মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভোলার ঘটনার পর আলেমদের আরো সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে

জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নির্বাহী কমিটির সভায় এ এম এম বাহাউদ্দীন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন -ইনকিলাব


ভোলার ঘটনার পর দেশের সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় আলেম সমাজকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেছেন, ভোলার ঘটনায় পর আলেম সমাজের নৈতিক দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে। সারাদেশে তাদের আরো সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ভোলার ঐ ঘটনায় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে, ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে; আবার উত্তেজনামূলক ঘটনা হতে পারে। ভোলার মত ঘটনা অন্য কোথাও যাতে না ঘটে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন আলেম সমাজ। গতকাল বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। দেশের চিন্তাশীল আলেমদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আল্লাহ মহান। রাসূল (সা.) মানবজাতির দূত। নবী (সা.) সম্পর্কে কোনো অর্বাচিন কটাক্ষ করলে আল্লাহ বা রাসূল (সা.) সম্মানের কোনো ক্ষতি হয় না। যুগে যুগে ইসলামের বিরুদ্ধে বিয়োদ্গার হয়েছে। তাকে সারা দুনিয়ায় ইসলামের উজ্জ্বলতা একটুকুও কমেনি; বরং ওরাই ধ্বংস হয়েছে।
মাদরাসা শিক্ষা সুস্থ সমাজ গঠনে অপরিহার্য মন্তব্য করে ইসলামী চিন্তাবিদ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, মাদরাসা শিক্ষা বাংলাদেশের জন্য খুবই তৎপর্যপূর্ণ। সর্বত্রই এই শিক্ষার গুরুত্ব বেড়েছে। সরকারও পজেটিভ। বিশ্বব্যাংক-চীন-জাপান-ভারত-আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের বোঝাতে হচ্ছে বাংলাদেশে মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ ব্যবস্থার জন্য মাদরাসা শিক্ষা অপরিহার্য। এখন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে মাদরাসার পাঠ্যদানে কারিকুলাম সময়োপযোগী কি-না তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। এ দায়িত্ব আলেমদের। দেশে মাদরাসা শিক্ষা ও আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে সব সময় ষড়যন্ত্র হয়েছে হচ্ছে। সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে আমরা নিজেরা কি করছি; সেদিকে বেশি বেশি নজর দিতে হবে। মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়নে আরো দায়িত্বশীল হয়ে আমাদেরকে নিজেদের অর্জন ধরে রাখতে হবে। দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটের প্রতিভাত হচ্ছে আগামী দিনে সমাজ গঠন ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আলেমদের ভূমিকা আরো বেড়ে যাবে।
রাজধানীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের নির্বাহী কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সারা দেশ থেকে আগত জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। যারা সভায় অংশ নেন তারা সকলেই ইসলামী স্কলার, শিক্ষাবিদ ও সমাজের চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব। সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন আলহাজ মাওলানা এ কে এম মনোওর আলী (সিলেট)। নাতে রাসূল (সা.) পেশ করেন মাওলানা আবু রাফে মো: ফেরদৌস (মাদারীপুর)। সভায় দেশের মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন, শিক্ষকদের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা ও ইসলামী গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত আলেম সাবেক মন্ত্রী মরহুম মাওলানা এম এ মান্নানের অবদানের কথা স্মরণ করা হয়। অধিকাংশ বক্তাই মাদরাসা শিক্ষায় মাওলানা এম এ মান্নানের অবদানের কথা তুলে ধরে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
বিশ্বের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, সারাবিশ্বে ওলোটপালোট চলছে। দেশের অভ্যন্তরেও একই অবস্থা বিরাজমান। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বেতন-ভাতা এবং ব্যক্তিগত লাভ-লোকসানের বিষয় নয়, সম্মানের দিক দিয়ে মাদরাসা শিক্ষায় নিয়মানুবর্তিতা ধরে রাখতে হবে। মাদরাসা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। এটা ধরে রাখতে হবে। আমাদের শক্তি আলেমদের ঐক্য। তিনি বলেন, ইমরান খান, মাহথির মোহাম্মদ, এরদোগার কোন ইসলামের জন্য কাজ করছেন? সকলকে সেটা মনে রাখতে হবে। বিজ্ঞানের এই যুগে মূল্যবোধ শিক্ষা ও সমাজে নৈতিকতার প্রয়োজনে মাদরাসা শিক্ষা অপরিহার্য। সরকার এই শিক্ষার উপর নজর দেয়ায় মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব বিদেশেীদের বোঝাতে হচ্ছে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মাদরাসার ক্লাসের সিলেবাস ঠিক আছে কি-না, কিভাবে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন সে সব নিয়ে ক্লাসে পাঠদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এখনো মাদরাসা সিলেবাসে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। সেটাকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় চিন্তা-ভাবনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় ইসলামী চেতনা ধারণ করেন। শেখ হাসিনা মাদরাসা শিক্ষার পক্ষে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় করবেন সে সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনা নিয়েছিলেন ২০০৬ সালে ক্ষমতায় আসার অনেক আগেই। ক্ষমতায় এসে তিনি সেটা করেছেন। অতএব, শেখ হাসিনার চিন্তা-চেতনা বুঝতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের (মাদরাসা শিক্ষার উন্নতি) পক্ষে না থাকলে কোটি লোক দিয়ে বিক্ষোভ করেও লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের চিন্তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে নিজেদের অর্জন ধরে রাখতে পারব।
জমিয়ত সভাপতি বলেন, মাদরাসা শিক্ষাকে ধরে রাখতে ক্লাসে কোরআন-হাদিসের পাশাপাশি ইংরেজি, অংক ও বিজ্ঞানের দিকে জোর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ে পারদর্শী করে তুলতে হবে, যাতে তারা চাকরি ও অন্যান্য প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেন। মাদরাসা ছাত্রছাত্রীরা সে সাফল্য দেখিয়েছেনও। যে উদ্দেশে মাদরাসা শিক্ষার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশ চালাচ্ছেন আল্লাহ। একজনের কথায় প্রশাসন চলছে। প্রধানমন্ত্রীকেই সব কাজ করতে হচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে সরকারের কান ভারি করছেন তথাকথিত প্রগতিশীলরা। মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্রের শেষ নেই। এখন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন করে লাভ নেই। লক্ষ লোক রাজপথে নামলে যে কাজ হবে না, ৭ জন লোক ঐক্যবদ্ধ হলেই সে কাজ করে নেয়া সম্ভব। কে কি বলেছেন-বললেন সেগুলো ভেবে কাজ নেই। আমরা নিজেরা ঠিক আছি কি-না সেটা আগে দেখতে হবে। মানবিক ও মূল্যবোধভিক্তিক সমাজ গড়তে ইসলাম, ইসলামী শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে আরো বেশি করে কাজ করতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষ নয়, আলেমদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি কথা হচ্ছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। নিত্যদিন মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে খবর। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা হচ্ছে। বিএনপির অস্তিত্ব আছে কি-না তা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। কিন্তু যদি নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে দেখা যাবে বিএনপির ব্যপক সাফল্য পেয়েছে। আবার ট্রাম্প এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের মাদরাসা শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সফল সভাপতি বাহাউদ্দীন বলেন, আমি কি পেলাম সেটা বড় কথা নয়। আমরা দেশের জন্য সমাজের জন্য ইসলামী শিক্ষার জন্য কি করছি সেটাই বড় কথা। মাদরাসার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে; অপপ্রচার হয়েছে। মাদরাসায় কেউ দান করলে বা কোথাও থেকে অর্থ এলে সে টাকা কোথা থেকে এলো খোঁজ-খবর নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর লোজজন। মাদরাসার টাকার মধ্যে জঙ্গি-সন্ত্রাস খোঁজা হয়। কিন্তু ইসকনের নামে যদি শত কোটি টাকা আসে তা নিয়ে কোনো অনুসন্ধান দূরের কথা প্রশ্ন তোলা হয় না। আমি কিন্তু সোনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে কিছু বলছি না। তারা তাদের ধর্ম পালন করেন। এবারও ৪০ হাজারের বোশি পুঁজা মন্ডবে হিন্দুরা পুঁজা করেছেন আনন্দ উৎসবে। কিন্তু ইসকনের কর্মকান্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাদের অর্থ দেয় ভারত। তাদের তৎপরতা বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। এই যখন অবস্থায় তখন মাদরাসা শিক্ষা ধরে রেখেছি এটা কম সাফল্য নয়।
আগামী দিনে দেশ গঠনে আলেমরা ভ‚মিকা রাখবেন মন্তব্য করে প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে আলেম সমাজ যা পারেন অন্যদের পক্ষে সেটা সম্ভব হয় না। মদ-গাঁজা-জুয়া-হিরোইন-ইয়াবা-চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজির সঙ্গে কারা জড়িত সবাই জানেন। এই সমাজবিরোধী কাজগুলোতে কিন্তু মাদরাসায় শিক্ষিতদের দেখা যায় না। এটা মাদরাসা এবং দেশের জন্য কম অর্জন নয়। দেশে ও সমাজে অস্থিরতা বিরাজমান। সরকার কার্যত এখন একখুঁটিতে ভর করে চলছে। এর বাইরে কোনো কিছু নেই। মন্ত্রী-এমপি-পরিচালক কারো নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই। প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই হবে। শুদ্ধি অভিযান চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ভালো সৎ লোকের সন্ধানে রয়েছেন। প্রশাসন ও সমাজের জন্য এখন ভালো এবং নীতিবান মানুষ খুবই প্রয়োজন। মাদরাসা তো ভালো মানুষ গড়ে তোলে। কাজেই মাদরাসার শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ থাকা আবশ্যক। সারাদেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মাদরাসার শিক্ষকরা ডিসি, এসপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ ডাকেন, পরামর্শ নেন সম্মান করেন। শিক্ষকদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করেন; এ সম্মান ধরে রাখতে হবে। জ্ঞানে ঘাটতি রাখা যাবে না। ডিজিটাল দেশ গড়তে যে শিক্ষার প্রয়োজন ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি সে শিক্ষাও দিতে হবে।
মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের অর্জনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, শুধু সমালোচনা এবং দাবির কথা বললে হবে না; আমাদের অর্জনও কম নয়। বর্তমান সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের নেতৃত্বে মাদরাসা শিক্ষকরা অনেক কিছুই অর্জন করেছেন। সেই অর্জনগুলো ধরে রাখতে হবে। ইফতেদায়ী মাদরাসায় ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি বাদ পড়েছিল। সেটা কার্যকরের চেষ্টা চলছে। প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ ঘোষণার পর মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্যও দুপুরের খাবার নিশ্চিত করতে আমাদের সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করেছেন। তিনি সফল হয়েছেন। তিনি বলেন, নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। মাদরাসার শিক্ষকদের আরো ধৈর্য্য ধরতে হবে। ক্লাসে নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। যা পেয়েছি তা নিয়ে শোকর করতে হবে।
অধ্যক্ষ ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, মওলানা এম এ মান্নানের ঋণ দেশের মাদরাসা শিক্ষকরা শোধ করতে পারবেন না। তিনি যোগ্য আলেম তৈরির জন্য জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সংগঠনটি গড়ে তোলেন। তাঁকে সম্মান দেখানো হবে তখনই; যখন মাদরাসায় যোগ্য আলেম তৈরি করা হবে। অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ মোসাদ্দিক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, মাদরাসায় শিক্ষায় শিক্ষিতরা যাতে মন্ত্রী-এমপি, ডিসি-এসপি হন সেটা মাথায় রেখেই শিক্ষা দিতে হবে। এলেম ও আলেম তৈরি করতে হবে। আলিয়া মাদরাসায় হিন্দু মহিলা শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা কঠিনভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলামবিদ্বেষীদের প্রতিহত করা কঠিন কিছু নয়। আমাদের ছেলেমেয়েদের ইংরেজি, অংক ও বিজ্ঞান শেখানোর দিকে জোর দিতে হবে। মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী বলেন, আমরা মাদরাসা শিক্ষকরা চাওয়ার চেয়ে বেশি পাওয়ায় যেন অকৃতজ্ঞ হয়ে যাচ্ছি। জমিয়ত ছাড়া আমাদের (মাদরাসা শিক্ষক) অস্তিত্ব থাকবে না। মাওলানা মান্নানের পথ অনুসরণ করে আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে।

এ ছাড়াও সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা কাফিল উদ্দীন সরকার ছালেহী (ঢাকা), অধ্যক্ষ ড. মাওলানা সৈয়দ শরাফত আলী (পিরোজপুর), শাহ্ নেছার উদ্দীন ওয়ালীউল্লাহ (কুমিল্লা), অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ্ মো: মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস (বরগুনা), আলহাজ মাওলানা নূরুল ইসলাম (যশোর), অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মো: জাকারিয়া (খুলনা), অধ্যক্ষ আ খ ম আবুবকর সিদ্দিক (ঢাকা), অধ্যক্ষ মাওলানা হাদীউজ্জামান (রংপুর), অধ্যক্ষ মাওলানা মোকাদ্দাসুল ইসলাম (রাজশাহী), অধ্যক্ষ মাওলানা মো: ইজহারুল হক (ঢাকা), অধ্যক্ষ ড. মাওলানা ইদ্রিছ খাঁন (ময়মনসিংহ), অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদ ভূইয়া (ফেনী), অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বাতেন (ময়মনসিংহ), অধ্যক্ষ মাওলানা নুমান আহমেদ (সিলেট), অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই (নারায়ণগঞ্জ), অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল হক (গাজীপুর), অধ্যক্ষ মাওলানা আনছার উল্লাহ (পাবনা), অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মো: ছাদেক হাসান (ঢাকা), অধ্যক্ষ মাওলানা নূর বখত (কুড়িগ্রাম), অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান (সিরাজগঞ্জ), অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রব (বরিশাল), মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক (দিনাজপুর) প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (34)
দীনমজুর কহে ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৪২ পিএম says : 2
এ এম এম বাহাউদ্দিনসহ দেশের বরেন্য ওলামায়কেরাম গনের আহবান যথাপযোগী। আমাদের মনে নবীকে কটুক্তি করার আগুন দ্বিগি দ্বিগি জ্বলছে।আমরা সরকারের প্রতি পুর্ন আস্হাগ্ঞপন করছি আসল অপরাধী যদি মুসলমান <হ্যাকার >ও হয় তার বিচার ও করতে হবে।।
Total Reply(0)
জিকরুল আলম ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 2
সঠিক দিকনির্দেশনামুলক বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মাদ্রাসা শিক্ষা কে ঢেলে সাজাতে হবে। সময়ের দাবি ভুলে গেলে জাতি পিছিয়ে যাবে।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 2
আলহামদুলিল্লাহ। আপনাদের মতো সচেতন ব্যক্তিরা আছে বলে এখনও সম্প্রীতি টিকে আছে। জামিয়াতুল মোদার্রেছীন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিরা রাখছে। আল্লাহ আপনাদের কবুল করুন। আমিন
Total Reply(0)
Ranjay Podder ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 2
প্রিয় সম্পাদক আপনার সাথে একমত। আমি প্রথমেই সংঘাতে নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সেই সাথে আমাদের সকলের উচিত মহান আল্লাহ পাক এর দেখানো পথে চলা, নবী রাসুল এর শিক্ষায় চলা, এখন যুগ ও প্রযুক্তি যত আধুনিক হচ্ছে তেমনি বাড়ছে অযথা জঞ্জাল। বাড়ছে সাইবার ক্রাইম অপরাধ গুলো । তাই সবাই কে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে, ফেইসবুকে অযথা বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে প্রশাসনিক ব‍্যবস্থা ই উত্তম । তা ছাড়া নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সবার প্রিয় নবী ওনার নামে কুৎসা ছড়িয়ে মুসলিম বিদ্বেষী বানিয়ে দিলে ই তো শত্রু পক্ষের কেল্লা ফতে, এই দিক টা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। কেউ যেন নবী করীম ও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে সে ব‍্যাপারে সবাই কে সজাগ থাকতে হবে। আইনের মাধ্যমে সঠিক অপরাধীকে শাস্তির দাবি করছি। কেউ যেন অযথা আঘাত না করি, মহান আল্লাহ সব কিছু ই নিশ্চয়ই হিসেবে রাখছেন, ঐ পাড়ে অপরাধের সাজা রেডি আছে। কেউ অতি উৎসাহী না হয়ে সঠিক পথে পরিচালিত হই, মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করোন।
Total Reply(0)
সোহেল হায়দার ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 2
আপনার সাথে একমত। সতর্ক না হলে বড় ধরনের ম্যাচাকার ঘটে যেতে পারে। যা আমাদের আরও বড় ক্ষতির কারণ হবে।
Total Reply(0)
আহমেদ মামুন ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 2
ধন্যবাদ মাননীয় সম্পাদককে । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আলেম সমাজকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুবা সম্প্রীতি ধরে রাখা কঠিন হবে।
Total Reply(0)
সত্যভাষী ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 2
সহমত। আসলে সতর্ক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যা আছে তা সত্যিকারের আলেম সমাজের জন্যই আছে।
Total Reply(0)
মহিব্বুল্লাহ ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 1
ইসলামি বিদ্বেষী একটি গোষ্ঠী সবসময়ই বাংলাদেশের মুসলমান ও আলেম সমাজকে সাম্প্রদায়িক ও উগ্রবাদি হিসেবে চিত্রায়িত করতে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করেছে, এখনও করছে, সামনেও করবে। এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
Total Reply(0)
মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 2
আমি মনে করি সরকারকেও ইসলামের প্রতি আরেকটু সহনশীল হতে হবে। ধর্মঅবমাননার বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে নিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো কৌশলে ক্ষোভকে দমন করে রাখা ভালো হবে না।
Total Reply(0)
Shawkat Ali ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 1
যে দেশে আলেম-ওলামারা ডজনাধিক দলে বিভক্ত সেই দেশে তারা মুসলমানদের স্বার্থ ও মর্যাদা রক্ষায় কতটুকু ভুমিকা পালন করবে? আজ মুসলমান যে যার গোষ্ঠিগত স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। তাই তারা বড়জোর দু'চারজনকে কোরবানী দিতে পারে কিন্তু বৃহত্তর মুসলিম কমিউনিটির জন্য তারা খুব সামান্যই করতে পারে।
Total Reply(0)
Rowshan Gazi ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 1
আল্লাহ রাব্বুল আলআমিন মহান বিচারক।অপেক্ষা করুন শাস্তি চোখে দেখতে পাবেন।
Total Reply(0)
Kazal Islam ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 1
আমি আপনার সাথে একমত। তবে আমার প্রশ্ন- পুলিশ কেন গুলি করলো, এর চেয়ে বড় বড় সমাবেশে পরিস্থিতি অবনতির আশংকা থাকলে পুলিশ রাবার বুলেট, জলকামান এগুলা ছুড়ে। কিন্তু সরা
Total Reply(0)
Raihan Uddin ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 1
যারা বলে, ‘মাদরাসার ছাত্ররা কোরআন শরীফ পোঁড়ায়!’ যারা বলে, ‘আলেমরা গায়ে রং মেখে শুয়ে থাকে!’ যারা বলে, ‘মুসলমানরা আইডি হ্যাক করে নিজেদের আল্লাহ ও রাসূলকে কটূক্তি করে!’ তাদের উদ্দেশ্যে জাতির সেই অসাধারন জবাব হচ্ছে - আমরা জাতিগত ভাবে মদ্যপ ন‌ই এবং আমরা মানসিক ভাবেও সুস্থ।
Total Reply(0)
Chowdhury Sayem ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:২৭ এএম says : 1
ধৈর্য্যের কথা বলছেন? পুলিশ কেন গুলি করল? তারা কেন ধৈর্য্য ধরল না। কেন দ্রুততম সময়ে সঠিক দোষীকে বের করা গেল না?
Total Reply(0)
ইসমাইল মাহমুদ ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:২৭ এএম says : 1
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন। একটি বিশেষ মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে, দেশের উন্নয়ন অগ্ৰযাত্রা ব্যাহত করতে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
Total Reply(0)
নূরুল্লাহ ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:২৭ এএম says : 1
জনাব বাহাউদ্দিন সাহেবের সুচিন্তিত কথাবার্তা দারুণ লেগেছে।
Total Reply(0)
Akramul Hoque Faisal ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৬ পিএম says : 0
গত কিছুদিন আগে ভোলার মানুষ ইসকন নিষিদ্ধের জন্য মিছিল-সমাবেশ করল।এরপর এই ঘটনা ঘটল।পুলিশের গুলিতে শতাধিক আহত সহ চার জন নিহত হল।যদি ও স্থানীয়রা নিহতের সংখ্যা আরো বেশি দাবী করছে।এখন পাঁচ হাজার লোকের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।দিন শেষে বিজয়ী তো তারাই হলো।আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করেন।
Total Reply(0)
Eng Md Monjur Rahman ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৬ পিএম says : 0
নিরপেক্ষ তদন্তকারীর মাধ্যমে তদন্ত আবশ্যক এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে দোসিদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন
Total Reply(0)
Saiful Islam ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৮ পিএম says : 0
সরকার বিরোধী দমন আর ধর্মীয় ইস্যু গুলো একই পাল্লায় মাপকাঠি হিসাব করা ভুল সিদ্ধান্ত !! ধর্মীয় ক্ষেত্রে সরকার দেশের বড় বড় আলেমদের মতামত নিতে পারে।
Total Reply(0)
Sahadat Hossain Sagor ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:০০ পিএম says : 0
এরা তো পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিল করে নি,এরা নবী (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তিকারীর শাস্তির দাবিতে মিছিল করছিল। তাহলে পুলিশ কেন এই ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপর নির্বিচারে গুলি চালালো বুজলাম না!!
Total Reply(0)
মেহেদী ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫২ পিএম says : 0
সতর্ক করার জন্য ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
মুস্তাইন বিল্লাহ ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ২:০০ পিএম says : 0
মুসলমানদের অনুভূতি নিয়ে ইসলামের শত্রুরা সবসময়ই খেলা করে আসছে। তাই গুজবের বিষয়ে আলেম সমাজকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
Total Reply(0)
নীরব হেলাল ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ২:০২ পিএম says : 0
এমন পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে না যাতে বেধর্মীরা ষড়যন্ত্রমূলক কিছু ঘটিয়ে মুসলিমদের বিতর্কে ফেলতে হবে। এজন্য সতর্ক হওয়া খুব জরুরি। ধন্যবাদ আপনাকে।
Total Reply(0)
কাজী হাফিজ ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ২:১৬ পিএম says : 0
শুকরিয়া, আপনার কথায় বিচক্ষণতা আছে। কারণ আজ বিবিসিতে নিউজ হয়েছে ভোলায় হিন্দুদের বাসাবাড়িতে বা কারা ওইদিন হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। ইসলাম বিরোধীরা এই ঘটনা পরিকল্পিত ভাবে করে সহিংসতা বাধাতে পারে। তাই সতর্কতার বিকল্প নেই।
Total Reply(0)
ফয়জ সলাম ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৩৯ পিএম says : 0
যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃতুই বেদনার। পুলিশের ধৈর্যশীলতার অভাব ছিলো কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা উচিত। কিন্তু কার‌ও বিরুদ্ধে শুধু ধারণার উপর ভিত্তি করে, যেখানে অভিযুক্ত তার আইডি হ্যাক এর ব্যাপারে জিডি করেছে,তার চরম শাস্তির দাবিতে উন্মত্ত আচরণ করা কী সভ্য আচরণ?
Total Reply(0)
Saimon Hossain ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৩৯ পিএম says : 0
কি আজব! কি এমন হামলা হয়েছিল পুলিশদের উপর? কোন পুলিশ তো আহত হয়নি! তবে আম-জনতার উপর গুলি বর্ষণ করতে হলো কেন? এগুলোর কি কোন বিচার হবে না?
Total Reply(0)
Taufiq Rahman ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪০ পিএম says : 0
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে, কই বিচার করবে! তা না করে, সাধারণ জনগণের প্রতি গুলি করেছে৷ এখন ফেসবুক হ্যাক হওয়ার নাটক করে, প্রকৃত ঘটনা বানচালের চেষ্টা৷তবে বিষয়টা নিয়ে আলেম সমাজের সতর্ক থাকা ভালো।
Total Reply(0)
Sadat ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪০ পিএম says : 0
বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। ভোলার এ ঘটনা, আবরার হত্যাকাণ্ড, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন সহ বহু ঘটনা এ কথায় বলে।
Total Reply(0)
মেহেদী ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪১ পিএম says : 0
হে আল্লাহ মানুষকে চক্ষু দান কর, সত্য মিথ্যা যাচাই এর ধৈর্য দাও!
Total Reply(0)
তাহেরি ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪১ পিএম says : 0
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করছে কারা? কেনই বা ফেসবুকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মনে আঘাত দিয়ে পোস্ট করতে হবে? কাদের স্বার্থ এখানে জড়িত? স্বাধীনতা শেষ। এক ঘুটঘুটে অন্ধকার ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা কর বাঙালি জনতা।েএ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
Total Reply(0)
Md Faisol kabir ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪২ পিএম says : 0
ন্যায়সঙ্গত স্বার্থে আঘাত আসলে মানুষ বিক্ষুব্ধ হতে পারে। সরকারের নজরে নেওয়ার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারা তাদের নাগরিক অধিকার। পুলিশ কেন গুলি করতে গেল?
Total Reply(0)
Saimon Hossain ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪২ পিএম says : 0
এই দেশে বিচার চাওয়াও এখন পাপের আওতায় পড়েছে। আমাদের পুলিশ জনতার উপর চার্জ করে, হত্যা করে পরিশেষে তাদেরকে 'উগ্রবাদী' হিসেবে জনতার সামনে প্রকাশ করে, অথচ উন্নত দেশগুলোতে মিছিলকে নিরাপত্তা দেয় পুলিশ।
Total Reply(0)
Dr. M Billah ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪২ পিএম says : 0
ধর্ম সবার জন্য একটি সেনসিটিভ ইস্যু। ব্যাপারগুলো হ্যান্ডেল করতে পেশি শক্তির চেয়ে পেশাদারি মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ।...
Total Reply(0)
আলাউদ্দিন সৌরভ ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪৩ পিএম says : 0
আইডি হ‍্যাক করে এ ধরনের উত্তেজনা ছড়ানো অস্বাভাবিক নয়, তবে উত্তজিত জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল করলেই কী রাষ্ট্র নষ্ট হয়ে যেতো? যেকোনো সমাবেশ সম্পর্কে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিই এ অহেতুক হত‍্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। এর দায়দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবেই।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন