বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ন্যায্য দাবি আদায়ের সংগ্রামে ক্রিকেটাররা

ইমরান মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

অনিশ্চয়তা কাটিয়ে মিলেছে সবুজ সঙ্কেত। অবশেষে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দল। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমীতে কিশোররা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সফর যাবার। চলছিল শেষ সময়ের ফটোসেশনও। সকলের মুখেই তখন হাসি। একদিকে যখন শঙ্কা কাটিয়ে আলোর বিচ্ছুরণ, ঠিক তার পাশেই একাডেমী মাঠে তখন ঘোর অন্ধকার। একে একে জড়ো হলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ প্রায় ৭০ জনের মতো ক্রিকেটার। এর আগেও অনেকবার এই জমায়েত হলেও এদিন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সকলের মুখই ভার। আর সেই অন্ধকার মুখ নিয়েই নিজেদের অসোন্তষ প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের। এমনকি, ১১ দফা দাবি তুলে দিলেন ধর্মঘটের ডাকও!

দাবি আদায়ে আন্দোলন শুধু বাংলাদেশে কেন প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশেই হচ্ছে অহরহ। তবে দেশের ক্রিকেটে এমন সমাবেশ করে আন্দোলনের দেখা গেছে এই প্রথম। ব্যাপারটা এমন নয় যে, হুট করে জমা হয়ে সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনের। সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে সকালেই। এ নিয়ে ফিসফাস শব্দ শোনা গিয়েছিল আগের দিন থেকেই। তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার ধর্মঘটের পরিকল্পনা লম্বা সময় ধরেই করছেন খেলোয়াড়রা। কেবল জানত না বিসিবিই।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের একটি সংগঠন আছে বটে, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। তবে তাদের দৃশ্যত কোনো কার্যক্রম নেই। সংগঠনের সভাপতি সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান একই সঙ্গে বিসিবি পরিচালকও। সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদও বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক। ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষার কিছুই এই সংগঠন দিয়ে হচ্ছিল না। আর তাতেই নিজেদের পথ নিজেদেরই বেছে নিয়েছে ক্রিকেটাররা।

একাডেমী মাঠে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ অনেক ক্রিকেটার। তবে দাবী তুলে ধরেছেন ১০ জন ক্রিকেটার। এক এক জন খেলোয়াড় একটি করে দাবী তুলেছেন। সাকিব তুললেন দুটি দাবী।

প্রথম দাবি তুলে ধরেন অভিজ্ঞ
ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম
‘আমার মনে হয়, আমরা যতটুকু সম্মান পাওয়ার যোগ্য, তা আমরা পাই না। আমাদের খেলোয়াড়দের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যে সংগঠন রয়েছে (কোয়াব), তাদেরকে আমরা কখনোই খেলোয়াড়দের জন্য, খেলোয়াড়দের পক্ষে কিছু করতে করতে দেখি না। তাদের বর্তমান কোনো কার্যক্রম খেলোয়াড়দের জন্য না। তারা আমাদের পক্ষে কথা বলেন না। তাই আমাদের প্রথম দাবি হলো, কোয়াবের যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আছেন, যারাই আছেন কোয়াব সংশ্লিষ্ট তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা খেলোয়াড়রা এইটা নির্বাচন করব, কারা পরবর্তীতে কোয়াবের দায়িত্ব নেবেন।’

দ্বিতীয় দাবি উপস্থাপন করেন সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ
‘আপনারা জানেন প্রিমিয়ার লিগের অবস্থানটা কী এখন। সব ক্রিকেটাররাই এ ব্যাপারে খুব অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এখানে পারিশ্রমিকের একটা মানদ- বেঁধে দেয়া হচ্ছে। ক্রিকেটারদের অনেক সীমা দিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমার যেভাবে আগে প্রিমিয়ার লিগ খেলতাম, ক্রিকেটাররা আগে যেভাবে চুক্তি করত। ক্রিকেটাররা নিজেদের পারিশ্রমিক নিয়ে সব সময় তৎপর থাকত। ক্রিকেটারদের সব ক্ষেত্রে ক্ষমতা থাকত। প্রিমিয়ার লিগে দলগুলোর সঙ্গে ক্রিকেটাররা নিজেরা চুক্তি করবে। দল নির্বাচন এবং পারিশ্রমিকের ব্যাপারে নিজেরা চুক্তি করবে। এটা আমাদের দ্বিতীয় দাবি, প্রিমিয়ার লিগ আগের পদ্ধতিতে চালানো হোক।’

তৃতীয় দাবি আসে আরেক অভিজ্ঞ সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের মুখ থেকে
‘আমাদের দ্বিতীয় দাবি বিপিএল সংক্রান্ত। আমরা জানি এ বছরের বিপিএল একটু অন্য নিয়মে হচ্ছে, সেটা অবশ্যই আমরা সম্মান করি। কিন্তু আমাদের প্রধান দাবি আগের নিয়মে যেভাবে বিপিএল হতো আগামী বছর থেকে আগের মতো বিপিএল চাই আমরা। স্থানীয় ক্রিকেটাররা যেন বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ন্যায্য মূল্য পায়। আমরা যেটা দেখি বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রচুর টাকায় চুক্তি করা হয়। কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেটাররা সেটা পায় না। এটা অবশ্যই করতে হবে যেন আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটাররা সেই পারিশ্রমিকটা পায়। সঙ্গে বিদেশি লিগগুলোর মতো আমাদের ক্রিকেটারদেরও ড্রাফটে নিজেদের ক্যাটাগরি পছন্দ করার সুযোগ দিতে হবে।’

এক সঙ্গে চতুর্থ ও পঞ্চম দাবি তুলে ধরেন টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান
‘ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ১ লাখ টাকা করতে হবে। ক্রিকেটারদের বেতন ৫০ শতাংশ বাড়াতে হবে। অনুশীলনের ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। জিম, ইনডোর, মাঠ সব কিছুর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ১২ মাসের জন্য কোচ, ফিজিও, ট্রেইনার নিয়োগ দিতে হবে। পরবর্তী মৌসুমের আগে আমরা চাই এই সুযোগ সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা হোক।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখানে অনেকগুলো ছোট ছোট ইস্যু আছে যেগুলো অনেক সময় বলা হয় না। এই জিনিসগুলোর উন্নতি খুব দরকার যদি আমরা ক্রিকেটের সংস্কৃতি ভালো করতে চাই। এখানে প্রথম হচ্ছে বল। আমরা যে বল দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি সেটা মানসম্মত হয় না। এমন বলে খেললে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আবার নতুন ধরনের বলের সাথে মানাতে কষ্ট হয়। ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা ১৫০০ টাকা থেকে বাড়াতে হবে। কারণ বিসিবি যে ফিটনেস লেভেল দাবি করছে ১৫০০ টাকায় পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয় না ক্রিকেটারদের।

ভেন্যুগুলোতে ক্রিকেটারদের ভ্রমণ খরচ ২৫০০ টাকা থেকে বাড়াতে হবে। বিভাগ ভিত্তিক যাতায়াতের জন্য বিমান ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে হবে। যে হোটেলের ব্যবস্থা করা হবে সেখানে কমপক্ষে জিম এবং সুইমিং পুল থাকা বাধ্যতামূলক। আপনারা যদি দেখেন মাঠে আমরা কী বাসে চড়ে আসি বা জাই। খুবই হতাশাজনক একটা বিষয়। মাঠে আসার জন্য ক্রিকেটারদের জন্য এসি বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।’

ষষ্ঠ দাবি তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক এনামুল হক জুনিয়র
‘জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা ৩০ জন করতে হবে এবং বেতন বাড়াতে হবে। তিন বছর ধরে বেতন বাড়ানো হয় না। সেটা বাড়াতে হবে।’

সপ্তম দাবি আসে বাংলাদেশের অন্যতম সফল ওপেনার তামিম ইকবালের কণ্ঠে
‘আমরা ক্রিকেট নিয়ে, ক্রিকেটারদের সম্মান নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের আজকের উদ্যোগ শুধুমাত্র ক্রিকেটারদের নিয়েই না। আপনি যদি চিন্তা করেন একটা গ্রাউন্ডস ম্যান। সে কি ধরনের বেতন পাচ্ছে। আপনারা সবাই দেখেন ওরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে। মাস শেষে হয়তো ৫-৬ হাজার টাকা পায়। কোচের কথা, আপনি যদি দেখেন আমরা নিজেরাই বাঙালি কোচদের প্রোমোট করতে চাই না। বিদেশি একটা কোচ যে টাকা বেতন পায় আমাদের হয়তো ২০ জন কোচ তা পায় না। এমনও সময় গেছে সম্প্রতি একটা সফরে দেশি কোচের অধীনে দল ভালো খেললেও পরবর্তী সিরিজে তাঁকে আর দায়িত্ব দেয়া হয়নি। আম্পায়ারিং নিয়ে আমরা সবাই অভিযোগ করি। আম্পায়ারদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে টাকা দিয়ে। আমরা তা দেই কি দেই না এটা আপনারা সবাই জানেন। আপনারা সবাই জানেন তাঁদের কি ধরনের বেতন দেয়া হয়। ফিজিও, ট্রেইনার সবার ক্ষেত্রেই একই। এখন উপযুক্ত সময় বাংলাদেশিদের প্রাধান্য দেয়ার।’

অষ্টম দাবি তুলে ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়
‘আমরা দুইটা চার দিনের আসর খেলি। বিসিএল এবং এনসিএল। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের ওয়ানডে ভার্সনে আমরা মাত্র একটি আসর খেলি (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ)। আমাদের আরেকটি আসর বাড়ানো উচিত। বিপিএলের মাধ্যমে আমরা একটি টি-টোয়েন্টি লিগেই খেলি। এ ছাড়া কোনো টি-টোয়েন্টি আসর হয় না। আমার কাছে মনে হয় বিপিএলের আগ মুহূর্তে একটি টি-টোয়েন্টি আসর হওয়া জরুরী। যাতে আমাদের বিপিএল আরও ভালো যায়। ওয়ানডের ব্যাপারে যেটা বলব আগে আমাদের জাতীয় লিগের আগে ওয়ানডে একটি খেলা হতো। পাঁচ বছর আগেও হতো। চার দিনের ম্যাচ খেলে আমরা একটি ওয়ানডে খেলতাম। সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা চাই ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের একটি ওয়ানডে আসর চালু করা হোক।’

নবম দাবি ছিল আরেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের
‘ঘরোয়া আসরের ক্ষেত্রে আমাদের একটি ফিক্সড ক্যালেন্ডার থাকতে হবে। তাতে আমরা যেন প্রস্তুতি নিতে পারি সারা বছরের।’

দশম দাবিটি উপস্থাপন করেন অন্যতম অভিজ্ঞ জুনায়েদ ইমরোজ সিদ্দিকি
‘পয়েন্ট হচ্ছে বিপিএল-প্রিমিয়ার লিগের টাকাটা আমরা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাই। যেমন শেষ প্রিমিয়ার লিগে দশটি দলই তাদের টাকা পরিশোধ করেছে। এখনও আমরা ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে এখনও ৪০ ভাগ টাকা পাই নাই। বোর্ডে অনেকবার যাওয়া হয়েছে, কোয়াবকেও অনেকবার বলা হয়েছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে এটা আমাদের প্রাপ্য না। আমাদের দলের অনেক ক্রিকেটারই যাওয়া আসা করে। এটা খুবই দৃষ্টিকটু। তো আশা করব, যে সময় দেওয়া থাকে সে সময়ের মধ্যে যেন পাই।’

একাদশ দাবিটি আসে শেষ দাবিটি জানান ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার ফরহাদ রেজার কাছ থেকে
‘ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের একটি নিয়ম বেধে দেয়া আছে যে দুটির বেশি খেলতে পারব না। এখন জাতীয় দলে খেলার বাইরে যে সময়টা আমরা পাই তখন যদি আমরা ফ্রি থাকি তাহলে যেন বাইরে খেলতে যেতে পারি, তাহলে আমাদের খেলাও হবে, অনেককিছু শেখাও হবে।’

সব দাবী উপস্থাপন করার পর মাইক্রোফোন সামনে আবার আসেন সাকিব। জানিয়ে দেন ধর্মঘটের কথাও, ‘এখানে আমাদের ঘরোয়া নিয়ে কথা হচ্ছে। আমাদের প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী, তৃতীয় শ্রেণীর ক্রিকেট কেমন- এটা আমরা সবাই জানি। বিভিন্ন সময় পত্রিকায় এসেছে। যে আমাদের মানটা আসলে কোথায় আছে। ম্যাচে যাওয়ার আগে অনেক সময় জানা যায় যে কোন দল জিতবে বা কোন দল হারবে। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। এটা ঠিক করা খুবই জরুরী। একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারের অনেক বিষয় থাকে এখানে। ধরেন ভালো একটা প্লেয়ার, সে ভালো বলে আউট হয়ে যেতেই পারে। কিন্তু দুটি বা তিনটি ম্যাচে যদি সে বাজে সিদ্ধান্তের কারণে আউট হয়ে যায়- তাহলে তাঁর ক্যারিয়ার ওখানেই শেষ হয়ে যায়। আমাদের পাইপলাইন ঠিক করা খুব জরুরী। এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট।’
‘এখানে আমরা মহিলা ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারিনি। এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করেই নেয়া। তাদের যদি দাবি-দাওয়া থাকে তারা আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। আমি নিশ্চিত তাদেরও দাবি আছে। তারা যদি আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তাহলে আমরা বিষয়টা তুলে ধরতে পারব।’

‘যেহেতু অনূর্ধ্ব-১৯ দল আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের আমরা এখানে অন্তর্ভুক্ত করছি না। বাকি সবাইকে নিয়েই করছি। আমরা জানি সবাই আমাদের সাথে আছে। যতদিন আমাদের দাবি গুলো পূরণ না হচ্ছে ততদিন আমরা ক্রিকেটের সাথে জড়িত থাকছি না।’

‘বয়সভিত্তিক দল (অনূর্ধ্ব ১৯/১৭/১৫) বাদে এরা সবাই বাদে জাতীয় দল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটার সবাই এটার সঙ্গে জড়িত। এটা আজকে (গতকাল) থেকেই। এটা ঘরোয়া লিগ, প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পর্যন্ত সবকিছুতেই।’

‘আজকে (কাল) আমরা বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে আসিনি। তবে দাবিগুলো যখন মানা হবে সেটা আলোচনা সাপেক্ষেই হবে। দাবিগুলো মানা হলে আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে অবশ্যই ফিরে যাব। আমরা সবাই চাই, ক্রিকেটের উন্নতি হোক। এখানে যারা আছে সবাই দুই,তিন, চার বছর ধরে খেলছে, কেউ ১০ বছর খেলছে। আগামী দিনে যারা খেলতে আসবে তাদের জন্য ভালো একটি পরিবেশ রেখে যেতে চাই।’

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন