মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

‘ফিট’ প্রমাণের ম্যাচে মুস্তাফিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

এমনিতেই দেশে মানসম্পন্ন পেসার নেই যথেষ্ট। তার ওপর আবার তাদের একের পর এক চোট লেগেই আছে। সব মিলিয়ে দেশের পেসারদের নিয়ে যথেষ্ট দুর্ভাবনায় আছেন মিনহাজুল আবেদীন। তবে প্রধান নির্বাচকের আশা, ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিটনেস নিয়ে কড়াকড়ির ইতিবাচক প্রভাব সামনে পড়বে পেসারদের ফিটনেসেও।

চোটের কারণে এবার জাতীয় লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কা আছে তাসকিন আহমেদ ও ইয়াসিন আরাফাতের। চোটের কারণেই প্রথম রাউন্ডে খেলতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। আরেক পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ফিরতে পারবেন না নভেম্বরের আগে। টুকটাক চোট আছে আরও কয়েকজন পেসারের। এই চোটাক্রান্তদের নিয়েই আজ থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড।

পেসারদের এই পিছু না ছাড়া চোট সমস্যা যথেষ্টই ভোগান্তির জন্ম দিচ্ছে, গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন মিনহাজুল, ‘গত ছয় মাস ধরে আমরা পেস বোলারদের নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কায় আছি। কারণ এখন এমন একটি অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে অনেক খেলোয়াড় ইনজুরিতে। যদি দশ জনের একটি তালিকা করি, তাহলে দেখা যাবে পাঁচজনই ইনজুরিতে পড়ে আছে। এইচপিতে অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে, তারাও ইনজুরিতে পড়েছে। এটি আমাকে যথেষ্ট ভোগাচ্ছে।’

পেসারদের চোট সমস্যা অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন নয়। তবে সেই ধারাই বদলাতে চান নির্বাচকেরা। এই মৌসুম থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিটনেস নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে অনেক। প্রধান নির্বাচকের আশা, এর সুফল মিলবে সামনে, ‘আমাদের পেস বোলারদের নিয়ে সবসময় একটি প্রশ্ন আছে যে ফিটনেস নেই। এখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে আমরা যেভাবে ফিটনেসের জন্য গুরুত্ব দিচ্ছি ,এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এর ফলাফল অবশ্যই পাওয়া যাবে। ফিটনেস না থাকলে দুই ইনিংসে বল করা আসলেই অনেক কঠিন।’

তবে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা মুসআফিজকে ঘিরে। শরীরে তার দুটি পুরোনো চোট। একটি কোমরে অপরটি গোঁড়ালিতে। পুরোপুরি সেরে উঠেননি বিধায় চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে খেলা হয়ে উঠেনি। খুলনা বিভাগের হয়ে খেলতে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করলেও নির্বাচকেরা তাকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। এরপর বিসিবির ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফতের অধীনে হোম অব ক্রিকেটে চলেছে ইনজুরির পুনর্বাসন। পরিস্থিতি আগের চাইতে উন্নতি হওয়ায় দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় অংশ নিতে পরশুই পৌঁছেছেন খুলনায়।

বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে ১৭ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় জাতীয় লিগের এই রাউন্ডে তিনি খেলবেনও। কিন্তু শুধু খেলার জন্য খেললেই হবে না, ফুল ইন্টেনসিটিতে বোলিং করে দেখাতে হবে। পুরোপুরি ফিটনেসের প্রমাণ দিতে চার দিনের এই ম্যাচের দুই ইনিংসে তাকে প্রতিদিন ১৫ ওভার করে বোলিং করে দেখাতে হবে। অবশ্য ফিজিও ক্যালেফতেও দিনে তাকে এর চাইতে বেশি বোলিংয়ের অনুমতি দেননি। যদি নিজের সক্ষমতার প্রমাণ রাখতে পারেন, তবেই মিলবে ভারতের ‘টিকিট’। মুস্তাফিজকে উদ্দেশ্য করে এভাবেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন প্রধান নির্বাচক নান্নু, ‘অবশ্যই ওকে প্রমান দিতে হবে। প্রতিদিন ১৫ ওভার করে বল করতে হবে। ফিজিও আমাকে একটি গাইডলাইন দিয়েছে। ওর প্রথম ম্যাচ থেকে খেলার কথা ছিল। যেহেতু ওর গোড়ালিতে একটু সমস্যা আছে, এই কারণে পুরোপুরি লোড সে নিতে পারছে না। পুরোপুরি লোড না নিতে পারলে দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলতে পারবে না। এখন সে রিকভার করেছে। দেখার বিষয় যে সে কত ওভার বল করতে পারে। একটা গাইডলাইন দিয়েছে যে ১৫ ওভারের বেশি বল করতে পারবে না দ্বিতীয় ম্যাচটিতে। সেই হিসেবে আমরা এটি দেখবো এবং ওর ফিটনেসের ব্যাপারে চিন্তা করবো। এক এক ইনিংসে পার ডে ১৫ ওভার পর্যন্ত করতে পারবে।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Abdul Alim Hazrat ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:৪৮ এএম says : 0
আমার মতে টেস্টে তাসকিন ভাইকে রাখা হোক কারণ আমাদের বাউনসার বলিং প্রয়োজন কেননা একমাত্র বাউনসারি পারবে ইন্ডিয়ার ব্যাটিং ধশে দিতে
Total Reply(0)
Himel ২৪ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৩২ পিএম says : 0
তাসকিন কে আমাদের দরকা
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন