অনুমতি না দিলেও আগামী ২২ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ডাকসু'র সাবেক নেতৃবৃন্দদের উদ্যােগে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
'বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে' এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনাদের আর শোক সভা করার প্রয়োজন নাই। কিন্তু আমরা শোক সভা করবো। আর আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা সেটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করবো। পু্লিশ ঘেরাও করে রাখবে? রাখুক। আমি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে অনুরোধ করে রাখতে চাই, আমি আহ্বান জানাচ্ছি- ঢাকা মহানগরের যে কোটি কোটি মানুষ আছেন, আমরা যদি আপনাদের কাছে নাও যেতে পারি এবং যথেষ্ট প্রচার করতে নাও পারি। আপনারা এই কর্মসূচিতে আসেন। আর যদি অনুমতি না দেওয়া হয়, যদি বাধা দেওয়া হয়। এরপরও আমরা সেই কর্মসূচি পালন করবো। কারণ আবরারের মৃত্যু মানে শুধু মৃত্যু নয়। আবরারের মৃত্যু মানে একটা প্রতিবাদ।
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি, হত্যা ও গুমের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এতো অন্যায় করে যে সরকার আছে, এই সরকারের দিন শেষ। আমাদের একবার আটকাতে পারবেন, দ্বিতীয় বারও আটকাতে পারবেন, কিন্তু তিনবার আটকাতে পারবেন না।
মান্না বলেন, আমরা ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বসেছি। বসে কথা বলেছি এবং চিন্তা করেছি। বলেছি, আমাদের নেতার এবং আমাদের পিতার শোক যদি ৪০ বছরে শেষ না হয় তাহলে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর শোক ৪ বছর ধরে চললে উনা'র (প্রধানমন্ত্রী) কেনো গা জ্বলবে?
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, সরকার ভারতকে বলেছেন, যা চান তাই দেবো। শুধু আমাদের গদিতে রাখেন। এবার এই গদি ধরেই টানবো। আর হঠাৎ করে গদির পা এমন ভাবে ভেঙে যাবে যে, আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না। আমরা সেই আন্দোলন করবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর আবরারের মৃত্যুর প্রতীক আমরা ধারন করে এই লড়াই অব্যাহত রাখবো।
সভাপতির বক্তব্যে জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, আজকে কেউ কেউ ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে চান। ছাত্র রাজনীতি তো অপরাধ নয়। কারণ ছাত্র রাজনীতি না করলে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হতো না, ছাত্র রাজনীতি না হলে এদেশের গরীব মানুষের ছেলেরা পড়া লেখা করতে পারতো না এবং এদেশ স্বাধীন হতো না। তাই অপরাধ ছাত্র রাজনীতির নয়। অপরাধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের। আর ছাত্র রাজনীতি কেউ বন্ধ করতে পারে নাই। কারণ ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা যায় না।
বিচারবিভাগকে উদ্দেশ্য করে আবদুর রব বলেন, বিচারবিভাগ আইন অনুযায়ী রায় দেবেন। জামিন ও মুক্তি দেবেন। সেটা না করে প্রশাসনের নির্দেশে আপনারা রায় দিচ্ছেন। ভারতের প্রধান বিচারপতিকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। বিচারক সাহেবেরা মনে রাখবেন, একদিন সময় আসবে- এই ফ্যাসিবাদিরা বিদায় নেবে, তখন আপনাদেরকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
আসম আবদুর রবের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন