শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রংপুরে আসামির মৃত্যুতে পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও

পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

আটকের কয়েক ঘণ্টা পর রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ভেন্দাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, ১ জন এসআই এবং ৪ জন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার এলাকাবাসীর আন্দোলনের মুখে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, পুলিশ ফাঁড়িতে আটক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, আটক ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এ নিয়ে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন গ্রামবাসী। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ রাবার বুলেট ও গুলি চালায়। এতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এএসপিসহ আট পুলিশ সদস্য রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। বুধবার সকাল পৌনের ৯টার দিকে ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র আসামির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে নামেন গ্রামবাসী। এ ঘটনায় দুপুর আড়াইটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তেজনা চলছিল। সংঘর্ষে নিহত শামসুল হক পীরগঞ্জের শান্তিপুর মির্জাপুর এলাকার মৃত মফিজউদিনের ছেলে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ডি সার্কেল হাফিজুর রহমানসহ আট পুলিশ আহত হয়েছেন।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ জানান, শামসুল হককে চোলাইমদসহ মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকাল পৌনের ৯টার দিকে হাজতের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গায়ের ফতুয়া দিয়ে তার ফাঁস দেয়া লাশ দেখা যায়।

এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, ফাঁড়ির ইনচার্জ দুই লাখ টাকা দাবি করেছিল। সেই টাকা না দেয়ায় শামছুল হক পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ। একজন পশু ব্যবসায়ীকে অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে মাদক ব্যবসার আসামি হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। এখন মৃত্যু হওয়াতে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতেই আত্মহত্যার কথা বলা হচ্ছে।
ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯ টার দিকেও শামছুলের সাথে কথা বলেছি। কিছুক্ষণ পরেই গিয়ে দেখি থানা হাজতের গ্রিলের সাথে গামছা ও পাঞ্জাবী গলায় পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি। তার কাছে কোন চাঁদাও দাবি করা হয়নি। আসামিকে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামির মৃত্যু নিয়ে যেহেতু সন্দেহ রয়েছে। এ কারণে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টি এ এম মোমিনের নেতৃত্বে পীরগঞ্জ থানায় শামসুল ইসলামের লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ইউএনও জানিয়েছেন, সুরতহালে লাশের দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন