বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পরিবর্তনের হাওয়া আ.লীগে

ইয়াছিন রানা | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে। সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকীয় পদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। ক্যাসিনোতে জড়িত থাকা ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে বাদ পড়তে পারেন কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ কেউ। এ ছাড়া দলের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসবে বলেও আলোচনা রয়েছে।

আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সম্মেলনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠন ৬ নভেম্বর কৃষক লীগ, ৯ নভেম্বর শ্রমিক লীগ, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সর্বত্রই এখন পরিবর্তনের হাওয়া। সহযোগী সংগঠনের নেতারা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন পদ পাবার জন্য। অন্য দিকে আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের পদ টিকিয়ে রাখতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, সম্মেলনে পরিবর্তন আসবে তা নিয়মিত বিষয়। প্রবীণদের জায়গায় নবীনরা আসবে তা চিরাচরিত নিয়ম। সম্মেলনের বিষয়ে একটা কথাই বলব- স্বচ্ছ, সৎ, দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত নেতারাই সব জায়গায় পদে আসবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা দেশে আসার পর দুঃসময়ে যারা ছাত্রলীগের হাল ধরেছিলেন এবং এক-এগারোর সময় যারা দলে ভূমিকা পালন করেছেন এবার দলের প্রেসিডিয়াম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য তাদেরই মূল্যায়ন হচ্ছে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। প্রেসিডিয়ামে থাকা প্রবীণদের প্রায় বেশির ভাগেরই ঠাঁই হচ্ছে। এখানে ঠাঁই পাবেন দলের বর্তমান কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য। এবার উপদেষ্টা পরিষদও হবে অনেক বেশি ‘শক্তিশালী’ ও ‘কার্যকর’।

এ দিকে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সবচেয়ে বড় চমক সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। যদি পরিবর্তন হয় তাহলে ওবায়দুল কাদেরের স্থলে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এ কয়জনের মধ্যে কেউ আসতে পারেন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিকেও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চারজন মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও দীপু মনি সবাই প্রমোশন পেয়ে প্রেসিডিয়ামে যেতে পারেন। সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে কয়েকজন পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন। দুইজন একই পদে থাকতে পারেন আবার কয়েকজন বাদ পড়ার আলোচনাতেও রয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বি এম মোজাম্মেলকে বিশেষভাবে মূল্যায়িত করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্পাদকমন্ডলীর মধ্যে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, সম্পাদকীয় কাজে সক্রিয় ছিলেন তারা বড় পদ পাবেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া বড় পদে আসতে পারেন।
এছাড়া সাবেক ছাত্রনেতা ও বিভিন্ন জেলা থেকে দলের জন্য ভূমিকা রেখেছেন এমন অনেককে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে আলোচনায় আছেন- বাহাদুর ব্যাপারী, লিয়াকত সিকদার, অজয় কর খোকন, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহমুদুল হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার রোটন। এ ছাড়া গতবারের মতো এবারও আলোচনায় না থাকা অনেককেই প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিয়ে আসতে পারেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগেও বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মহানগরের শীর্ষ নেতাদের ফোন করে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগে শীর্ষ পদে আসতে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। এতে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন, সাবেক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজের ছেলে মহানগর দক্ষিণের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ওমর বিন আব্দুল আজিজ তামিম।

মায়া চৌধুরীর অনুসারী নেতারা প্রচার করছেন তিনি আবারও মহানগরের দায়িত্ব পাচ্ছেন। যদিও তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের একটি প্রস্তুতি উপ-কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে অতীতে তার ছেলে দীপু চৌধুরীর কর্মকান্ড ও মেয়ের জামাই সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদের নারায়ণগঞ্জ সাত খুনের ঘটনায় জড়িত থাকায় ব্যাকফুটে রয়েছেন। কিন্তু মায়ার সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন নেই এবং তার মতো নেতৃত্ব দলের প্রয়োজন বলে মনে করেন তৃণমূলের অনেক নেতা।

এছাড়া আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে মহানগরের উপদেষ্টা। সহ-সভাপতি আবুল বাশার অরিজিনাল ঢাকাইয়্যা হিসেবে পরিচিত। বর্তমান কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত ঢাকাইয়্যা হিসেবেই সভাপতির পদ পেয়েছিলেন বলে মন্তব্য বেশির ভাগ নেতার। তাই সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আবুল বাশার বেশ আলোচনায়। তিনি রমনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ দিন। ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তার।

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ আবারও পদে আসতে পারেন। সাবেক ত্যাগী ছাত্রনেতা হিসেবে দলের জন্য অবদান রয়েছে এবং এক-এগারোর সময় দলের পরীক্ষিত নেতা হিসেবে বেশ খ্যাতি রয়েছে তার। এদিকে মেয়র সাঈদ খোকনও মহানগর দক্ষিণের শীর্ষ পদের জন্য আলোচনায় আছেন। তবে সাম্প্রতিক ডেঙ্গু ইস্যু ছাড়াও শাহে আলম মুরাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে দ্ব›েদ্বর কারণে বেশ সমালোচনা রয়েছে তার। লালবাগে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে ময়লা ফেলে রাখার বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়েছিল।

অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মরহুম এম এ আজিজের বড় ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর বিন আব্দুল আজিজ তামিম তরুণ নেতা হিসেবে আলোচনায় আছেন। লন্ডন থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী এ নেতা বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের পদে আছেন। একই সাথে তিনি বাংলাদেশ চিংড়ি ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া শীর্ষ পদে আলোচনায় আছেন- মহানগর নেতা হুমায়ুন কবির, কামাল চৌধুরী, গোলাম আশরাফ তালুকদার, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, আখতার হোসেন, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতারাও নড়েচড়ে বসছেন। নিষ্ক্রিয় মহানগর হিসেবেই পরিচিত আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এ কমিটি। সম্মেলনের আলোচনায় নেতারা বেশ সক্রিয় ও তৎপর হয়ে উঠেছেন। এখানে সভাপতি হিসেবে আলোচনায় আছেন- বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, মহানগর উত্তরের কোষাধ্যক্ষ ওয়াকিল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এ কাদের খান। এ ছাড়া মহানগরের সহ-সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও আলোচনায় আছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান, এস এম মান্নান কচি আলোচনায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্মেলন মানেই নতুন মুখ। তবে কোনো আপস নেই। দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ নেতারাই নেতৃত্বে আসবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
দীনমজুর কহে ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:১৭ এএম says : 0
ক্লিন ইমেজ নির্লোভ সাদা ও মুক্ত মনের নেতাদের কমিটিতে স্থান দিন ।যাদের দ্বারা দেশ ও জনগন উপকৃত হবে।
Total Reply(0)
দীনমজুর কহে ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:১৮ এএম says : 0
ক্লিন ইমেজ নির্লোভ সাদা ও মুক্ত মনের নেতাদের কমিটিতে স্থান দিন ।যাদের দ্বারা দেশ ও জনগন উপকৃত হবে।
Total Reply(0)
Lutfar Rahman ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
আওয়ামীলীগে যা হয় বড় আকারেই হয়।
Total Reply(0)
Hazi Salim Sarker ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
রাজাকারমুক্ত হবে'তো ?
Total Reply(0)
এসএম বাবলু ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
দুর্নীতিবাজ দের আওয়ামীলীগ এ জায়গা নাই। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ
Total Reply(1)
Dimond Hotle ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪৫ এএম says : 4
koto dekhlam
Md Zakir Hossain ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
মূল দল সহ অংগসংগঠন সব গুলিতেই শুদ্ধি অভিযান চালানো দরকার । অত্যাচারী দুর্নীতিবাজদের দল থেকে বের করে দিলে আশা করা যায় ভাল ফল পাওয়া যাবে। ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
MD Shaiful Islam ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
ডেলে সাজান বা সাজিয়ে ডেলে দেন যাই করেন কোন লাভ হবে না।
Total Reply(0)
ছুডু কোপার্নিকাস ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্‌‌র মতে এদের স্থানে এনে দিতে হবে সূক্ষ্ণবুদ্ধি ও উদারচিত্তের লোককে
Total Reply(0)
Tito Tito ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
যতই ঢেলে সাজানো হোক না কেন, যারা আসবে তারাও সন্রাত্রী কর্মকাণ্ডে জড়িত
Total Reply(0)
Hamid Montu ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
নিজ দলের নেতা কর্মীদের দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান, সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।
Total Reply(0)
আলী আজিম ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৩৬ পিএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আমরা জানি আপনার সততার কোন জুরি নাই আপনিও চান একটা পরিবর্তন হওক,অসাধু লোজজন বাদ পড়ুক,কিন্ত চারপাশে এত অসৎ লোকজন থাকতে আপনার একার পক্ষে আসলেও কতটা সম্ভব,প্রিয় নেএী এই ওবায়দুল কাদের উপকমিটিতেও আমাদেরকে বাদ দিয়ে নিজের মন মত লোকজন দিয়ে কমিটির প্রস্তাব করেছেন যা কিনা আপনি বাতিল করে দিয়েছেন,তবে প্রিয়নেএী আশাকরি এবার আপনার শুদ্ধিি অভিযানে এর কিছুটা সঠিক প্রভাব ফেলবে,আমি আপনার আনুগত্যের একজন রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের কর্মী,২০০৪/২১ আগষ্ট ভয়াবহ গ্রেনেট হামলায় আহতো হওয়া একজন কর্মী আজও বিবেচনাবিহীন,প্রিয়নেএী দলের দুঃসময়ে আমরাই মাঠেময়দানে আন্দোলন আমরাই ছিলাম,জীবনেও কিছুই প্রত্যাশা করিনা,প্রিয়নেএী আমাকে আপনার সরকারের অভাবনীয় সাফল্যের কথাগুলো জনমনে অকপটে বলার অধিকার দিন,দলীয় পদপদবীতে আসীন করে সমৃদ্ধ করোন ইনশাআল্লাহ কথা দিচ্ছি আপনার মান সম্মান সমন্বিত রাখব ইনশাআল্লাহ,, জয়বাংলা✌জয়বঙ্গবন্ধু
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন