শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মেনন সাহেব এখন উল্টো সুরে কথা বলছেন: ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪৪ পিএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাশেদ খান মেনন সাহেব এখন উল্টো সুরে কথা বলছেন। তিনি ইউটার্ন নিয়ে ফেলেছেন অলরেডি। তিনি বলেছেন তিনি এভাবে বলেননি, তাঁর বক্তব্যটা খণ্ডিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৩ বুধবার) রাজধানীর ধানমন্ডি হোয়াইট হল কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্যাসিনোকাণ্ড নিয়ে এত কথা, এত কেচ্ছা, তখন কেন তিনি এ বিষয়ে মুখ খুলতে বললেন। অবশ্য রাশেদ খান মেনন সাহেব এখন উল্টো সুরে কথা বলছেন। তিনি ইউটার্ন নিয়ে ফেলেছেন অলরেডি। তিনি বলেছেন তিনি এভাবে বলেননি, তাঁর বক্তব্যটা খণ্ডিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।'

সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি (মেনন) একটি দলের সভাপতি। পত্রপত্রিকায় নানা ধরনের খবর আসছে। এর প্রতিক্রিয়া ও অন্যান্য বিষয়ও রয়েছে। তাঁদের দলের মূল্যায়নে তাঁর অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আগামী দিনগুলোতে সে বিষয়ে আমার মন্তব্য করা সমীচীন নয়।' তিনি বলেন বলেন, ১৪ দলের সমন্বয়ক নাসিম ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন তারা নিজেরা আলাপ আলোচনা করেছেন। বিষয়টা আলাপ আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে এবং পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জোট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, '১৪ দল অটুট থাকবে এবং ঐক্যে কোনো ভাঙন আসবে না। শরিক দলের একজন নেতার জন্য ১৪ দল ভাঙতে পারে না। যদি একজন ব্যক্তি ভিন্নমত পোষণ করেন, তার জন্য জোটের অপমৃত্যু হতে পারে না।'

গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) বরিশালে ওয়ার্কার্স পার্টির এক অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, 'গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমিও নির্বাচিত হয়েছি। তার পরও আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি পরবর্তীতে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।'

ওই মন্তব্যের পর মেননের সমালোচনা করেন ১৪ দলের বেশ কয়েকটি শরিক দলের নেতারা। তাঁরা সংসদ থেকে মেনন ও তাঁর দলের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করার পরামর্শ দেন। তবে মেননের বক্তব্যকে সমর্থনও করেন একাধিক নেতা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Nadim ahmed ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:২০ পিএম says : 0
What are you talking about Obaidul Qader? It does not matter what Menon or what you think, say or believe. The truth is that there was no election or voting on 30-Dec-2018. People could not go to vote centers, only Awami League supporters, activists and leaders were there in the vote centers just to show the voting activities. The night before all the votes were cust.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন