ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের বিরুদ্ধে একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ (ফেইসবুক) মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে তিনি আদালতরে রায়কে অবমাননা করেন। তিনি সুমন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মুঠোফোনে ইবির তিনটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ ও টাকার বিনিময়ে হাইকোর্টের রায় কেনার বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২৯ অক্টোবর রাত ৭টার দিকে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে ইবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এতে রাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ, আইন বিভাগ ও গণিত বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে কথা বলেন। ফোনালাপে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ফিন্যান্সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছেলে আবেদন করেছে। আইন বিভাগে একটা সার্কুলার হয়ে রয়েছে। আর গণিত বিভাগের সাইফুলের (সাবেক ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি) স্ত্রীর ব্যাপারাটা কনফার্ম করতে হবে।’ এ সময় রাকিব বলেন, ‘সে ব্যাপারটা হবে। কিন্তু ম্যালা টাকা লাগবে। হাইকোর্টে একটা রিট করতে হবে। রিট করে রায় কিনে আনতে হবে। হাইকোর্টের এমন এমন জায়গায় এমন এমন লাইন, আপনি যেভাবে চাবেন সেভাবে রায় দিবে। শুধু টাকা লাগবে।’
উল্লেখ্য, অডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনের বিদ্রোহী গ্রæপের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা রাকিবের বিরুদ্ধে মানবন্ধন করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অবমাননা করেছেন তিনি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসময় তারা তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানান। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট রাকিবকে অনতিবিলম্বে স্থায়ী বহিস্কারের দাবি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রাইভার নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে ১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের এবং ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে নেতা হওয়া নিয়ে রাকিবের ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের দুটি অডিও ভাইরাল হয়। অডিও প্রকাশ হওয়ার পর ইবি শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এছাড়াও রাকিবকে ৪ বার ক্যাম্পাসের বিদ্রোহী গ্রæপের কর্মীরা ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন