বলতে চান বা মনে করেন, তিনি কোনও প্রভাবের কারণে এ ব্যবস্থা নেননি তাহলে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। সে কারণে তার অবশ্যই পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। যদি তিনি মনে করেন, তিনি কারও কথায় প্রভাবিত হবেন না তাহলে আমরা মনে করি, শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের পদক্ষেপ নেবে দুদক।

আব্দুল হাই বাচ্চুকে নিয়ে দুদকের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি কয়েক দফা তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত কোনও মামলা করা হয়নি। তাই আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন, শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের এ বিষয়ে জবাবদিহিতা দরকার। কেন এখন পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর ব্যাপারে কোনও মামলা করা হয়নি এবং তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তা জানা দরকার।

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আমরা বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় দেখেছি, তদন্ত করে দেখেছি বেসিক ব্যাংকের মাধ্যমে ফিনান্সিয়াল সেক্টরে যে দুর্নীতি হয়েছে তার মূল ব্যক্তি তৎকালীন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু। যার কারণে সরকার তাকে সেই পদ থেকে অপসারণ করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত যতগুলো দুর্নীতির মামলা হয়েছে, আমরা লক্ষ্য করেছি শুধুমাত্র কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের সেই মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তৎকালিন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনও দুর্নীতির মামলা করা হয়নি। যদিও তার স্বেচ্ছাচারিতা ও একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন ঋণের ব্যাপারে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। সেটা আমাদের স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়েছে।

এদিকে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদক চেয়ারম্যান একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থার পদ। সুপ্রিমকোর্টের তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে ও বাছাই কমিটির মাধ্যমে তার নাম প্রস্তাব হয়। রাষ্ট্রপতি তাকে নিয়োগ দেন। এখান থেকে তিনি পদত্যাগ করবেন কি না এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। খুরশিদ আলম খান বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যকে আমরা সমর্থন করছি। উনি চাইছেন বেসিক ব্যাংক মামলার চার্জশিট হোক। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে বা একজন সচেতন আইনজীবী হিসেবে উনি চাইতে পারেন। এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করি। দুদকের এ আইনজীবী আরো বলেন, কিছুদিন আগে দুদক চেয়ারম্যান বলেছিলেন এখানে ৪ হাজার কোটি টাকার বিষয়। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি অনেক টাকা উদ্ধার হওয়ার পথে। মানিলন্ডারিং মামলার প্রধান বিষয় টাকার উৎস এবং টাকাটা কোথায় গেছে তা খুঁজে বের করা। এখন টাকার যদি গন্তব্য বের করা না যায় তাহলে তো এ চার্জশিট আদালতে প্রশ্নের সম্মুখিন হবে। তার মানে এই না যে, অনন্তকাল পর্যন্ত চার্জশিট হবে না। আমি যতটুকু জানি টাকার গন্তব্য খুঁজে বের করা হলে চার্জশিট হয়ে যাবে।

চার্জশিটে আবদুল হাই বাচ্চুর নাম থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ আলম খান বলেন, তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে অবশ্যই নাম থাকা উচিত। যদি গ্রহণযোগ্য তথ্য প্রমাণ থাকে তাহলে অবশ্যই নাম আসবে। উল্লেখ্য, বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ৫৬টি মামলা করে দুদক। বেসিক ব্যাংক থেকে অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে-মর্মে অভিযোগ রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মিজান ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৩২ এএম says : 0
একজন সাবেক সেনা অফিসারকে সেটআপ করুন, যার কোনো ব্যাড রিভিউ নাই এবং ইকবাল মাহমুদকে তার হেল্পার হিসাবে রাখুন.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন