বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এমপিওভুক্তি মিথ্যা তথ্যে বাতিল হবে

সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্ত হলে তা কার্যকর হবে না এবং এমপিওভুক্তি বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, অসত্য তথ্য দিয়ে যারা এমপিওভুক্ত হয়েছেন সেই তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা উঠেছে, ইতোমধ্যে তা যাচাই করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠান যাচাই করেই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিও ছাড় করা হবে। গতকাল (রোববার) বিকেলে নীলক্ষেতে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) সম্মেলন কক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও নীতিমালায় উল্লেখিত মানদন্ড অনুসরণ করে এমপিওভুক্তির ৯ হাজার ৬১৪ আবেদনের মধ্যে ২ হাজার ৭৩০টি যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাছাই করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে সাবমিট করেছে। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাসের হার সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে নেওয়া হয়েছে। স্বীকৃতি সংক্রান্ত তথ্যাদি বাছাই করতে গিয়ে বেশ কিছু ভুল তথ্য পাওয়া যায় যা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া।

যুদ্ধাপরাধী বা কুখ্যাত ব্যক্তির নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিবর্তন করা হচ্ছে, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকলেও এ সংক্রান্ত সব তথ্য মন্ত্রণালয়ে নেই। বিষয়টি স্থানীয় পর্যায় থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, স্থানীয় প্রশাসন, জনগণ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে আনলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

দীপু মনি বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য স্বীকৃতি একটি অন্যতম শর্ত। কেউ যদি এ শর্ত পালন না করে থাকে এবং এ আদেশে এমপিওভুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে পরবর্তীতে যাচাই করে উল্লেখিত শর্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্ত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কথা উঠেছে। এপিওভুক্তির কাজটি দীর্ঘ সময় নিয়ে করা হয়েছে। আমাদের কাজ শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম, সেখানেও কিছু সংশোধন হয়েছে। কোনও অযোগ্য প্রতিষ্ঠান যাতে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় যুক্ত হতে না পারে সেজন্য শর্ত দেওয়া আছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার এমপিওভুক্তিতে কোনও রাজনৈতিক বিবেচনা করা হয়নি। শিক্ষার মানে কী পরিবর্তন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সমস্যা থাকে। শহরে অনেক প্রতিষ্ঠানের এমপিও চান না। কিন্তু গ্রামে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা থাকে। বিকল্প কোনও কাজের চিন্তা থাকলে শিক্ষক যথাযথভাবে শিক্ষা দিতে পারেন না।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন