শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

গ্লোবাল হালাল সার্টিফিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে এফবিসিসিআই- সংযুক্ত আরব আমিরাত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:০৯ পিএম

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম গ্লোবাল হালাল সার্টিফিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গ্লোবাল রেটেড হালাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সায়িদ মোহাম্মেদ আল্মহেইরি’র সাথে এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দের মধ্যে এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুবাইয়ের আরএসিএস কোয়ালিটি সার্টিফিকেটস ইস্যুয়িং সার্ভিসেস’র কনফোর্মিটি ডিরেক্টর ড. সামিয়া আবদেল লতিফ।

সভায় রাষ্ট্রদূত সায়িদ মোহাম্মেদ আল্মহেইরি একটি পূর্ণাঙ্গ হালাল সার্টিফিকেশন সেন্টার স্থাপনে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাথে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। যে কারনে পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের গুনগতমান, নিরাপত্তার দিকটিকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন স্তরে হালাল সাপ্লাই চেইন প্রতিষ্ঠিত হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণে আন্তর্জাতিক হালাল মার্কেটে প্রবেশ করতে হলে এফবিসিসিআই’র আওতায় বিশ্বমানের হালাল ইউনিফাইড সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে জ্ঞান এবং টেকনলোজি বিনিময়, বিশেষ প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক দক্ষতার উন্নয় এবং ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হালাল প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কিত কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এফবিসিসিআই তার ৫শ’র অধিক সদস্য সংগঠন এবং দেশের ৩ কোটি উদ্যোক্তাদের সাথে নিয়ে প্রচারণা চালাবে বলেও জানান শেখ ফাহিম। এতে বাংলাদেশ থেকে গালফ কো অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) এবং মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে হালাল রপ্তানি সহজ হবে।

দুবাইয়ের আরএসিএস কোয়ালিটি সার্টিফিকেটস ইস্যুয়িং সার্ভিসেস’র কনফোর্মিটি ডিরেক্টর ড. সামিয়া আবদেল লতিফ তাঁর হালাল সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ার গভীর পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরেন। ইসলামিক বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী এবং অডিটরদেরকে নিয়ে প্রশিক্ষণ মডিউলকে ডেভেলপ করতে এফবিসিসিআই’র কাছে সহযোগীতার আহŸান জানান ড. সামিয়া। তিনি এফবিসিসিআইকে ইন্টারন্যাশনাল হালাল এক্রিডেিটশন ফোরামের (আইএইচএএফ) সদস্য হওয়ারও আহ্বান জানান।

এছাড়াও দু’দেশের মধ্যে প্রতিনিধিদল বিনিময়সহ ইউএই বাংলাদেশ ইকনোমিক কাউন্সিলে বেসরকারি খাতের অন্তর্ভূক্তির বিষয়েও আলোচনা হয়। এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই পরিচালক নিজাম উদ্দিন, সুজিব রঞ্জন দাস এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা আলোচনায় অংশ নেন।

২০১৯ অর্থবছরে দেশ দুটির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে এসে দাড়িয়েছে। যেখানে রপ্তানির পরিমান শূন্য দশমিক ৩৪ এবং আমদানির পরিমান ১ দশমিক ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন