বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অসামাজিক কার্যকলাপে আগ্রহ হারাচ্ছে পর্যটকরা

পারকি সৈকত

নূরুল আফছার তালুকদার, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

পারকি সৈকতে রিসোর্ট এন্ড হোটেলে অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপে আগ্রহ হারাচ্ছে পর্যটকরা। বঙ্গোপসাগরের উপক‚লে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম শহরের কাছে পাহাড় নদী ও সাগরের তীরে বিস্তৃত আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকত। এ সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকের ঢল নামে প্রতিদিন। চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে পরিবার পরিজন ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা দল বেঁধে ছুটে আসে এই সৈকতে। সৈকতে পর্যটক বাড়লে স্থানীয়রা সরকারি জমিতে গড়ে তুলেন দোকান ও রেস্তোরা। সেসব দোকান ও রেস্তোরার কারণে সৈকতের মাধুর্য্য বাড়লেও দোকান ও রেস্তোরাগুলোতে চলতো অসমাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড। দোকান ও রেস্তোরার পিছনে একটি রুম করে সেখানে চলতো নারী পুরুষের অবৈধ মেলামেশা। এ সকল নগন্য ও অসমাজিক কার্যকলাপ প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে কয়েকবার অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে না পারায় পারকি সৈকতের সৌন্দর্য্য ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে গত ৫মে সরকারি জমিতে অবৈধ ১১০টি দোকান ও রেস্তোরা উচ্ছেদ করে উপজেলা প্রশাসন। সৈকতে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও এখনও বন্ধ হয়নি অসমাজিক কর্মকান্ড। সৈকতের পাশে নিজস্ব মালিকানাধীন জমিতে স্থাপিু পার্কি রিসোর্ট এন্ড হোটেলে চলছে ব্যবসার নামে অসমাজিক কর্মকান্ড। রিজার্ভ সিএনজি ভাড়া করে হোটেলে রিসোর্টে এসে সিএনজি ড্রাইভারকে নিচে দাঁড়িয়ে রিসোর্ট এন্ড হোটেলে এসে অসমাজিক কর্মকান্ড সেরে আবার একই সিএনজি করে চলে যায় তারা।

সরে জমিনে দেখা যায়, এদের মধ্যে বেশির ভাগ রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও গার্মেন্টস কর্মীরা। ওই রিসোর্টে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় গত ৫ মে নারী পুরুষসহ ৬ জনকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ। এর পর ১৩ই অক্টোবর বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক পারভেজের নেতৃত্বে রিসোর্ট এন্ড হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ডে থাকার অভিযোগে ১০ যুবক যুবতীকে আটক করা হয়। এই অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড সোস্যাল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে পর্যটকরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে আগ্রহ হারাচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য এম.এ কাইয়ুম শাহ বলেন, পারকি সৈকতের অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করা খুব দ্রুত প্রয়োজন। এর জন্য স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। এটি বন্ধ করতে না পারলে সৈকতে পরিবার পরিজন নিয়ে আসতে পর্যটকরা আগ্রহ হারাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহম্মেদ বলেন, পারকি সমুদ্র সৈকতের অসমাজিক কার্যকলাপ বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোন অভিযোগ পেলে সাথে সাথে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ইতিমধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কয়েকজনকে জরিমানা ও সাজা প্রদান করা হয়েছে। সৈকতের হোটেলগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পারকি সৈকতের আধুনিকায়নে ৬৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন