শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

দুর্নীতিমুক্ত সমাজের জন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত মানুষ

জালাল উদ্দিন ওমর | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশ আজ দুর্নীতিতে সয়লাব। অথচ দুর্নীতি, শোষণমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং সততানির্ভর একটি সুখী সমাজ গড়ার জন্যই আমরা জীবন দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছিলাম। যেই দুর্নীতিকে নির্মূল করাই ছিল আমাদের স্বপ্ন, সেই দুর্নীতিই এখন বেশি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বর্তমানে দেশের এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে দুর্নীতি নেই। দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। সচেতন নাগরিক মাত্রই দেশের দুর্নীতির ভয়াবহ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত। দুর্নীতির কোনো সুনির্দিষ্ট সীমারেখা নেই এবং এর পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক ও বি¯তৃত। ঘুষ ছাড়া একজন কর্মকর্তা কাজ করে না এটা যেমন দুর্নীতি, তেমনি কলমের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে কারো জন্য সুপারিশ করাটাও দুর্নীতি। অন্যায়ভাবে চাকরি নেওয়াটা যেমন দুর্নীতি, ঠিক তেমনি ন্যায়বিচার না করাটাও দুর্নীতি। অন্যায়ভাবে টেন্ডার আয়ত্ত করাটা যেমন দুর্নীতি, ঠিক তেমনি ওজনে কম দেয়াটাও দুর্নীতি। খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল দেয়াটা যেমন দুর্নীতি, ঠিক তেমনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অবৈধভাবে ভর্তি হওয়াটাও দুর্নীতি। দায়িত্বে ফাঁকি দেওয়া এবং অবহেলা যেমন দুর্নীতি, ঠিক তেমনি অপরকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করাটাও দুর্নীতি। যথাযথ ট্যাক্স না দেওয়াটা যেমন দুর্নীতি, ঠিক তেমনি ট্যাক্স যথাযথ আদায় না করাটাও দুর্নীতি। সত্য কথা না বলাটাও দুর্নীতি, আবার একইভাবে মিথ্যা কথা বলা এবং লেখাটাও দুর্নীতি। ওয়াদাসমূহ যথাযথভাবে পালন না করাটা যেমন দুর্নীতি, ঠিক তেমনি আমানতদারিতা ভঙ্গ করাটাও দুর্নীতি।
দুর্নীতি জাতির জন্য একটি ক্যান্সার। ক্যান্সার যেমন মানব দেহের সকল কিছুকে ধ্বংস করে দেয়, ঠিক তেমনি দুর্নীতিও একটি জাতির সকল সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দেয়। চরিত্র হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। মানুষের যখন চারিত্রিক গুণাবলী ধ্বংস হয়ে যায়, তখন সে শুধু অপকর্ম করতে থাকে। দুর্নীতিই হয়ে ওঠে চরিত্রহীন মানুষের প্রধান কাজ। ইংরেজিতে প্রবাদ আছে, When money is lost nothing is lost, when health is lost something is lost, but when character is lost everything is lost.সত্যি সত্যি চারিত্রিক অধঃপতনের কারণে আজ আমাদের সবই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সমাজে শান্তি এবং জাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। আর এ জন্য দুর্নীতিকে নির্মূল করতে হবে। কিন্তু কেবল মাত্র আইন করে এবং দুর্নীতিবাজদের শান্তি দিয়ে দুর্নীতি নির্মূল করা ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করা কিছুতেই সম্ভব নয়। দুর্নীতি নির্মূল ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করতে প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত মানুষ অর্থাৎ সৎ মানুষ। কারণ, আইনের প্রয়োগ যিনি করবেন, তিনি যদি সৎ না হন তাহলে সেখানে আইন যথাযথ কার্যকর হয় না এবং সেটাই দুর্নীতি। একটি গাড়ি যতই ভালো হোক না কেন, ড্রাইভার যদি ভালো না হয় তাহলে ঐ গাড়ি যাত্রীদের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তিনি কেবল যাত্রীদের জন্য দুর্ঘটনাই নিয়ে আসেন। ঠিক তেমনিভাবে আইনের প্রয়োগকারী ব্যক্তি যদি সৎ এবং নিরপেক্ষ না হন, তাহলে সেই আইনও মানুষের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না। বরং সেক্ষেত্রে আইনের অপপ্রয়োগ হয় এবং সেই আইন মানুষের জন্য অকল্যাণই বয়ে আনে। সুতরাং দুর্নীতিমুক্ত সমাজের জন্য, শান্তি এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রের জন্য সৎ মানুষ অপরিহার্য। আর এজন্য সৎ মানুষ তৈরি করতে হবে এবং এর কোনো বিকল্পই নেই। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা কেউই সৎ মানুষ তৈরি করিনি এবং এখনও করছি না। এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কথায় কথায় দুর্নীতিমুক্ত এবং সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার কথা বললেও, সেই সোনার বাংলা গড়তে যে সমস্ত সোনার মানুষ অর্থাৎ দুর্নীতিমুক্ত সৎ মানুষ দরকার তা তারা তৈরি করেনি। ফলে দেশে আজ সৎ মানুষের বড়ই আকাল।

প্রশ্ন হচ্ছে, সৎ মানুষ তৈরি করবে কে? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে এ দায়িত্ব আমাদের সকলের। প্রথমত এ কাজটা শুরু করতে হবে সমাজের একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকেই। সমাজের একেবারে প্রাথমিক স্তর হচ্ছে পরিবার। পরিবারের মূল ভিত্তি হচ্ছে মা এবং বাবা। পিতামাতার দায়িত্ব হচ্ছে সন্তানকে ছোট বয়স থেকেই সততা এবং ন্যায়পরায়নতা শিক্ষা দেওয়া। তবে পিতা যেহেতু বেশির ভাগ সময় বাসার বাইরে থাকে, সেহেতেু এ ক্ষেত্রে মাতার দায়িত্ব বেশি। এ জন্য ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপোর্ট বলেছিলেন, Give me a good mother, I will give a good nation.. অর্থাৎ আমাকে একটি ভালো মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি ভালো জাতি দেব। এখানে একটি জিনিস উল্লেখ করা দরকার, আর সেটা হচ্ছে পিতা মাতারা কিন্তু তাদের সন্তানদের ঠিকই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার যাবতীয় চেষ্টা করছেন, চাকরি অথবা ব্যবসার মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন কিন্তু এর পাশাপাশি নৈতিকতা, সততা এবং উত্তম চারিত্রিক গুণাবলী শিক্ষা দিচ্ছেন না। ফলে সন্তানরা ঠিকই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, ঠিকই চাকরি অথবা ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং একই সাথে চারিত্রিকভাবে সৎ হিসাবে গড়ে না ওঠার কারণে দুর্নীতিও করছেন। এভাবে শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে যে সন্তানের সৎ জীবনযাপন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কথা ছিল, সেই সন্তানই হয়ে যাচ্ছে দুর্নীতিবাজ এবং দুর্নীতি বিস্তারের সৈনিক। সুতরাং দুর্নীতিমুক্ত সমাজের জন্য সমাজের একেবারে প্রাথমিক স্তর অর্থাৎ পরিবার থেকে পিতামাতাকেই সৎ মানুষ তৈরির কাজ শুরু করতে হবে। দ্বিতীয়ত ছাত্ররা যাতে নৈতিক মূল্যবোধে গড়ে ওঠে, সেজন্য বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনতে হবে এবং চারিত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। শিক্ষককে বলা হয় দ্বিতীয় জন্মদাতা। সৎ ও আদর্শ নাগরিক সৃষ্টির ক্ষেত্রে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। যদি পাঠ্যপুস্তকে নৈতিকতাসম্পন্ন শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং শিক্ষকেরা যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে তাহলে অতি সহজেই একদল সুযোগ্য এবং সৎ নাগরিক গড়ে উঠবে, যারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে সৎ জীবনযাপন করবে ও দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করবে। তৃতীয়ত রাজনৈতিক দলগুলোতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে করে দলের কর্মীরা সততা এবং নৈতিকতার ওপর শিক্ষা লাভ করে। দেশের ব্যাপক সংখ্যক মানুষের ওপর রাজনৈতিক দলের সরাসরি প্রভাব থাকে এবং রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র ও দলের কর্মসূচি দ্বারা নেতাকর্মীরা প্রভাবিত হয়। সুতরাং যে দলের নেতারা সৎ নয়, যে দলে সততার চর্চা নেই, যে দলে কর্মীদের সৎ হিসাবে গড়ে তোলার কোনো ব্যবস্থা নেই, সে দল ও দলের নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব তো নয়ই বরং তাদের দ্বারা সমাজে দুর্নীতিই প্রতিষ্ঠিত হবে। চতুর্থত দেশের সাংস্কৃতিক মাধ্যমকে নৈতিকতার আলোকে সমৃদ্ধ করতে হবে। নাটক সিনেমা হচ্ছে সমাজের দর্পণ, সমাজ পরিবর্তনের উৎকৃষ্ট হাতিয়ার। এমন নাটক এবং সিনেমা তৈরি করতে হবে যাতে করে এইসব নাটক এবং সিনেমা দেখে মানুষের মধ্যে সততা এবং নৈতিকতা জেগে ওঠে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে বর্তমানে যেসব চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে তার প্রধান বিষয় হচ্ছে ভায়োলেন্স, অশ্লীল নৃত্য ও কুরুচিপূর্ণ গল্পকাহিনী। এসব দেখে আমাদের উঠতি বয়সের কোমলমতি ছেলেমেয়েরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে অশ্লীলতার মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেছে, ফলে সিনেমা হলে সিনেমা দেখার মতো কোন ভালো পরিবেশ এখন আর নেই। অধিকন্তু পরিবারের সবাইকে নিয়ে নাটক, সিনেমা দেখার পরিবেশ তো বহু আগেই বিদায় হয়েছে। সুতরাং, চরিত্র গঠন ও সমাজ গঠনের পরিবর্তে নাটক সিনেমা এখন চরিত্র ও সমাজ ধ্বংসের কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে। এ অবস্থায় যদি আমরা সত্যিকার অর্থে একটি সৎ, দুর্নীতিমুক্ত ও সুন্দর সমাজ নির্মাণ করতে চাই তাহলে নাটক-সিনেমায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। আর তার জন্য নাটক ও চলচ্চিত্র থেকে ভায়োলেন্স ও অশ্লীলতা দূর করতে হবে এবং তৈরি করতে হবে মূল্যবোধসম্পন্ন সুস্থ ধারার নাটক ও চলচ্চিত্র। এজন্য ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অবশ্যই প্রয়োজন। সর্বোপরি দুর্নীতি, অসততা এবং অনৈতিকতার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাও করতে হবে। সমাজের যে ব্যক্তিই দুর্নীতি করুক না কেন, অসৎ এবং অনৈতিক কাজ করুক না কেন, তাকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন করতে হবে এবং এসব আইন বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। আর এসব কাজ করলেই কেবল দুর্নীতির মূলোৎপাটন ও সৎ মানুষের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

ইংরেজিতে প্রবাদ আছে, Save a generation to save a nation.. অর্থাৎ একটি জাতিকে রক্ষার জন্য একটি প্রজন্মকে রক্ষা কর। সুতরাং একটি জাতিকে রক্ষার জন্য একটি প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। একটি জাতিকে গঠনের জন্য একটি প্রজন্মকে গঠন করতে হবে। আমরা যদি একটি সৎ এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রজন্ম গড়ে তুলি, তাহলে সে প্রজন্ম তার পরবর্তী প্রজন্মকে সৎ এবং দুর্নীতি মুক্ত হিসাবে গড়ে তুলবে। এভাবে ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে একদিন পুরো জাতিটাই সৎ এবং দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে গড়ে উঠবে। যদি একটি প্রজন্মকে সৎ হিসেবে গড়ে না তুলি, তাহলে সময়ে সময়ে পরিচালিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযান দীর্ঘমেয়াদে সফলতা আনবে না। এটা দুর্নীতিকে সাময়িক কমাবে মাত্র। স্থায়ীভাবে দুর্নীতি নির্মূলের জন্য সৎ প্রজন্ম গড়তে হবে এবং দুর্নীতি বিরোধী অভিযান সর্বদা চালু রাখতে হবে। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রবাদ আছে, ‘রোম নগরী একদিনে তৈরি হয়নি’। ঠিক তেমনিভাবে পৃথিবীর কোনো মহৎ সৃষ্টিই একদিনে তৈরি হয়নি। কোনো শহর যেমন একদিনে গড়ে উঠেনি, তাজমহল যেমন একদিনে তৈরি হয়নি, কোনো সভ্যতা যেমন একদিনে সৃষ্টি হয়নি, ঠিক তেমনি কোনো জাতিও একদিনেই শিক্ষিত এবং সভ্য হয়নি। যে বাড়িতে আমরা বসবাস করি, যে রাস্তা দিয়ে আমরা চলাচল করি, যে গাছের ফল আমরা খাই, জীবন যাত্রার যেই আধুনিক সুবিধা আমরা ভোগ করি, তার সবই আমাদের পুর্বসূরীদেরই তৈরি। তারা তৈরি করেছিল বলেই তাদের পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে আমরা তা ভোগ করছি। সুতরাং, আমাদের ভবিষ্যতকে সুন্দর করার জন্য আমাদেরকেই কাজ করতে হবে। সর্বশেষে মহানবী (সা.) এর একটি কথা বলে আজকের প্রবন্ধের ইতি টানছি। তিনি বলেছেন, ‘যার আজকের দিনটা গতকালের চেয়ে উন্নত হল না, তার জন্য ধ্বংস অনিবার্য।’ তাঁর এই কথাটি সমাজের সকল সেক্টরে সমভাবে প্রযোজ্য। কারণ প্রত্যেকের অবস্থান সময়ের সাথে সাথে ঊর্ধ্বমুখী অর্থাৎ উন্নত হতে হবে, তা না হলে নিম্নগামিতা বা অধঃপতনে যে কোনো কিছুর অবস্থান একদিন নিঃশেষ হয়ে যাবে। সুতরাং জাতি হিসাবে যদি আমরা উন্নত হতে চাই, দুর্নীতিকে যদি নির্মূল করতে চাই এবং গড়তে চাই একটি সৎ সমাজ, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই সৎ মানুষ তৈরি করতে হবে। আর এর গতি হতে হবে সময়ের সাথে সাথে ঊর্ধ্বমুখী এবং ক্রমন্নোত। তা না হলে সময়ের পরিক্রমায় আমাদের ধ্বংস অনিবার্য। একইভাবে যদি আমরা নিজেরা সৎ হই এবং অন্যরা সৎ হিসেবে গড়ে উঠে তাহলে সময়ের পরিক্রমায় আমাদের উন্নতিও অনিবার্য।
লেখক : প্রকৌশলী ও উন্নয়ন গবেষক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Majlum Janata ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৩৩ পিএম says : 0
সেই মানূষটি কবে,মোদের বাংলাদেশে হবে।কথায় বড় নয়,কাজে বড় হবে।। খুবই ভাল লাগলো।এরকম লেখা আর ও চাই।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন