খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মনে যদি পোকা না থাকে তাহলে খাদ্য গুদামের চালে কখনই পোকা ধরবে না। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের হয়রানি কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না। সরকার রংপুর বিভাগে ১টি সিএসডি গুদাম করার চিন্তা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাল কেনা হয়েছে। যা চলতি আমন মৌসুমে আর বেশি চাল ক্রয় করা হবে।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন আমন সংগ্রহ ২০১৯-২০ কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
এসময় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মোছাঃ নাজমানারা খানম, পরিচালক (সংগ্রহ) জুলফিকার রহমান, রংপুরের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবির, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, জাকিয়া তাবাসসুম জুই এমপি উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ইতিপূর্বে যে সকল জায়গায় ধান উৎপাদন হতো না বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেই সকল জায়গায় ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কৃষকদের কষ্ট লাঘবে সরকার ধানের বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন করছে। দেশে বর্তমানে ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা আজ ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার কৃষকদের কষ্ট লাঘটে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কৃষকরা তাদের কষ্টে উৎপাদিত ধানের যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সে ব্যাপারে প্রশাসনের সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
চালকল মালিক গ্রæপের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ধান ও চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে খাদ্য বিভাগের কাছে যে সকল চালকল মালিক গ্রæপের পক্ষ থেকে তালিকা দেয়া হয় তা থেকেই ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দকৃত মিলদের মধ্যে অনেক মিল একেবারে অচল হয়ে পড়েছে। তাদের কাছ থেকে নিম্ন মানের ধান ও চাল গুদামে আসছে। যে সকল মিলের কার্যক্রমে একেবারে অচল সে সকল মিলের তালিকা না পাঠানোর জন্য নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন