বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

অনেক মানুষ তখনই বাঁচবে যখন সন্ত্রাস নির্মূল হবে

কুর্দিশ অঞ্চলে শোনা গেল মুহুর্মুহু গোলার আওয়াজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

সিরিয়াল কুর্দিবিরোধী অভিযানে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় তুরস্ককে নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি বলেন, অনেক মানুষ তখনই বাঁচবে যখন সন্ত্রাস নির্মূল হবে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এতে করে অনেক মানুষের জীবন বাঁচবে।’ এই টুইটের জবাবে এরদোগান বলেন, অনেক মানুষ তখনই বাঁচবে যখন আমরা সন্ত্রাসকে নির্ম‚ল করতে পারবো। ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-কে তুরস্কে পাঠানোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পেন্স জানান, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। তবে সেটা মাত্র পাঁচদিনের জন্য। ট্রাম্প বলেন, ‘তুরস্ক সঠিক কাজ করেছে এবং সেজন্য আমি এরদোয়ানের প্রতি সম্মান জানাই।’ এক টুইটে তিনি বলেন, দারুণ খবর। লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচবে। জবাবে এরদোয়ান আরেকটি টুইট করে বলে, অনেক মানুষ তখনই বাঁচবে যখন আমরা সন্ত্রাসকে নির্ম‚ল করতে পারবো। কারণ এটাই মানবজাতির সবচেয়ে বড় শত্রু।েআমি আশা করি আমাদের যৌথ চেষ্টা এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনবে। তুরস্কের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘও। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘জাতিসংঘ চার্টার ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে বেসামরিকদের সুরক্ষায় যেকোনও পদক্ষেপকে স্বাগত জানান মহাসচিব।’ অপর এক খবরে বলা হয়, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠকে একটি অস্ত্রবিরতিতে সম্মতি হওয়ার পরও উত্তর সিরিয়ার রাস আল-আইন থেকে গোলাবর্ষণ ও বন্দুকযুদ্ধের মুহুর্মুহু ধ্বনি শোনা গেছে। কুর্দিশ বাহিনী ওই অঞ্চলটি থেকে প্রত্যাহারের শর্তে চুক্তিতে রাজি হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। রাস আল-আইন থেকে তুরস্কের সিলাপিনার সীমান্ত থেকে মেশিনগানের গুলি ও গোলা নিক্ষেপের আওয়াজ আসছিল। সিরীয় শহরের একটি অংশ থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এরদোগানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর অস্ত্রবিরতির কথা ঘোষণা করেন মাইক পেন্স। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তির তারিফ করে বলেন, এতে লাখ লাখ মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে। এদিকে সিরিয়া সংকটে সামনে থেকে কাজ করা জেমস জেফরি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তুরস্কের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে কুর্দিরা সন্তুষ্ট নন। আর চুক্তিতে পৌঁছাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ওয়াশিংটন মুলা ঝুলিয়ে লাঠি দেখানোর নীতি অবলম্বন করেছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এমন তথ্য জানা গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে ভ্রমণের সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এ অঞ্চলে থাকবে বলেই আশা করেছিলেন ওয়াইপিজি যোদ্ধারা। যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, অভিযান শুরু হওয়ার পর তিন লাখ বেসামরিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনি। সংস্থাটি জানায়, অন্তত ৫০০ লোক নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে কয়েক ডজন বেসামরিক লোক রয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই কুর্দিশ। হামলা শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়ে তুরস্ক। ইউরোপীয় দেশগুলো আংকারার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রয়টার্স, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
llp ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:২৫ এএম says : 0
Sooner or later Bangladeshi muslim people will have to face the fate of Kurds. No one will accept us as a nation and India, China, Mayanmar, and Pakistan will all start kicking our ash sooner or latter. Bangladesh will have to face this evil fate because (1) ourl BAL foreign policy is directionless (2) India will never be happy with us unless it becomes a land of Hindu's only and our BAL office and military don't believe this (3) China will be unhappy for this BAL foreign policy (4) Mayanmar don't like us either and India-Pakistan-China will use Mayanmar to kick our ash as Pakistan-China did to the pro-indian Hindu Rastra Nepal and turn it to a secular anti-indian country. So wait, if you can't eliminate BAL from our history like we did MirJafar from our History, Allah (SWT) will make this nation as Kurds of south asia whom everybody punishes. There is lot more similarity of Kurdis politics and BAL politics.
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন