বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজনীতির মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ‘বিগত যৌবনা’: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:৫৩ পিএম

রাজনীতির মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ‘বিগত যৌবনা’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমি সবার প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, রাজনীতির মাঠে ওনারা (ঐক্যফ্রন্ট) বিগত যৌবনা। তাদের ডাকে কেউ আসছে না। তাদের জনপ্রিয়তা হারিয়ে গেছে। তারা যে কথাগুলো বলছেন, সেগুলো মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের জেএম সেন হল মাঠে তাঁতী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে। আমি ঐক্যফ্রন্টকে ধন্যবাদ জানাই, তারা মাঠে নেমেছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে শক্তিশালী বিরোধীদল প্রয়োজন আছে। কিন্তু সভা-সমাবেশ করতে তারা ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না। তাই কিছু একটাকে ইস্যু করার চেষ্টা করছেন। কখনো নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে ইস্যু করার চেষ্টা, কখনো আবরার হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করার চেষ্টা। কিন্তু এসব চেষ্টা হালে পানি পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, অবশ্যই আপনারা সরকারের সমালোচনা করবেন। সংসদে ও রাজপথে বিরোধীদল বস্তুনিষ্ট সমালোচনা করুক- আমরা সেটা চাই। এই সমালোচনা যাতে কন্টকাকীর্ণ পথচলাকে শাণিত করে। কিন্তু তারা যে অহেতুক সমালোচনা করে, সেটা দেশের জন্য, মানুষের জন্য শুভ নয়।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, আমি তাঁতী লীগকে বলবো, আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। আমাদের দলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। অনেকে নানাভাবে পদ পেয়েছে। বিরোধীদলে থাকার সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যারা নির্যাতন করেছে, তারা যেন কোনভাবেই দলে প্রবেশ করতে না পারে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন তাঁতী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬শ বৈজ্ঞানিক সম্মেলন
এর আগে শনিবার সকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) দু'দিনব্যাপী ১৬শ আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে এবছর ২ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। কমেছে আবাদি জমির পরিমাণ। তারপরও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশ এবছর ২ লাখ টন খাদ্য শস্য রপ্তানি করবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আগে আমাদের ঈদ-উল-আযহার সময় কোরবানির পশুর জন্য পাশের দেশের ওপর নির্ভর করতে হতো। এখন আমাদের পর্যাপ্ত প্রাণিসম্পদ রয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে গবেষণা এবং নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে। আর এর পেছনে অবদান রয়েছে সিভাসু’র মতো বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষকদের।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী।

দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং পেশাজীবীদের এ সম্মেলন জ্ঞান ও গবেষণার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সিভাসু একটি ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ হবে এবং কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে এটি হবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সিভাসু কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার আহ্বান জানান।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা নির্ভর করে গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা কর্মের ওপর। ঢাকায় টিচিং এন্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার স্থাপন, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকে ভ্রাম্যমান গবেষণা তরী নির্মাণ, হাটহাজারীতে রিসার্চ এন্ড ফার্ম বেইজড ক্যাম্পাস ও কক্সবাজারে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনসহ সিভাসু অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছে যা দেখে আমি মুগ্ধ।

সিভাসুর শিক্ষার্থীরা বিদেশে যাচ্ছে এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা কর্মকে সমৃদ্ধ করার জন্য এধরণের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বলেন পরিবেশবিদ ড. হাছান।

দু'দিনের সম্মেলনে মোট ৭টি টেকনিক্যাল সেশনে ৪টি মূল প্রবন্ধ এবং ৫২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ভারতসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রায় ৩০০ জন বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদ, পেশাজীবী, এনজিও কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন