যুক্তরাজ্যের এসেক্সে লরির একটি কন্টেইনার থেকে ৩৯ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে আটক চালকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অভিবাসন ও অর্থ পাচারের অভিযোগও এনেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করা হয়।
এর আগে বুধবার দেশটির গ্রেস শহর থেকে গ্রেফতার করা হয় মরিস রবিনসন (২৫) নামের ওই চালককে। তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের নাগরিক। গতকাল রোববার (২৭ অক্টোবর) আপ্রর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এসব তথ্য জানায়।
এদিকে লরি থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে উত্তর আয়ারল্যান্ডের এক নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধেও হত্যা ও মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন থেকে ২০ বছর বয়সী একজনকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করেছে সেখানকার পুলিশ।
খবরে বলা হয়, লরিতে পাওয়া মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। তাদের চীনের অধিবাসী মনে করা হলেও এখন পর্যপ্র কারও পরিচয় মেলেনি।
এদিকে, ভিয়েতহোম নামে যুক্তরাজ্যে ভিয়েতনামের একটি সংস্থার কাছে ২০ জনের ছবি জমা পড়েছে যারা কয়েকদিন থেকে নিখোঁজ। এখন পুলিশের ধারণা মৃতরা ভিয়েতনামের নাগরিকও হতে পারে।
মরদেহগুলোর পরিচয় দ্রæত শনাক্ত করতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নুয়েন জান ফুক। এর আগে গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে যুক্তরাজ্যের ওয়াটারগেøড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এলাকায় একটি লরির কন্টেইনার থেকে ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও একজন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কন্টেইনারের ভেতর তাপমাত্রা ছিল প্রায় মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মরদেহগুলোতে পচন রোধ করতেই ফ্রিজিং লরি নেওয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ পুলিশের।
ধারণা করা হচ্ছে, কন্টেইনারটি বেলজিয়াম থেকে যুক্তরাজ্যে এসেছিল। তবে, ভুক্তভোগীরা বেলজিয়াম নাকি যুক্তরাজ্য থেকে কন্টেইনারে প্রবেশ করেছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন