শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বিতর্কিত গোলে সেমিতে শেখ রাসেল

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে বিতর্কিত গোলে জয় পেলো শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। আর এ জয়েই তারা পৌঁছে গেলো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল ১-০ গোলে হারায় রহমতগঞ্জকে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে (১০১ মিনিট) বিজয়ীদের পক্ষে জয়সুচক গোলটি করেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল। যা মেনে নিতে কষ্ট হয় রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের। তারা অফসাইড গোল হয়েছে বলে রেফারী জালালউদ্দিনের কাছে আপত্তি জানায়। গোলটি বাতিলের জন্য তারা তীব্র প্রতিবাদ করলেও রেফারী তার সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন।
কাল ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রহমতগঞ্জ অসাধারণ ফুটবল খেলেছে। তাদের খেলা দেখে মনেই হয়নি কোনো বড় দলের বিপক্ষে খেলছে তারা। অপেক্ষাকৃত বড় বাজেটের দল শেখ রাসেলের চেয়েও গোছালো ফুটবল খেলেছে জায়ান্ট কিলার খ্যাত রহমতগঞ্জ। ম্যাচের শুরু থেকেই তারা আক্রমণাতœক ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষ রক্ষদূর্গকে ব্যতিব্যস্ত রাখে। অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডের অভাবে গোলের দেখা না পেলেও রহমতগঞ্জ একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করে রাসেলের রক্ষণভাগে ভীত ছড়ায়। রাসেলও পাল্টা আক্রমণে গিয়ে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করলে তা প্রতিহত করেন রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পেয়েছিলো রাসেলই। ২৫ মিনিটে রহমতগঞ্জের বক্সে রাসেলের ইথিওপিয়ান ফরোয়ার্ড ফিকরুর ক্রস পল এমিল বল রিসিভ করেন। কিন্তু রহমতগঞ্জের রক্ষণের বাধায় বল আবার ফিকরুকে ফেরত দেন পল। প্রতিপক্ষ রক্ষণদূর্গ ভেঙে ফিকরু শট নিলে তা গোলরক্ষকের পায়ে লেগে ফেরত আসে। ২৬ মিনিটে আরও একটি সুযোগ পায় শেখ রাসেল। এসময় বক্সের বামপ্রান্ত দিয়ে মোনায়েম খান রাজু ক্রস দেন ফিকরুকে। কিন্তু তিনি পা লাগানোর আগেই ¯øাইড করে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন রহমতগঞ্জ অধিনায়ক সাখাওয়াত হোসেন। ৫৯ মিনিটে শেখ রাসেলের আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন ফিকরু। জামাল ভুইয়ার পাসে বক্সে বল পেয়ে দুর্দান্ত শট নেন তিনি। কিন্তু দুইজন ডিফেন্ডার প্রতিহত করেন শটটি। ম্যাচের ৬০ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ আসে রহমতগঞ্জের সামনে। এসময় বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার সোহেল মিয়ার শটটি ছিল দেখার মতো। কিন্তু তার শটের বল বারে লেগে বাইরে চলে গেলে গোল বঞ্চিত হয় জায়ান্ট কিলাররা। ৮৫ মিনিটে আরও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে রহমতগঞ্জ। বক্সের খুব কাছ থেকেই মিডফিল্ডার দিদারুল আলমকে পাস দিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড সৈয়দ রাশেদ তুর্য। ফাঁকা পোস্ট পেয়ে এগিয়ে গেলেও বল বাইরে মারেন দিদার। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা গোলশূণ্য অমিমাংসিতভাবে শেষ হলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা শুরু হয়। অতিরিক্ত সময়েও দু’দল লড়েছে সমান তালে। তবে ম্যাচের ১০১ মিনিটে একটি বিতর্কিত গোল পেয়ে যায় শেখ রাসেল। এসময় পাল্টা আক্রমণে জামাল ভুঁইয়ার কাছ থেকে লম্বা থ্রু পাস পেয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন রাসেলের ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল। আগুয়ান গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম মাসুমের পাশ দিয়ে প্লেসিং শটে করেন পল (১-০)। কিন্তু রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়-কোচ-কর্মকর্তাদের দাবী পল পরিষ্কার অফসাইডে ছিলেন। তারা গোল বাতিলের দাবী জানালে কর্নপাত করেননি রেফারী জালাল উদ্দিন । রেফারি গোল বলে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে রহমতগঞ্জ খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। যে কারণে ৭ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় অর্ধের শুরুতে দশ জনের দলে পরিণত হয় রহমতগঞ্জ। ১১১ মিনিটে আক্রমণে যাওয়া পলকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার রিমন। ফলে রেফারী তাকে লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। দশজনের দল নিয়েও রহমতগঞ্জ আক্রমণাতœক ফুটবল খেললেও গোলের দেখা পায়নি। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন