বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘সব ক্ষত দৃশ্যমান নয়’

আত্মহত্যা রোধে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পরিচর্যার তাগিদ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রামে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ইডিইউ’র উদ্যোগে গতকাল (বুধবার) মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘সব ক্ষত দৃশ্যমান নয়’ শীর্ষক উক্ত সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও আলোচকগণ বলেছেন, বিশে^ আত্মহননের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। মানসিক সমস্যা বা ভারসাম্যহীনতাই এর মূল কারণ। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কিশোর-কিশোরী কিংবা শিক্ষার্থীদের মাছে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। আত্মহনন রোধে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজসহ সামগ্রিক পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, মানসিক সঙ্কটগ্রস্তদের সমস্যা উত্তরণে উপযুক্ত পরিচর্যা ও তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের তাগিদ দেয়া হয় সেমিনারে।

ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে ইডিইউ সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন চমেক হাসপাতালের ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট মাহজারিন গাফফার। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইডিইউর ভিসি অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, সাধারণত অন্যান্য অসুস্থতা সকলেই অনুভব করতে বা দেখতে পান। কিন্তু মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র একজন বিশেষজ্ঞই পারেন সমস্যা চিহ্নিত এবং তা নিরাময়ের ব্যবস্থা করতে।
ইডিইউর ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, মানসিক অসুস্থতা সবসময় জিনগত নয়। অনেক সময়েই পারিপাশি^ক ও সামগ্রিক পরিস্থিতি-প্রতিবেশে নানাবিধ ঘটনা জীবনের চলার পথকে তীব্রভাবে প্রভাবিত করে। যা সাংঘর্ষিকভাবে আবির্ভূত হয় মানসিক অসুস্থতা রূপে।

এরফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রায়ই অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের পড়ালেখা ব্যাহত হয়। এরজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যুনতম সহযোগিতা প্রদানের দায়িত্ব হিসেবে একাডেমিক বিষয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও কাউন্সেলিং করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন তিনি।
ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট মাহজারিন গাফফার বলেন, সংবেদনশীল প্রাণী হিসেবে যেকোনো মানুষই মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারে। বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৩১ শতাংশ এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ২২.৯ শতাংশ বিভিন্ন মাত্রায় মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। অথচ এ বিষয়ে অনেক সময়ই তারা নিজেরাও ওয়াকিবহাল থাকেন না। এ বিশাল এক জনগোষ্ঠির ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের পরিপূর্ণ প্রকাশ ব্যাহত হচ্ছে। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়েই আমাদের মিশতে হবে।

তিনি বলেন, আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। অধিকাংশ ব্যক্তিই আত্মহত্যার সময় কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত থাকেন। সাধারণত সেটা গুররুত্ব দেয়া হয়না। অথবা মানসিক রোগ নিশ্চিত হলেও যথাযথ চিকিৎসা করা হয়না। এতে করে আত্মহত্যার ঘটনা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনা সম্ভব।
সেমিনারে ইডিইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস-উদ-দোহা, মহাপরিচালক সৈয়দ শফিকউদ্দীন আহমেদ, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়–য়াসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন