বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উপ সম্পাদকীয়

রোগীদের জিম্মি করে ডাক্তারদের আন্দোলন চট্টগ্রামে আদালতের পর্যবেক্ষণে ক্যাবের অভিনন্দন

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : রোগীদের জিম্মি করে স¤প্রতি চট্টগ্রামে ডাক্তারদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে আদালতের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। গতকাল (শনিবার) ‘ক্যাব’ নেতৃবৃন্দ এ বিবৃতি দেন।
‘রোগীদের জিম্মি করার অধিকার চিকিৎসকদের সংগঠন সংরক্ষণ করে না। চিকিৎসকেরা অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে নাÑ এটি গোষ্ঠিগত দাম্ভিকতা। গোষ্ঠিগত স্বার্থে অপরাধীকে আড়াল করা যাবে না।’ চট্টগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত (ভিকটিম) রোগীর স্বজনদের করা দু’টি মামলায় গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি তিন চিকিৎসকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে দেয়া আদেশের পর্যবেক্ষণে একথা বলেছেন আদালত। মামলার সুষ্ঠু তদন্তে বিঘœ ঘটে, এমন কোন ধরনের অনৈতিক প্রভাব বিস্তার কিংবা চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখাকে সতর্ক করেছেন আদালত। পর্যবেক্ষণে হয়, একটি পেশাজীবী সংগঠনের কার্যক্রম হওয়া উচিত তার পেশাকে আরও উন্নত করা এবং পেশাজীবী কেউ অপরাধ করে থাকলে সে বিষয়ে প্রতিকার করে পেশাকে আরও জনকল্যাণমুখী করার প্রচেষ্টা চালানো। চিকিৎসকসহ যে কোন মানুষ ত্রæটি-বিট্যুতির ঊর্ধ্বে নন।
ক্যাব চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ বলেন, ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ২ জন রোগীর স্বজনের চট্টগ্রামের আদালতে করা মামলায় এই যুগান্তকারী পর্যবেক্ষণ দেশের ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণের যে কোন অপতৎপরতার বিরুদ্ধে এটি দলিল, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করবে।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, চিকিৎসা পেশা একটি মহান সেবাধর্মী পেশা হলেও বর্তমানে কিছু কিছু চিকিৎসক এ মহান পেশাকে কাজে লাগিয়ে দিনে দিনে কোটিপতি হওয়ার বাসনায় লিপ্ত। এ কারণে রোগীদের সেবা, মানবতার সেবার চেয়ে অর্থই তাদের কাছে মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসক ও সুযোগ সুবিধা থাকলেও রোগীরা সেখানে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা পায় না। রোগীদেরকে সরকারী হাসপাতাল বাদ দিয়ে ক্লিনিক ও চেম্বারে যেতে পারমর্শ দেয়া হয়। কোন মানুষ রোগাক্রান্ত হলেই আগে পরামর্শ দেয়া হয় প্যাথলজিক্যাল টেস্ট ও অপারেশনের। কারণ এতে তাদের লাভ বেশী। এতে করে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবগুলো ব্যাঙের ছাতার মতো শহর, গ্রাম সর্বত্র ছাড়িয়ে পড়েছে। ক্লিনিকগুলো নামেমাত্র সেবা দিয়ে গলাকাটা বিল আদায় করছে। বিএমএসহ সরকার ও বিরোধীদলের সমর্থিত চিকিৎসকদের পেশাজীবি সংগঠনগুলির দৌরাতœ্য, একচেটিয়া প্রভাবের কারণে রোগীদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ কোন প্রকার নজরদারি করতে পারছে না। ফলে মানুষ অসহায় হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসার জন্য ভিড় জমায়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ‘ক্যাব’ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন