বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শুল্ক মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনের আপিল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৪ পিএম

২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল হারুন অর রশীদ এমপি কোটায় শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করেন। এর এক সপ্তাহ পরই শুল্কমুক্ত গাড়িটি তিনি বিক্রি করে দেন। গাড়িটি তিনি স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেকের মাধ্যমে ক্রেতা মো. এনায়েতুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। গাড়িটির ইনভয়েস মূল্য ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১১০ টাকা।

শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করে শর্তভঙ্গ করে তা বিক্রি করায় সরকারের ৮৭ লাখ ৭১ হাজার ৬১২ টাকার শুল্ক বাবদ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এসআই মো. ইউনুচ আলী বাদী হয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে এ চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এর এক মাস পরই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন।

গত ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এমপি হারুনকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে হারুন অর রশীদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুন একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা।

এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ। শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করার পর, তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এ এমপির বিরুদ্ধে।

সোমবার দুপুরের দিকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চে এ আপিলের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এমপি হারুন তার দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। পাশাপাশি জামিনও চেয়েছেন তিনি।

পলাতক আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনায়েতুর রহমান বাপ্পিকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া অপর পলাতক আসামি গাড়ি ব্যবসায়ী স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় এমপি হারুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ছাড়া রায়ে অপর দুই পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন