মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিমানকে আধুনিকীকরণের জন্য নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৮ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিমান ভ্রমণ নিরাপদ, আরামদায়ক ও সহজতর করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ জন্য আমরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল স্থাপন করছি। এর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে এখন আমরা যে পরিমাণ যাত্রীসেবা দিতে পারি, আগামীতে এর আড়াইগুণ বেশি অর্থাৎ বছরে প্রায় ১২ মিলিয়নের বেশি যাত্রীসেবা দেয়া সম্ভব হবে।

বুধবার ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সুরক্ষা সেমিনার-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর একটি হোটেলে যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এ সময় বিমান বাহিনী ও বিমানে ভ্রমণে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিমান ভ্রমণকে আরও সহজতর করবে। পৃথিবীর আরও অনেক দেশের সঙ্গে নতুন নতুন রুট সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। সেইসঙ্গে আমাদের পর্যটন শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটবে বলে আমরা আশাবাদী।

তিনি বলেন, আমরা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আরও উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই। এ ছাড়া বাগেরহাটে আমাদের আরও একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করারও লক্ষ্য আছে। ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীতে স্টেট অব আর্থ-থ্রিডি হেলিকাপ্টার সিসুলেট স্থাপন করা হয়েছে, যা থেকে আমাদের পাইলটরা রিয়েল টাইম ফ্লাইংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করে বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, গত পৌনে ১১ বছরে বিমানবহরে আমরা বোয়িং কম্পানির চারটি অত্যাধুনিক ড্রিম লাইনারসহ মোট ১০টি বিমান সংযুক্ত করেছি। আরও দুটি ক্রয় করার প্রস্তুতি নিয়েছি। কারণ আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, আমরা বিশ্বের সঙ্গে আকাশ পথের যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি, নিউইর্য়ক, টরেন্টো, সিডনির মতো দূরবর্তী গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবো। এ ব্যাপারে আমরা আগ্রহী। এ লক্ষ্যে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নতকরণের কাজ এগিয়ে চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করে নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন, অবতরণ নিশ্চিত করে যাচ্ছে। এতে আমাদের বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে পারস্পরিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উন্নত যুদ্ধবিমান, র‌্যাডার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানকে আধুনিকীকরণের জন্য নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছি। নতুন র‌্যাডার স্থাপন থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, এ বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি আমরা জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারো স্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস করেছি। আমরা এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করছি, কারণ বিশ্বমানের এভিয়েশন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে চাই। এটা হবে লালমনিরহাটে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যারোনোটিক্যাল সেন্টার স্থাপন করেছি। নিটক ভবিষ্যতে এ সেন্টারে যুদ্ধাবিমানসহ ব্যবহৃত বিমানও মেরামত করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা রাখি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
llp ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:০৭ পিএম says : 0
How can our military overcome the problem of our geography. There is no way. We needed land attachment with Chinese border. Look at the map of Bangladesh that ...Azam Muhammad Ali Jinnah (RA) demanded in 1947, that has land connectivity with China. If ....Muhammd Ali Jinnah (RA) was alive today, He would have find a way to expand Bangladesh to reach China or to expand China until it reaches Bangladesh.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন