শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সউদী আরবে বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকা নিয়োগে ধস

সউদী গেজেটের খবর

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সউদী আরবে বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকা নিয়োগে ব্যাপক ধস দেখা দিয়েছে। উভয় দেশে দালালদের অধিক লাভ করার প্রবণতা, শ্রমিকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও পেশাদারিত্বের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে দেশটিতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের গৃহপরিচারিকা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার হার কমেছে ৩০ শতাংশ। স্থানীয় একটি দৈনিককে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে সউদী গেজেট। খবরে বলা হয়, সউদী আরবে বাংলাদেশী শ্রমিকদের একটি বড় অংশ গৃহপরিচারিকা হিসেবে চাকরি করেন। কম বেতন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কম খরচ হওয়ার কারণে অনেক সউদী পরিবার গৃহপরিচারিকা হিসেবে বাংলাদেশীদের অধিক পছন্দ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকাদের সাধারণত ৮০০ থেকে ১২০০ সউদী রিয়াল বেতন দেয়া হয়।

দেশটির বেশ কয়েকটি নিয়োগ অফিসের মালিকরা মনে করেন, সউদী আরবে পাঠানোর আগে বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না। বাংলাদেশের নিয়োগ অফিসগুলোও এদিকে নজর দেয় না।
সউদী আরবের একটি নিয়োগ প্রতিষ্ঠানের মালিক ইব্রাহিম আল মাজিদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে গৃহপরিচারিকা নেয়ার প্রক্রিয়া খুবই অগোছালো। পাশাপাশি বাংলাদেশের নিয়োগ অফিসগুলো সউদী আরবের সঙ্গে বোঝাপড়া নিজেরা না করে সেজন্য দালাল নিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী। তিনি আরো বলেন, কিছু বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকা তিন মাসের ‘প্রবেশনারি পিরিয়ড’ শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরতে চান। এসব কারণে বাংলাদেশ থেকে গৃহপরিচারিক নিয়োগ ৩০ শতাংশ কমে গেছে। অথচ এক সময় প্রায় ৫০ শতাংশ গৃহপরিচারিকা বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ দেয়া হতো।
সউদী আরবের আরেকটি নিয়োগ প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ আল বাকামি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উভয় দেশে দালাল সংযুক্ত করার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এসব দালাল নিয়োগের খরচ বাড়িয়ে দিয়ে অযোগ্য গৃহপরিচারিকা পাঠাচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশে শ্রমিক নিয়োগের নিয়মিত প্রক্রিয়াও অনেক জটিল। কেননা নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কর্তৃপক্ষ অনেক অনুমোদন ও স্বাক্ষর চায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Al Hajj Abdur Rashid ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
শুধু বাংলাদেশের সমস্য না সৌদি আরব যে দেশের মিয়েরা আসুক না কেন এদের উপর নির্যাতন যৌন হয়রানি চলবে আমি দেখেছি ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, ভারত, ও আফ্রিকার অনেক মহিলা পালিয়ে গিয়েছে এবং সে সব দেশ মহিলা পাঠানো বন্দ করে দিয়েছে
Total Reply(0)
Md Manir ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
সকলেই জানে সৌদিআরব নারীরা গেলে যৌন নির্যাতন সহ অনেক সমস্যা হয় কিন্তু তার পরও দলে দলে যায়, এর চেয়ে এই দেশে গার্মেন্টসে চাকুরী করাও অনেক ভাল
Total Reply(0)
Anwar Talukder ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
প্লিজ নারী কর্মীদের বিদেশ পাঠাবেন না। তাদের দিয়ে যৌনকর্ম করানো হয় ওখানে।কথাটা শুনতে বিশ্রী শুনালেও এটাই সত্য।
Total Reply(0)
Assad Uzzaman ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
প্রতারনা ভাষার সমস্যার চাইতেও বড় ও বেশী যৌন নির্যাতন সমস্যা আর এজন্যই বাংলাদেশী মেয়েরা খুব দ্রুত চলে আসতে বাধ্য হয়।
Total Reply(0)
Sumon Das ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
আমি মনে করি এটি সরকারের ব্যার্থতা সৌদিআরব বাংলাদেশের দ্রুতবাস কি করে? যদি প্রবাসীদের কোন সাহায্য না করতে পারে? তো এদের কে বসে বসে আরাম আয়েশ করিয়ে লাভ কি?
Total Reply(0)
Sarwer Morshed ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
নির্যাতনের কথা জানার পরও কেন যাই মেয়েরা? বাঁচার তাগিদে মানুষ পেশা বেঁচে নেই যার যার চরিত্রের উপর!!
Total Reply(0)
MD Abdul Kader ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
please don't send any girls from our Bangladesh too any gulf. please. please please.
Total Reply(1)
Yourchoice51 ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪৬ এএম says : 4
শুধু সৌদি আরব নয়, বিদেশী নাগরিকদের বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের নাগরিকদের গৃহপরিচারিকা হিসেবে বাংলাদেশী মেয়েদের পাঠানো বন্ধ করা প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশেই মহিলাদের বিভিন্ন ধরণের কর্ম সংস্থান হচ্ছে; এসব অব্ভন্তরীন কর্মক্ষেত্র অধিকতর নিরাপদ বলে মনে হয়।
নাজমুল শুভ্র ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
যেনে বুঝে আমাদের দেশের নারীরা সেখানে যাই, নিরউপায় হয়ে, আমাদের দেশের মাথা মোটা রাজনিতিকেরা লজ্জা শরম রাজনিতিতে নামার সময় ভাগাড়ে রেখে এসেছে তাই তারা এব্যপারে কথা বলে না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন